ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১

শ্রীলঙ্কার সঙ্গে অর্থনৈতিক বিনিয়োগ, বাণিজ্য, শিক্ষা ইত্যাদি বিষয়ে ১৪ চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই ;###;রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সফররত প্রেসিডেন্ট মৈত্রীপালা সিরিসেনার একান্ত বৈঠক

ঢাকা-কলম্বোর সম্পর্কে নতুন সূচনা ॥ এ বছরেই মুক্ত বাণিজ্য

প্রকাশিত: ০৫:২৫, ১৫ জুলাই ২০১৭

ঢাকা-কলম্বোর সম্পর্কে নতুন সূচনা ॥ এ বছরেই মুক্ত বাণিজ্য

কূটনৈতিক রিপোর্টার ॥ চলতি বছরের মধ্যেই বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি করার জন্য একমত হয়েছে। এই চুক্তির মাধ্যমে ঢাকা-কলম্বোর সম্পর্কে এক নবদিগন্ত সূচনা হতে চলেছে। দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক, বিনিয়োগ, বাণিজ্য, শিক্ষা ইত্যাদি বিষয়ে ১৪ চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদের সঙ্গে শ্রীলঙ্কার সফররত প্রেসিডেন্ট মৈত্রীপালা সিরিসেনা একান্ত বৈঠক করেছেন। শুক্রবার এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট মৈত্রীপালা সিরিসেনা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে অংশ নেন। প্রতিবেশী এই দুই দেশের শীর্ষ নেতাদের বৈঠকের পর বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে ১৪ চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। সিরিসেনা শুক্রবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পৌঁছালে টাইগার গেটে তাকে স্বাগত জানান শেখ হাসিনা। ফুলের তোড়া দিয়ে বরণ করে নেয়া হয় শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্টকে। দুই নেতা প্রথমে একান্ত বৈঠকে অংশ নেন। তারপর দুই দেশের প্রতিনিধি দলের সদস্যরা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের চামেলি হলে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বসেন। শেষে করবীতে দুই নেতার উপস্থিতিতে দুই দেশের মধ্যে চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকগুলো সই হয়। দুই দেশের কূটনীতিক ও সরকারী কর্মকর্তাদের ভিসাবিহীন চলাচলের বিষয়ে একটি চুক্তিতে সই করেন বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও শ্রীলঙ্কার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রবী করুনানায়েকে। এছাড়া অর্থনৈতিক ও কৃষি খাতে সহযোগিতা, উচ্চশিক্ষা, বিনিয়োগ কর্তৃপক্ষ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, উভয় দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মধ্যে, পররাষ্ট্র সেবাবিষয়ক ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘বিস’ ও শ্রীলঙ্কার এলকেআইআ-ইআরএসএসের মধ্যে এবং রেডিও, টেলিভিশন ও চলচ্চিত্র, দুই দেশের মান নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠান, সংবাদ সংস্থা এবং চট্টগ্রাম বিজিএমইএ ফ্যাশন ইনস্টিটিউট ও শ্রীলঙ্কা টেক্সটাইল ও এ্যাপারেল ইনস্টিটিউটের মধ্যে সহযোগিতা বাড়াতে বাকি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকগুলো স্বাক্ষরিত হয়। দুই পক্ষই আশা করছে, শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্টের এই সফর পারস্পরিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে নতুন সুযোগ তৈরি করবে। শুক্রবার সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সঙ্গে সাক্ষাত করেন প্রেসিডেন্ট সিরিসেনা। সেখানে তার সম্মানে দেয়া এক ভোজেও অংশ নেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও বিকেলে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মাদ নাসিম সৌজন্য বৈঠক করেন। শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট মৈত্রীপালা সিরিসেনার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর পররাষ্ট্র সচিব এম শহীদুল হক ও প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। এ সময় পররাষ্ট্র সচিব এম শহীদুল হক সাংবাদিকদের জানান, দ্বিপক্ষীয় ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়ানোর লক্ষ্য নিয়ে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে এ বছরই মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কার সঙ্গে এফটিএ হলে এটাই হবে বাংলাদেশের সঙ্গে কোন দেশের এ ধরনের প্রথম চুক্তি। দুই নেতার বৈঠকের পর শহীদুল হক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও প্রেসিডেন্ট মৈত্রীপালা সিরিসেনা চলতি বছরই মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি করার বিষয়ে সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এ জন্য যে আলোচনা ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা দরকার, তা দ্রুত শেষ করারও সিদ্ধান্ত হয়েছে। এটা একটা অসম্ভব ব্রেক থ্রু। কারণ, বাংলাদেশের সঙ্গে কারও এফটিএ নেই। যদি ২০১৭-তে এফটিএ হয়, তাহলে এটাই হবে বাংলাদেশের সঙ্গে কোন দেশের প্রথম এফটিএ। আমার মনে হয়, এটা একটা বড় পলিটিক্যাল প্রসেস টুয়ার্ডস ট্রেড এ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট বিটুইন দ্য টু কান্ট্রিজ। বাংলাদেশের সঙ্গে শ্রীলঙ্কার বাণিজ্য বছরে আট কোটি ডলারের মতো। এ চুক্তি হলে দুই দেশের বাণিজ্য আরও বাড়বে বলে মনে করেন পররাষ্ট্র সচিব। তিনি বলেন, এটা বাড়ানোর জন্যই আমরা ২০১৩ থেকে আলোচনা করে আসছি। শহীদুল হক বলেন, দুই দেশের বাণিজ্যে এখন যেসব শুল্ক ও অশুল্ক বাধা রয়েছে, তা মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির মাধ্যমে অপসারণ করা যাবে। তাতে বাংলাদেশের কতটা লাভবান হবে জানতে চাইলে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, মিউচুয়ালি লাভবান হবে। বাট বাংলাদেশ অনেক লাভবান হবে। পররাষ্ট্র সচিব বলেন, বিশ্ববাণিজ্য এখন এক ধরনের রূপান্তরের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। অনেক দেশকেই দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্কের ওপর কিছুটা নির্ভরশীল হতে হচ্ছে। শ্রীলঙ্কার সঙ্গে প্রথমবারের মতো চুক্তি হলে বাংলাদেশে এ বিষয়ে যাচাই-বাছাই ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার মধ্য দিয়ে দক্ষতা বাড়াতে পারবে বলে মনে করেন তিনি। আরও কয়েকটি দেশের সঙ্গে আমরা এফটিএ আলোচনা করছি। সেইগুলো করতেও এটা সহায়তা করবে। পররাষ্ট্র সচিব বলেন, শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্টের সফরকে কেন্দ্র করে শনিবারের মধ্যে একটি যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করা হবে। ৩৫ প্যারার এই যৌথ বিবৃতি নিয়ে দুই দেশের মধ্যে সমঝোতাও হয়ে গেছে। এই প্রথম বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার একটি যৌথ বিবৃতি আসছে জানিয়ে তিনি বলেন, এর মধ্যে দিয়ে দুই দেশের সম্পর্ক একটি কাঠামো (ফ্রেমওয়ার্ক) পাচ্ছে। আগে যেটা ছিল যে, এই সম্পর্কটা ভাসা ভাসা থাকত। হয়তো কোন সময় কিছু একটা ইমপ্লিমেন্টেশন হয়েছে, অনেকদিন পর আমরা ভুলে যেতাম কি হয়েছে। এই ১৪টা ইন্সট্রুমেন্ট ও জয়েন্ট স্টেইটমেন্টের মধ্য দিয়ে দুই দেশের সম্পর্কের একটা স্ট্রাকচার হলো। এই যৌথ ঘোষণায় দুই দেশের বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও জোরদার করার অঙ্গীকারের পাশাপাশি রাজনৈতিক সম্পর্কের রূপরেখাও আরও স্পষ্ট হবে বলে পররাষ্ট্র সচিব জানান। পররাষ্ট্র সচিব বলেন, বৈঠকের এক পর্যায়ে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট এই সফরকে একটি ঐতিহাসিক সফর হিসেবে বর্ণনা করেন। আমরা আশা করি, এই সফরের মধ্য দিয়ে দুই দেশের সম্পর্কের নবযাত্রা হলো। সিরিসেনার এই সফরে দুই দেশের ব্যবসা, বাণিজ্য, বিনিয়োগই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পেয়েছে বলে মনে করেন শহীদুল হক। কৃষি ক্ষেত্রে সমঝোতা স্মারক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমাদের এখানে কৃষির যে অগ্রগতি হয়েছে, বিশেষ করে ধানের ক্ষেত্রে যে গবেষণা হয়েছে এবং তার যে সুফল, পৃথিবীর সর্বত্র সে সংবাদটা গেছে। ওইটা থেকে শ্রীলঙ্কা শিক্ষা নিয়ে তাদের বীজ উৎপাদনে একটা বিপ্লব আনতে চায়। আর উচ্চশিক্ষা খাতে সহযোগিতার বিষয়ে শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) মধ্যে সমঝোতা স্মারকের বিষয়ে সচিব জানান, চিকিৎসা ক্ষেত্রে শ্রীলঙ্কার বড় অঙ্কের শিক্ষার্থী বাংলাদেশে পড়ে বলে ওখানে তারা আরেকটু সুবিধা চান। দুই দেশের কূটনীতিবিদ ও সরকারী কর্মকর্তাদের জন্য ভিসা ছাড়া যাতায়াতের জন্য চুক্তির বিষয়টিকেও ‘একটি বড় অর্জন’ বলে মনে করেন শহীদুল হক। শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট তিনদিনের সফরে বৃহস্পতিবার ঢাকায় পৌঁছালে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ। এই সফরে প্রেসিডেন্ট সিরিসেনা থাকছেন ঢাকার সোনারগাঁও হোটেলে। তার সফর উপলক্ষে রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক