ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

ট্রাম্পের জনসমর্থন ৭০ বছরের ইতিহাসে সর্বনিম্নে

প্রকাশিত: ০৩:৩৯, ১৮ জুলাই ২০১৭

 ট্রাম্পের জনসমর্থন ৭০ বছরের ইতিহাসে সর্বনিম্নে

মার্কিন জনগণের ধারণা অনুযায়ী অভ্যন্তরীণ নীতি এবং বিশ্ব প্রেক্ষাপটে সে দেশের ক্ষয়িষ্ণু নেতৃত্বের জন্য গত রবিবার প্রকাশিত এক জাতীয় জনমত জরিপে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতি জনসমর্থন বিগত ৭০ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছেছে। খবর গার্ডিয়ান। ওয়াশিংটন পোস্ট ও এবিসি নিউজ পরিচালিত যৌথ জনমত জরিপ অনুযায়ী এই তথ্য পাওয়া যায়। বিগত ছয় মাসে ট্রাম্পের প্রশাসনিক কার্যক্রম এবং ২০১৬ সালের নির্বাচনে রুশ হস্তক্ষেপের বিষয়টি নিয়ে ক্রমবর্ধমান বিতর্কের মধ্যে এই জনমত জরিপ অনুষ্ঠিত হয়। গত শনিবার ফেডারেল নির্বাচন কমিশনের কাছে পাঠানো এক রিপোর্টে জানা গেছে, ট্রাম্পের নির্বাচন পরিচালনা কমিটি ট্রাম্প জুনিয়রের আইনজীবী এলান ফুটের পাসকে গত ২৭ জুন পঞ্চাশ হাজার ডলার দিয়েছে। অথচ অর্থ লেনদেনের এই খবর তেরদিন আগেই নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্রে ট্রাম্প যুগ শুরু হওয়ার এক শ’ দিনে ট্রাম্পের যে জনসমর্থন ছিল তা থেকে ৬ পয়েন্ট কমে এখন ৩৬ শতাংশে এসে দাঁড়িয়েছে। জনমত জরিপে অংশগ্রহণকারী ৪৮ শতাংশ বিশ্বাস করেন যে, এই বিলিয়নিয়ার ব্যবসায়ী ক্ষমতা গ্রহণের পর সারাবিশ্বে মার্কিন নেতৃত্ব আগের যে কোন সময়ের চেয়ে দুর্বল হয়েছে। অন্যদিকে পূর্বেকার সরকার যে স্বাস্থ্যনীতি গ্রহণ করেছিল যা ওবামা কেয়ার নামে সমধিক পরিচিত এর প্রতি ৫০ শতাংশ সিনেট সদস্যের সমর্থন এখনও অটুট থাকায় ট্রাম্প ২৪ শতাংশের সমর্থন নিয়ে এটিকে বাতিল করতে পারছেন না। ট্রাম্প এটি বাতিল করতে না পারলে সিনেটেই তার নৈতিক পরাজয় হবে। কেননা, নির্বাচনী প্রচারে সময়ই ট্রাম্প বলেছিলেন যে, তিনি ক্ষমতায় গেলে ওবামা কেয়ার বাতিল করবেন। সে জন্য তিনি বিভিন্ন সিনেট সদস্যকে ব্যক্তিগতভাবে প্রভাবিত করার জন্য লবিং করে চলেছেন। ওয়াশিংটন পোস্ট ও এবিসি নিউজের এই সব জনমত জরিপের ফলাফলে ট্রাম্পের কোন মাথা ব্যথার কারণ ঘটেছে বলে মনে হচ্ছে নাÑ তিনি টুইটে মন্তব্য করেন, প্রায় ৪০ শতাংশ ভোট প্রাপ্তি এমন খারাপ কিছু নয়। কিন্তু দলমত নির্বিশেষে প্রায় ৬৩ শতাংশ মানুষের বিশ্বাস যে, ২০১৬ সালের জুনে ট্রাম্প জুনিয়রের সঙ্গে ট্রাম্পের জামাতা কুশনার ও অন্যান্য ঘনিষ্ঠ লোকজনের সঙ্গে নাতালিয়া নামের একজন রুশ আইনজীবীসহ অন্যান্য রাশিয়ান নাগরিকের এই গোপন বৈঠক যে কোন বিবেচনায় অগ্রহণযোগ্য। সবচেয়ে চাঞ্চল্যকর বিষয় হচ্ছে যে, এ বৈঠকের সময় একজন সাবেক সোভিয়েত সামরিক কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। রিনাত আখমেত্সিন নামের এই ব্যক্তি ওয়াশিংটনে রুশ-আমেরিকান লবিস্ট হিসেবে পরিচিত হলেও মূলত তিনি একজন রুশ গোয়েন্দা বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ নিয়ে গণমাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হলে ট্রাম্পের ব্যক্তিগত এ্যাটর্নি জে সেকুলো গত রবিবার এবিসি নিউজ-এ এক রাজনীতি বিষয়ক টক শোতে ট্রাম্প জুনিয়রের এই গোপন বৈঠককে ভুয়া যুক্তি দিয়ে গুরুত্বহীন প্রমাণ করার চেষ্টা করেন।
×