ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

এশিয়াতেই থাকছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি-েশিরোপা

প্রকাশিত: ০৬:৪৫, ১৬ জুন ২০১৭

এশিয়াতেই থাকছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি-েশিরোপা

মোঃ মামুন রশীদ ॥ সবমিলিয়ে ৭ বার অনুষ্ঠিত হয়েছে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। এরমধ্যে এশিয়াতে মাত্র দুইবার এই মর্যাদার আসরটির শিরোপা এসেছে। গত আসরে ভারতীয় ক্রিকেট দল চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। আর ২০০২ সালে শ্রীলঙ্কা ও ভারত যৌথভাবে চ্যাম্পিয়ন হয়। এবার অষ্টম আসরের শিরোপাও থাকছে এশিয়া মহাদেশে। সবার আগে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে পাকিস্তান ক্রিকেট দল। আর দ্বিতীয় সেমিতে এশিয়ার অপর দুই দল বাংলাদেশ-ভারত লড়াই। এ কারণে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনাল হতে যাচ্ছে ‘অল এশিয়ান’ লড়াই। অর্থাৎ নিশ্চিতভাবেই শিরোপা আসছে এশিয়াতে। ১৯৯৮ সালে প্রথম চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শুরু হয়েছিল। সেবার অবশ্য এটিকে সবাই মিনি বিশ্বকাপ হিসেবেই সম্বোধন করেছিলেন। বাংলাদেশ এককভাবে আয়োজন করেছিল সেই নকআউট আইসিসি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট। সেই আসরে শিরোপা জয় করে দক্ষিণ আফ্রিকা। ওয়েস্ট ইন্ডিজ হেরে যায় ফাইনালে। আইসিসির কোন ইভেন্টে প্রোটিয়াদের প্রথম কোন শিরোপা জয় ছিল সেটি। তখন দুই বছর পরপর এ আসর আয়োজনের সিদ্ধান্ত ছিল। কেনিয়ায় ২০০০ সালের দ্বিতীয় আসরে এশিয়ার দল হিসেবে প্রথম কোন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে ওঠে ভারত। কিন্তু সেবার এশিয়ায় আসেনি শিরোপা। প্রথমবার কোন আইসিসি টুর্নামেন্টের শিরোপা জয় করে নিউজিল্যান্ড। তবে পরের আসরেই এশিয়ার শিরোপা খরা ঘোচার সুযোগ এসে যায়। কারণ ২০০২ সালে শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত টুর্নামেন্টের ফাইনালে ওঠে ভারত ও শ্রীলঙ্কা। তবে সেই ফাইনালটির কোন ফলাফল হয়নি। বৃষ্টিতে ভেসে গেছে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচ। শেষ পর্যন্ত উভয়দলই চ্যাম্পিয়ন হয়। উল্লেখ্য, এই আসরটি থেকেই নকআউট বিশ্বকাপ নামটি পরিবর্তন করে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি দেয়া হয়েছিল এ আসরের নাম। ২০০৪ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজন করে ইংল্যান্ড। প্রথমবারের মতো ফাইনালেও ওঠে তারা। তাদেরও সুযোগ ওয়ানডে ক্রিকেটে আইসিসির কোন ইভেন্টে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার। কিন্তু নিজ দেশে সেটা পারেনি তারা। শিরোপা লড়াইয়ে হার মানে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে। সেটি ছিল মহাপরাক্রমশালী ক্যারিবীয়দের দীর্ঘ সময় পর আবার কোন আইসিসি টুর্নামেন্টের শিরোপা জয়। ২০০৬ সালের পরবর্তী আসরে ভারত আয়োজক হয়েও ব্যর্থ হয় ফাইনালে উঠতে। নিজ দেশে তারা দর্শক হয়ে শিরোপা লড়াই দেখেছে অস্ট্রেলিয়া ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের। এবার আর পারেনি ক্যারিবীয়রা। বৃষ্টিবিঘিœত ম্যাচে হেরে গেছে অসিদের কাছে। এই আসরটির পর থেকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ৩ বছর পর আয়োজনের সিদ্ধান্ত হয়। এ কারণে ২০০৯ সালে পরবর্তী আসর অনুষ্ঠিত হয়। আয়োজক দক্ষিণ আফ্রিকা দর্শক হয় দুই ট্রান্স-তাসমান প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের ফাইনাল ম্যাচের। টানা দ্বিতীয়বার শিরোপা জয় করে অস্ট্রেলিয়া। এরপর থেকে এ আসরটি ৪ বছর পরপর আয়োজনের সিদ্ধান্ত হয়। ২০১৩ সালে অনুষ্ঠিত গতবারের আসরটিও ইংল্যান্ড আয়োজন করে। প্রথমবার কোন এশিয়ার দল শিরোপা জয় করে। ২০০২ সালে ভারত-শ্রীলঙ্কা যৌথ চ্যাম্পিয়ন হলেও এবার এককভাবেই শিরোপা জয় করে ভারত। স্বাগতিক ইংল্যান্ড পরাজিত হয়। এবার তৃতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজন করছে ইংলিশরা। সেমি থেকে বিদায় নিয়েছে তারা। শেষ চারে এশিয়ার তিনটি দল উঠেছিলÑ ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ। ইংলিশরা বাদ পড়ায় ফাইনালে পাকরা উঠেছে। এবার অল এশিয়া ফাইনাল হতে যাচ্ছে। নিশ্চিতভাবে শিরোপাও আবার থাকছে এশিয়াতে।
×