ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ফুলবাড়ীতে এসিড সন্ত্রাসের শিকার গৃহবধূ

প্রকাশিত: ০৬:৩৬, ২৯ মে ২০১৭

ফুলবাড়ীতে এসিড সন্ত্রাসের শিকার গৃহবধূ

স্টাফ রিপোর্টার, কুড়িগ্রাম ॥ পারিবারিক কলহের জেরে ফুলবাড়ীতে দুর্বৃত্তের ছোড়া এসিডে গৃহবধূর শরীর ঝলসে গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে, শনিবার রাত ৯টায় নাওডাঙ্গার সীমান্তবর্তী বালাতারী গ্রামে। জানা গেছে, ওই গ্রামের এমদাদুল হক বুলুর স্ত্রী রাশেদা বেগম তাদের পরিত্যক্ত বাড়ির পেছনের লিচু বাগানে বাদুড় তাড়ানোর জন্য গেলে ঝোপের আড়ালে থাকা দুর্বৃত্তরা তাকে লক্ষ্য করে তরল পদার্থ ছুড়ে মারে। রাশেদার শরীরে যন্ত্রণা শুরু হলে তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে ফুলবাড়ী হাসপাতালে ভর্তি করে। ফুলবাড়ী হাসপাতালে এসিডের সন্ত্রাসের শিকার রাশেদা জানায়, পারিবারিক কলহের জেরে আমার গায়ে এসিড ছুরে মারা হয়েছে। আমি তাদের চিনেছি। তিনি আমার আপন ননদের স্বামী আবু তালেব গং। রাশেদার কলেজ পড়ুয়া মেয়ে বিপাশা জানায়, আমি আমার মা ছোট ভাইসহ লিচু বাগানে প্রবেশ করা মাত্রই তারা মায়ের গায়ে বোতলে ভরা তরল পদার্থ ছুড়ে মারে। পরক্ষণেই বুঝতে পারি মাকে এসিড মারা হয়েছে। ‘তুলে নেয়া’ ছেলেকে ফিরিয়ে দিতে মায়ের আকুতি স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ রেজওয়ান হোসেন (২২) নামে এক কলেজছাত্রের খোঁজ চেয়েছে তার পরিবার। তাদের দাবি, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর লোকজনই তাকে গত বছর তাকে তুলে নিয়ে যায়। তবে, পুলিশ এ দাবি অস্বীকার করছে। রবিবার দুপুরে প্রেসক্লাব যশোর কনফারেন্স রুমে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বাবা মিজানুর রহমান, মা সেলিনা বেগম, বড় ভাই রিপন হোসেন বলেন, গত বছরের ৪ আগস্ট বেলা ১২টার দিকে রেজওয়ানকে বেনাপোল ভূমি অফিসের সামনে থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর সদস্যরা তাকে জোর করে ধরে নিয়ে যায়। তাদের দাবি, ‘প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে জানতে পারি, বেনাপোল পোর্ট থানার এসআই নূর আলমের নেতৃত্বে তাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।’ সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সেদিনই পোর্ট থানায় যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু থানা-পুলিশ রেজওয়ানকে আটকের বিষয়টি অস্বীকার করে। এমনকি পরদিন একটি জিডি করতে গেলেও তা নেয়নি পুলিশ। নিখোঁজ রেজওয়ানের মা ছেলের সন্ধান দাবি করে কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘আমার সন্তান যদি কোন অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকে, তাহলে প্রচলিত আইনে তার বিচার করা হোক।
×