ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

গৃহকর্মীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে স্বামী, থানায় আত্মসমর্পণ

প্রকাশিত: ০৫:৫৪, ১১ জুন ২০১৭

গৃহকর্মীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে স্বামী, থানায় আত্মসমর্পণ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীর গুলশানে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থায় (আইএলও) কর্মরত এক ভারতীয় কর্মকর্তার বাসার গৃহকর্মীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে তারই স্বামী। হত্যার পর স্বামী গুলশান থানায় আত্মসমর্পণ করে। পুলিশের কাছে স্ত্রীকে হত্যার দায় স্বীকার করেছে হত্যাকারী স্বামী। এছাড়া রাজধানীর বাড্ডায় আট বছরের শিশুকন্যাকে ধর্ষণের অভিযোগে দুই নিরাপত্তাকর্মী গ্রেফতার এবং রাস্তা পারপারের সময় যাত্রাবাড়ীতে যাত্রীবাহী লেগুনার ধাক্কায় এক প্রবীণের মৃত্যু ও আরেক প্রবীণের আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। শনিবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে গুলশান-২ এর ৬৮ নম্বর সড়কে ১০ নম্বর বাড়িতে ঘটনাটি ঘটে। গুলশান মডেল থানার পরিদর্শক মোঃ সালাউদ্দিন জানান, বাড়ি থেকে রানী বেগম (৩৯) নামের ওই গৃহকর্মীর লাশ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে। রানীর স্বামী মিন্টুকে (৩৫) পুলিশ হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। এই পুলিশ কর্মকর্তা মিন্টুর বরাত দিয়ে জানান, মিন্টু প্রতিদিন সকালে স্ত্রীকে ওই বাসায় রেখে কাজে চলে যান। শনিবার সকালে মিন্টু তার স্ত্রীকে ওই বাসায় পৌঁছে দেয়। এর কয়েক মিনিট পরে গিয়েই মিন্টু তার স্ত্রীকে ফল কাটার ছুরি দিয়ে জবাই করে। ওই সময় আইএলও-তে কর্মরত ভারতীয় নাগরিক ও তার স্ত্রী বাসায় ছিলেন না। তারা বাইরে হাঁটতে গিয়েছিলেন। মিন্টু ও তার স্ত্রীর উভয়েরই দ্বিতীয় বিয়ে এটি। মিন্টুর ধারণা, তার স্ত্রী পরকীয়ায় জড়িত। এমন সন্দেহ থেকেই মিন্টু বিষয়টি মেনে নিতে পারেনি। তারই জেরে মিন্টু তার স্ত্রীকে হত্যা করে। গুলশান থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, হত্যাকারী স্বামী গাজী মোহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামান মিন্টুর দ্বিতীয় স্ত্রী ছিলেন রানী। মিন্টু স্ত্রীর চেয়ে বয়সে চার বছরের ছোট। পরকীয়ার সূত্র ধরে তাদের বিয়ে হয়। মিন্টু ও তার স্ত্রীর এটি ছিল দ্বিতীয় বিয়ে। মিন্টুর পিতার নাম মৃত তোফাজ্জল হোসেন। বাড়ি সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর। রানীকে নিয়ে মিন্টু তিন বছর ধরে রাজধানীর মহাখালীর ১১৬/১৮/ক নম্বর তৃপ্তি নীড় নামের একটি বাড়িতে ভাড়ায় বসবাস করছিল। মিন্টু পেশায় চালক। নিহত রানীর সুজন হাওলাদার নামে (২০) আগের ঘরের এক ছেলে রয়েছে। ওই ছেলে বাদী হয়ে গুলশান থানায় হত্যা মামলা দায়ের করছে। বাড্ডার ময়নারবাগে আট বছরের এক শিশুকে দুদিন আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগে শাহিনুর রহমান (৫২) ও তার সহযোগী আমজাদ হোসেন (৫০) নামে দুই নিরাপত্তারক্ষীকে আটক করেছে পুলিশ। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) চিকিৎসাধীন শিশুটি প্রাথমিকভাবে আশঙ্কামুক্ত। এ ব্যাপারে শুক্রবার রাত বারোটার দিকে শিশুর পিতা বাড্ডা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন। আটক দুই আসামি ময়নারবাগ এলাকার নিরাপত্তারক্ষী। মামলা এজাহারের বরাত দিয়ে পুলিশ জানিয়েছে, গত ২৯ ও ৩০ মে পরপর দু’দিন ওই শিশুকে বাড্ডার ময়নারবাগ এলাকায় একটি রুমে আটকে ধর্ষণ করে গ্রেফতারকৃত দুই নিরাপত্তারক্ষী। মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা ও বাড্ডা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নজরুল ইসলাম জানান, শিশুটির জবানবন্দী রেকর্ড করা হয়েছে। জবানবন্দীতে শিশুটি বলেছে, সে বাসার নিচে নামার পর শাহীনুর তাকে ফুঁসলিয়ে একটি রুমে নিয়ে যায়। এর পর দুদিন তাকে সেই রুমে আটকে রেখে ধর্ষণ করে। শাহীনুরকে টাঙ্গাইল জেলার মীর্জাপুর থেকে শুক্রবার গভীর রাতে গ্রেফতার করে ঢাকায় আনা হয়েছে। শাহীনুরের তথ্যমতে অপর নিরাপত্তাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়। শনিবার দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর কাজলায় অনাবিল হাসপাতালের সামনে রাস্তা পারাপারের সময় যাত্রীবাহী লেগুনার ধাক্কায় দুই পথচারী আহত হন। আহতদের মধ্যে চিকিৎসাধীন শনিবার দুপুর দেড়টায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে অজ্ঞাত (৬০) এক পুুরুষের মৃত্যু হয়। আহত পথচারী রূপচাঁন (৫৫) চিকিৎসাধীন। তিনি প্রাথমিকভাবে আশঙ্কামুক্ত।
×