ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

গোপালগঞ্জে শেষ মুহূর্তে ঈদবাজার

প্রকাশিত: ০৬:৪৭, ২২ জুন ২০১৭

গোপালগঞ্জে শেষ মুহূর্তে ঈদবাজার

নিজস্ব সংবাদদাতা, গোপালগঞ্জ, ২১ জুন ॥ শেষ মুহূর্তে গোপালগঞ্জের ঈদ বাজার জমে উঠেছে। বাজারে নানা ডিজাইনের পোশাক থাকলেও মূলত ভারতীয় ও চাইনিজ পোশাকই বাজার দখল করে রেখেছে। তবে দেশীয় সুতি কাপড়ের কদর কমেনি এখানকার ঈদ বাজারে। ঈদের দিন যতই এগিয়ে আসছে মফস্বলের ছোট্ট জেলা শহর গোপালগঞ্জের ঈদ বাজার ততই জমে উঠছে। বাজারে ভিড় বাড়তে শুরু করেছে। থান কাপড় ও গামের্ন্টসের দোকানই শুধু নয় এখন সব ধরনের কাপড়ের দোকানগুলোতে উপচেপড়া ভিড় লেগে থাকছে। দোকানীরা জানালেন বেচাকেনা খারাপ না। আবহাওয়ার অবস্থা ভাল থাকলে তারা ভাল ব্যবসা করতে পারবেন। তবে অতি সম্প্রতি শহরের বিভিন্ন সড়কে চলছে পৌরসভার উন্নয়ন কাজ। এ উন্নয়ন কাজ ঈদ বাজার করতে আসা লোকজনের ভোগান্তি বাড়িয়েছে। বিশেষ করে পাইপ বসিয়ে ড্রেন নির্মাণের কারণে শহরে বিভিন্ন সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এ থেকে বাদ যায়নি শহরের মূল কেন্দ্র বিন্দু চৌরঙ্গীও। ব্যবসায়ীরা জানালেন ঈদের পরে ব্যবসায়িক এলাকায় খোঁড়াখুঁড়ির কাজ করলে ক্রেতা এবং বিক্রেতাদের সুবিধা হতো। পরিবারের সদস্যদের নিয়ে সবাই ছুটছেন ঈদ বাজারের দিকে। গরমের কথা বিবেচনা করে অনেকেই দেশী সুতি থ্রি পিস ও শাড়ি কিনছেন। দামের দিক থেকে কিছুটা সাশ্রয় আর আরাম দায়ক হওয়ায় এসব ক্রেতার প্রথম পছন্দই হলো দেশী সুতি ড্রেস। এদিকে ঈদের আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। আর তাই গোপালগঞ্জের দর্জিপাড়া এখন সরগরম। কারও ফুরসত নেই। দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছেন দর্জি শ্রমিকরা। কাস্টমারের কাছ থেকে নেয়া অর্ডার সময়মতো ডেলিভারি দিতে মরিয়া হয়ে কাজ করছেন তারা। ১০ রোজার পর থেকে মূলত গোপালগঞ্জের ঈদের বাজার জমতে শুরু করে। এখন রাস্তা দিয়ে হাটাই দায়। ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। চাহিদা মাফিক জামা-কাপড় ও জুতা-স্যান্ডেল কিনতে ক্রেতারা এক দোকান থেকে অন্য দোকানে ভিড় করছেন। দর্জি শ্রমিকরা জানান, গত বছর থেকে তাদের কাজের চাপ বেশি। তারা দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছেন। যে কোনভাবে সময়মতো লোকজনকে পোশাক তৈরি করে তা ডেলিভারি দিতে হবে। গত বছরের তুলনায় এ বছর কাপড়ের দাম বেশি এমন অভিযোগ ক্রেতাদের। তারপরও সবারই লক্ষ্য পরিবার পরিজনের জন্য নতুন কাপড় কেনা। আর গরিব ক্রেতারা সাশ্রয়ী দামে কাপড় কিনতে তাই এক দোকান থেকে অন্য দোকানে ছুটছেন। ধনী বা দরিদ্র যেই হোক না কেন সবাই এখন ঈদ বাজার মুখী।
×