সাজানো হয়েছে বর্ণিল সাজে। রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে বাংলাদেশে এটা তার প্রথম সফর হলেও এর আগে ২০১৩ ও ২০১৪ সালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে ঢাকা ঘুরে গেছেন মৈত্রীপালা সিরিসেনা। বৃহস্পতিবার ঢাকা পৌঁছানোর পর বিকেলে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে গিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট। পরে তিনি ধানম-ি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করে সেখানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানান। জাদুঘরে তাকে স্বাগত জানান বঙ্গবন্ধুর নাতনি সায়মা ওয়াজেদ পুতুল। এই সফরে ৭৩ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে রয়েছে। আজ শনিবার ঢাকা ছাড়ার আগে একটি বাণিজ্য সংলাপে অংশ নেবেন। বিমানবন্দরে তাকে বিদায় জানাবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। যেসব চুক্তি ও সমঝোতা সই হলো বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক এগিয়ে নিতে কূটনীতিবিদ ও সরকারী কর্মকর্তাদের ভিসাবিহীন যাতায়াতে একটি চুক্তি এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার বিষয়ে ১৩টি সমঝোতা স্মারকে সই হয়েছে। শুক্রবার ঢাকায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে দুই দেশের প্রতিনিধি দলের দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর এসব চুক্তি ও সমঝোতায় সই হয়। দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে শ্রীলঙ্কার প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন দেশটির প্রেসিডেন্ট মৈত্রীপালা সিরিসেনা। আর বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে বাংলাদেশে প্রথম সফরে আসা সিরিসেনা সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পৌঁছালে তাকে স্বাগত জানান শেখ হাসিনা। দুই নেতার একান্ত বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের চামেলি হলে দুই দেশের প্রতিনিধি দলের দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হয়। পরে করবীতে তাদের উপস্থিতিতে দুই দেশের মধ্যে ১৪টি চুক্তি ও সমঝোতায় সই হয়। ১. দুই দেশের কূটনীতিবিদ ও সরকারী কর্মকর্তাদের জন্য ভিসা ছাড়া যাতায়াতে চুক্তি। ২. কৃষি খাতে সহযোগিতা বাড়াতে সমঝোতা স্মারক। ৩. বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন (বিএসসি) ও সিলন শিপিং কর্পোরেশনের (সিএসসি) মধ্যে সমঝোতা স্মারক। ৪. উচ্চশিক্ষা খাতে সহযোগিতা বিষয়ে শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) মধ্যে সমঝোতা স্মারক। ৫. বাংলাদেশ ফরেইন সার্ভিস একাডেমি (এফএসএ) ও শ্রীলঙ্কার বন্দরনায়েক ডিপ্লোমেটিক ট্রেইনিং ইনস্টিটিউটের (বিআইডিটিআই) মধ্যে সমঝোতা স্মারক। ৬. বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল এ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস) ও লক্ষণ কাদিরাগামার ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল রিলেশনস এ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের (এলকেআইআইআরএসএস) মধ্যে সমঝোতা স্মারক। ৭. আর্থিক খাতে সহযোগিতা বাড়াতে বাংলাদেশ ব্যাংক ও শ্রীলঙ্কার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মধ্যে সমঝোতা স্মারক। ৮. বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) এবং শ্রীলঙ্কার বিনিয়োগ বোর্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়াতে সমঝোতা স্মারক। ৯. দুই দেশের মান নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ বিএসটিআই ও সিএলএসআইয়ের মধ্যে সমঝোতা স্মারক। ১০. তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) খাতে সহযোগিতা বাড়াতে সমঝোতা স্মারক। ১১. বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস) ও শ্রীলঙ্কার জাতীয় সংবাদ সংস্থা লঙ্কাপুভাত লিমিটেডের মধ্যে তথ্য ও সম্প্রচার সহযোগিতা বিষয়ে সমঝোতা স্মারক। ১২. দুই দেশের রেডিও, টিভি ও চলচ্চিত্র শিল্পে সহযোগিতা বাড়াতে সমঝোতা স্মারক। ১৩. চট্টগ্রাম বিজিএমইএ ইনস্টিটিউট অব ফ্যাশন এ্যান্ড টেকনোলজি (সিবিআইএফটি) ও শ্রীলঙ্কা ইনস্টিটিউট অব এ্যাপারেল এ্যান্ড টেক্সটাইলের (এসএলআইটিএ) মধ্যে যোগাযোগ বাড়াতে সমঝোতা স্মারক। ১৪. বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতা বিষয়ে সমঝোতা স্মারক।
×