ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১

তিন বছরে ১১শ’ কেজি চোরাই স্বর্ণ জব্দ

প্রকাশিত: ০৬:২০, ২৯ মে ২০১৭

তিন বছরে ১১শ’ কেজি চোরাই স্বর্ণ জব্দ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ২০১৪ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর দেশের বিমানবন্দরগুলো থেকে ১ দশমিক ১ টন বা ১১০০ কেজির বেশি চোরাই স্বর্ণ জব্দ করেছে। এছাড়া আলোচ্য সময়ে স্বর্ণ চোরাচালানের অভিযোগে আটক করা হয়েছে ১০০ জনের বেশি প্রবাসী বাংলাদেশীকে। ফ্রান্সভিত্তিক সংবাদ সংস্থা এএফপির এক খবরে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে প্রতি বছর যে বিপুল পরিমাণ স্বর্ণ চোরাই পথে আমদানি হয়- তার একটা অংশ দেশের জুয়েলার্সগুলোই কিনে নেয়। আর বাকিটা বাংলাদেশ থেকে আবার পাচার হয় ভারতে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি স্বর্ণ আমদানিকারক দেশ ভারত। তবে সেখানে পণ্যটির আমদানি শুল্ক অনেক বেশি হওয়ায় দেশটির ব্যবসায়ীরা চোরাই পথে স্বর্ণ আমদানি করে। এজন্য বাংলাদেশকে ট্রানজিট রুট হিসেবে ব্যবহার করে তারা। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ থেকে চোরাই স্বর্ণ সব সময় অর্থের বিনিময়ে কেনে না ভারতীয় ব্যবসায়ীরা। কখনও কখনও মাদকদ্রব্য বা গবাদি পশুর পরিবর্তে বাংলাদেশের চোরাকারবারিদের থেকে স্বর্ণ কিনে তারা। এএফপির এই প্রতিবেদনে স্বর্ণ চোরাচালানের নানা উপায় সম্পর্কেও বলা হয়েছে। তবে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের পরিচালক মঈনুল ইসলাম খানের বরাত দিয়ে এতে বলা হয়েছে, অধিদফতরের তৎপরতায় চোরাচালানের হার আগের তুলনায় কিছুটা কমেছে। এদিকে বাংলাদেশের স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা চোরাই পথে আসা স্বর্ণ ক্রয় করেন না বলে দাবি করেছেন বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতির সভাপতি গঙ্গাচরণ মালাকার। তার দাবি, চোরাইপথে আসা স্বর্ণ তারা ব্যবহার করেন না। চোরাই পথে আসা সব স্বর্ণই ভারতে চলে যায়। সেখানে স্বর্ণে আমদানি শুল্ক বাংলাদেশের তুলনায় কয়েকগুণ বেশি হওয়ায় বাংলাদেশকে ট্রানজিট হিসেবে ব্যবহার করছে ওই দেশের স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা। তবে বাংলাদেশেও স্বর্ণের আমদানি শুল্ক আরও কমানো উচিত বলে মনে করেন তিনি। অন্যদিকে মঈনুল ইসলাম খান বলেন, সম্প্রতি কয়েকটি জুয়েলার্সে অভিযান চালিয়ে দেখা গেছে, সেখানে ঘোষণার বাইরেও স্বর্ণ আছে। এগুলো বৈধ পথে আমদানি করা হয়নি। জুয়েলার্সের মালিকরা ওসব স্বর্ণের বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। সাম্প্রতিক অভিযানে বিপুল পরিমাণ অবৈধ স্বর্ণ জব্দ করা হয়েছে। তবে ২০১৩-১৬ সময়ের তুলনায় ২০১৪-২০১৭ সময়ে চোরাই স্বর্ণ আটক কিছুটা কমেছে। ২০১৩ সালে ৬২০ কেজি, ২০১৪ সালে ১৫৩৯ কেজি ও ২০১৫ সালে ৭৮৪ কেজি স্বর্ণ আটক হয়েছিল।
×