সৌন্দর্য প্রিয় প্রতিটি মানুষই তার আশপাশের সব কিছুকেই সুন্দর করে দেখতে চায়। আর যখনই আপনার অবস্থানের চারপাশের ছোট বড় প্রতিটি বিষয় মানানসই সৌন্দর্যমাফিক দৃষ্টিগোচর হয় তখনই মিলন ঘটে আপনার মনের দৃষ্টির সৌন্দর্যের সঙ্গে ঘরের সৌন্দর্যের। তখনই সৃষ্টি হবে মনোরম পরিবেশের। আর সুন্দর পরিবেশ মানেই প্রফুল্ল মন। এ সৌন্দর্যের পেছনে আপনার বসবাসের স্থানের ছোট বড় প্রতিটি বিষয়ই বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। আর এ বিষয়গুলোর মধ্যে জানালা, দরজার পর্দার ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। যা আপনার ঘরের গতানুগতিক সৌন্দর্যকে বাড়িয়ে তোলে পাশাপাশি শোভা বর্ধনেও বিশেষ সহায়ক। ঘর এবং ঘরের আসবাবগুলো হয়ত সব সময় পরিবর্তন করা সম্ভব হয়ে ওঠে না, সেক্ষেত্রে রং এবং নকশার নতুন পর্দা ঘরে সৌন্দর্যের এক নতুন মাত্রা যোগ করতে পারে। ফলে আপনার পুরনো ঘরটিও নতুন হয়ে উঠবে।
বর্তমানে বাজারে রয়েছে বিভিন্ন ডিজাইনের পর্দা আপনি চাইলে আপনার পছন্দমাফিক বানিয়ে অথবা কিনে নিতে পারেন। যেমন : আইলেট, পেলমেট, আবার কাপড়ের নাম অনুসারেও পর্দার নাম রয়েছে। পর্দার কাপড়ের জন সুতি, খাদি, আদ্দি, জ্যাকেট কাপড়, এ্যাম্বোস কাপড়ের ব্যবহার ভাল। তবে পর্দা পছন্দ করার আগে আবশ্যই মাথায় রাখুন কোন রুমের, কোন দিকের, কি রঙের দেয়ালের সঙ্গে কোন ডিজাইনের ও রঙের পর্দা মানানসই হবে। এখন দেখা যাক আমরা কোথায় কোন ধরনের পর্দা ব্যবহার করব। সাধারণত ঘরের দেয়ালের রঙের সঙ্গে মিলিয়ে পর্দার রং হওয়া উচিত। দেয়ালের রং যদি গাঢ় হয় সে ক্ষেত্রে হালকা রঙের পর্দা আর যদি হালকা হয় তাহলে গাঢ় এবং উজ্জ্বল রঙের পর্দা ভাল লাগবে। যদি আপনি ঘরের দেয়ালের রঙের মতো করেই পর্দা চান সেক্ষেত্রে ডিজাইনে অথবা পর্দার প্রিন্টে ভিন্নতা আনুন। যেমন : দেয়ালের রং গাঢ় হলে হালকা রঙের পর্দার মধ্যে দেয়ালের রঙের প্রিন্ট ভাল লাগবে। অথবা ওই রঙের কাপড়ের ঝালর বা টারসেল ব্যবহার করতে পারেন। বসার ঘরে উজ্জ্বল রঙের পর্দা ভাল লাগবে। তবে সেটা নির্ভর করবে দেয়ালের রং ও আসবাবের ডিজাইনের ওপর। যদি আসবাব আকারে বড় এবং ভারি কারুকার্য ক্ষচিত হয় তাহলে হালকা পর্দা ববহার করা ভাল। এক্ষেত্রে হালকা নকশার এক রঙের অথবা নেটের মধ্যে কারুকাজের পর্দা ব্যবহার করা যেতে পারে। শিশুদের ঘরে রং বাহারি কার্টুনের অথবা ফুল, ফল, গাছগাছালির ডিজাইন সমৃদ্ধ পর্দা যথোপযুক্ত। শোবার ঘরে হালকা রঙের ভারি কাপরের পর্দা ব্যবহার করা ভাল। আবার যে জানালা দিয়ে রোদ আসে সেখানে গাঢ় রঙের পর্দা ববহার করা ঠিক হবে। ফলে একদিকে যেমন সূর্যের আলো বাধাপ্রাপ্ত হয়ে ঘর গরম কম হবে অন্যদিকে পর্দার রংও কম জ্বলবে। আবার যে জানালা দিয়ে বাতাস বেশি চলাচল করে, ঘর ঠাণ্ঠা রাখার জন্য সেই জানালার পর্দা হালকা কাপড়ের হওয়াটাই ভাল। কেউ কেউ ঘরটাকে হালকা সাজে বাঙালিয়ানা রূপে দেখতে চান। সেক্ষেত্রে সুতি বা খাদি কাপড়ের ওপরে দেশী মোটিফের নকশা, সুতি কাপড়ের ওপর নকশিকাঁথার কাজ, ব্লক প্রিন্ট, জামদানি নকশার ছাপ সমৃদ্ধ পর্দা আপনার ঘরের পরিবেশকে করে তুলবে আরও মনোরম। পর্দার সৌন্দর্যের রেইলের উপরে নির্ভর করে। বাজারে বিভিন্ন রঙের এবং ডিজাইনের রেইল পাওয়া যায়। তবে তা ঘরের রং, পর্দার রং ও ডিজাইনের সঙ্গে মিলিয়ে কিনতে হবে। এছাড়া পর্দা বেঁধে রাখার জন্য রয়েছে বিভিন্ন ধরনের টারসেল। যার মানানসই ব্যবহার পর্দার সৌন্দর্যকে এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে।
শীর্ষ সংবাদ: