ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

ডোমারে টিসিবির পণ্য কালোবাজারে

প্রকাশিত: ০৬:৪২, ১৪ জুন ২০১৭

ডোমারে টিসিবির পণ্য কালোবাজারে

স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী ॥ পবিত্র মাহে রমজানের বরাদ্দের ডোমার উপজেলার চারজন ডিলারের মধ্যে ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) ভোগ্যপণ্য তুলে দুইজন ডিলার তা কালোবাজারে বিক্রি করে দিয়েছে বলে অভিযোগ ওঠেছে। অপরদিকে একজন ডিলার ডোমারে টিসিবির ভোগ্যপণ্য বিক্রি করলেও তা চাহিদার তুলনায় কম বলে ক্রেতারা জানিয়েছে। এ কারণেই ডোমারে টিসিবি থেকে কোন সুফল পাচ্ছেন না সাধারণ মানুষ। এ সুযোগে অসাধু ব্যবসায়ীরা লাভবান হচ্ছেন। জানা যায়, টিসিবির ভোগ্যপণ্য কালোবাজারে বিক্রির অভিযোগে ডোমার উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় হতে পহেলা জুন টিসিবির আঞ্চলিক কার্যালয়ে অবগত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুপারিশ করা হয়। সূত্র মতে ডোমারে ৪ জন টিসিবির ডিলারের মধ্যে সাবেত ট্রেডার্স ,জয়া এন্টারপ্রাইজ এবং মিথুন রায় মে মাসের টিসিবির পণ্য রংপুর থেকে উত্তোলন করে। এর মধ্যে জয়া এন্টারপ্রাইজ উত্তোলন রিপোর্ট প্রদান করে ডোমার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে। বাকি দুইজন পণ্য উত্তোলন করলেও রংপুরে সেইসব পণ্য কালোবাজারে বিক্রি করে দেয়। টিসিরি ভোগ্যপণ্যের নির্ধারিত মূল্য হলো সয়াবিন ৫ লিটার ৮৫ টাকা দরে করে ৪২৫ টাকা, ছোলা ৭০ টাকা, মসুর ডাল ৮০ টাকা ও চিনি ৫৫ টাকা করে কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে। খোলা বাজারে এসব ভোগ্যপণ্যের মূল্য অনেক বেশি হওয়ায় সাধারণ জনগণ টিসিবির ভোগ্যপণ্য পেতে মরিয়া ছিল। কিন্তু ডোমারের টিসিবির চার ডিলারের মধ্যে তিনজন ডিলারের কাছ থেকে রমজান মাসে সাধারণ জনগণ স্বল্পমূল্যে এ সুবিধা পাচ্ছেনা। নিয়ম অনুযায়ী ডিলাররা টিসিবি এসব ভোগ্যপণ্য রংপুর অফিস হতে উত্তোলনের পর স্থানীয় প্রশাসনকে মজুদ দেখিয়ে ও জানিয়ে দৃশ্যমান নির্দিষ্ট স্থানে লাল কাপড়ে টিসিবির বরাদ্দকৃত পণ্যের মূল্য তালিকার ব্যানার টাঙ্গিয়ে পণ্য বিক্রি করবেন। ডিলাররা এসব নিয়ম মেনে পণ্য বিক্রি করছেন কিনা তা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও উপজেলা প্রশাসন তদারকি করবেন। জানা গেছে কোন কোন দোকানে টিসিবির পণ্য বিক্রি হচ্ছে তা কেউ জানে না। লাল কাপড়ে টিসিবির পণ্যের মূল্য তালিকার ৬ বাই ৩ ফুট সাইজের ব্যানার কোথাও দেখা যায়নি। এ বিষয়ে ডোমার পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ময়নুউদ্দিন আহমেদ মিল্টন জানান, ডোমার বাজারে কোথায় টিসিবির পণ্য বিক্রি হচ্ছে আমার চোখে পড়েনি। কিছু ডিলারের কারণে সরকারের জনকল্যাণমূলক কর্মসূচী ভেস্তে যেতে বসেছে। মালিক মাহবুব রহমান জানান, বাজারে টিসিবি পণ্যের চাহিদা আছে। কিন্তু বরাদ্দ মাত্র প্রায় এক লাখ টাকার মাল। এত কম বরাদ্দ , কিন্ত পরিবহন , লেবার ব্যয় একই যাচ্ছে। ফলে কোন লাভ হবে না। উপরন্তু প্রশাসনিক ঝামেলা আছে। বরাদ্দ ৪/৫ লাখ হলে লাভ হত। উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাবিহা সুলতানা উপজেলার চারজন ডিলারের মধ্যে দুইজন ডিলার পণ্য উত্তোলন করে রংপুরেই তা বিক্রি করে দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়েছে।
×