ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

গাছতলায় পাঠদান

প্রকাশিত: ০৬:৩৬, ২৯ মে ২০১৭

গাছতলায় পাঠদান

স্টাফ রিপোর্টার, কুড়িগ্রাম ॥ শ্রেণীকক্ষের সঙ্কটে চিলমারী উপজেলার পাত্রখাতা ব্যাপারীপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর খোলা আকাশের নিচে পাঠদান করছে। এ অবস্থায় দিনের পর দিন লেখাপড়ায় বিঘœ ঘটায় অন্যান্য বিদ্যালয়ের তুলনায় পড়ালেখায় পিছিয়ে পড়ছে শিক্ষার্থীরা। সরেজমিনে দেখা গেছে, তিন রুমবিশিষ্ট একটি পুরনো ভবন থাকলেও সেটিও হয়ে পড়েছে ঝুঁকিপূর্ণ। এর মধ্যেই শিক্ষার্থীরা ক্লাস করলেও কক্ষ আর অবকাঠামোর অভাবে ১ম শ্রেণীর ৪০ শিক্ষার্থীকে শিক্ষা গ্রহণ করতে হচ্ছে খোলা আকাশের নিছে গাছতলায়। ১৯৮৫ সালে চিলমারী উপজেলার পাত্রখাতা মিনাবাজার এলাকায় ব্যাপারীপাড়া গ্রামে স্কুলটি প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠার কিছুদিন পর একটি তিন রুমবিশিষ্ট ভবন নির্মাণ হলেও তা এখন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। সামান্য বৃষ্টি হলেও ছাদ বেয়ে পানি পড়ে। ফলে শিক্ষার্থীদের বৃষ্টির সময় এক পাশে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। তবু গাদাগাদি করে পাঠদান কার্যক্রম চলছে। স্থান সঙ্কুলান না হওয়া প্রথম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের বসানো হয়েছে বিদ্যালয়ের মাঠে থাকা একটি গাছতলায়। ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের সঙ্গে সঙ্গে খোলা আকাশের নিচে পাঠদান অব্যাহত থাকায় বিদ্যালয়টির শিক্ষার মান দিন দিন পিছিয়ে পড়ছে। একদিকে যেমন শিক্ষার্থীরা অপরদিকে অভিভাবকগণ পড়েছেন মহাচিন্তায় আর এই কারণে অনেক অভিভাবক সন্তানদের দূরের স্কুলে ভর্তি করছে বলেও জানান এলাকাবাসী। পাবনা নিজস্ব সংবাদদাতা পাবনা থেকে জানান, চাটমোহর উপজেলার ছাইকোলা উত্তরপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ পরিত্যক্ত ঘোষণার পর দীর্ঘকালেও নতুন ভবন নির্মাণ করা হয়নি। তাই এ স্কুলের ২৫০ শিক্ষার্থীর খোলা আকাশের নিচে গাছতলায় ক্লাস নিতে হচ্ছে। রোদ-বৃষ্টিতে খোলা জায়গায় পাঠদানে শিক্ষার্থীদের নানা বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে। দীর্ঘদিনেও ভবন নির্মাণ না করায় অনেক অভিভাবক শিক্ষার্থীদের অন্য স্কুলে ভর্তি করছে বলে এলাকাবাসী জানিয়েছে। জানা গেছে, ছাইকোলা উত্তরপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় ১৯৩৩ সালে প্রতিষ্ঠালাভ করে। এ স্কুলটি সরকারীকরণ করা হয় ১৯৭৩ সালে। ১৯৭৫ সালে নির্মিত হয় ৪ কক্ষবিশিষ্ট টিনশেড আধা পাকা স্কুল ভবন। যার একটি অফিস কক্ষ আর ৩টি শ্রেণীকক্ষ। একপর্যায়ে ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ ও ব্যবহার অযোগ্য হয়ে পড়ে। স্কুলের প্রধান শিক্ষক লিখিতভাবে বিষয়টি উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানান। কর্তৃপক্ষ স্কুল পরিদর্শন করে ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করে। বেশ কয়েক বছর এভাবে চললেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ স্কুল ভবন নির্মাণে কোন পদক্ষেপ নেয়নি বলে সংশ্লিষ্টরা অভিযোগ করেছেন। শিক্ষার্থীদের জীবনের ঝুঁকি থাকায় বর্তমানে পাঠদান চলছে খোলা আকাশের নিচে গাছতলায়।
×