ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

এনএলডি বৈঠকে যৌক্তিক হারে লোড বণ্টনের নির্দেশ মন্ত্রণালয়ের

শহর-গ্রাম সর্বত্রই যৌক্তিক পর্যায়ে বিদ্যুত পাবে

প্রকাশিত: ০৬:০৯, ২৮ মে ২০১৭

শহর-গ্রাম সর্বত্রই যৌক্তিক পর্যায়ে বিদ্যুত পাবে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সারাদেশে যৌক্তিকহারে লোড বণ্টনের নির্দেশ দিয়েছে বিদ্যুত মন্ত্রণালয়। শুধু শহরকে বিদ্যুত প্রাপ্তির তালিকার উর্ধে না রেখে গ্রামীণ এলাকায়ও বিদ্যুত দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। শনিবার থেকে বিদ্যুত পরিস্থিতির খানিকটা উন্নতির মধ্যে ন্যাশনাল লোড ডেসপাস সেন্টারে (এনএলডিসি) বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। বিদ্যুত সচিব ড. আহমেদ কায়কাউসের সভাপতিত্বে বৈঠকে পিডিবি চেয়ারম্যান, পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক, আরইবি চেয়ারম্যান, ডেসকো, ডিপিডিসি, ওজোপাডিকো এবং নর্থ-ওয়েস্ট জোন বিতরণ কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে বলা হয়, বিদ্যুত পরিস্থিতির উন্নতি হলে শুধু শহুরে মানুষ তার সুবিধা ভোগ করে গ্রামের মানুষ লোডশেডিংয়ের মধ্যেই থাকে। এই পরিস্থিতির পরিবর্তন করতে হবে। শহর এবং গ্রামকে আনুপাতিক হারে বিদ্যুত দিতে হবে। যদিও সরকারের আগের নির্দেশনায় বলা হয়েছিল প্রথমে রাজধানীর সঙ্গে অন্য মেট্রোপলিটন এলাকা, ক্রমান্বয়ে জেলা, উপজেলা এবং গ্রামে লোড বণ্টন হবে। এ কারণেই গ্রামের প্রান্তিক গ্রাহকরা কম বিদ্যুত পেত। শনিবার সরকারী ছুটির দিনে বিকেল পৌনে চারটায় ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ডিপিডিসি) চাহিদা ১ হাজার ৩১২ মেগাওয়াটের পুরোটাই সরবরাহ পেয়েছে। একইভাবে ঢাকা ইলেক্ট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি (ডেসকোÑ চাহিদার ৭৭১ মেগাওয়াট এবং পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি) চাহিদার পুরো ৩ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট সরবরাহ পেয়েছে। সরকারী ছুটির দিন হওয়ায় সারাদেশে অফিস- আদালত বন্ধ থাকায় চাহিদা কম ছিল। আজ থেকে শুরু হচ্ছে পবিত্র মাহে রমজান। রমজানে সেহরি, ইফতার ও তারাবির নামাজে বিদ্যুতের লোডশেডিং না করতে বিতরণ কোম্পানিকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ সময়ে বিদ্যুত বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে এমন প্রতিষ্ঠান যেন বিদ্যুত ব্যবহার না করে সে জন্য কঠোর নজরদারির নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এনএলডিসির বৈঠকের পর পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন জনকণ্ঠকে বলেন, আমরা লোড শেয়ারিং করে পরিস্থিতি সামাল দেয়ার নির্দেশ দিয়েছি। এখানে সবাই যেন যৌক্তিকহারে বিদ্যুত পায় বিষয়টি নিশ্চিত করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এতে গ্রামে তুলনামূলক বেশি সরবরাহ হবে। এতে গ্রামের মানুষও স্বস্তি পাবে। বিদ্যুত বিভাগের হিসাব বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে সরল হিসেবে রমজানে তাপমাত্রা না কমলে লোডশেডিং বিব্রতকর পরিস্থিতি তৈরি করবে। চাহিদা এবং উৎপাদন বিশ্লেষণ করে সংশ্লিষ্টরা বলছেনÑ রমজানে ১০ হাজার মেগাওয়াট উৎপাদন হলেও লোডশেডিং করতে হবে অন্তত দুই হাজার মেগাওয়াট। তবে বৃষ্টি হলে তাপমাত্রা কমলে চাহিদা কমলে লোডশেডিংয়ের মাত্রা কমতে পারে। এদিকে রমজানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পেট্রোবাংলার কাছে দৈনিক এক হাজার ২০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের চাহিদা দেয় পিডিবি। কিন্তিু এখন পর্যন্ত পেট্রোবাংলা এক হাজার মিলিয়ন ঘনফুট পর্যন্ত সরবরাহ দিতে পেরেছে। পেট্রোবাংলা বলছে তারা কোনক্রমেই এক হাজার ১০০ মিলিয়ন ঘনফুটের বেশি গ্যাস সরবরাহ করতে পারবে না। এতে রমজানেও পুরোদমে গ্যাস চালিত বিদ্যুত কেন্দ্র চালানো যাবে না। এর বাইরে বন্ধ ১০ বিদ্যুত কেন্দ্রের মধ্যে সামিট বিবিয়ানা ছাড়া অন্য সব বড় কেন্দ্র চালু হয়েছে।
×