ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

পুলিশের ওপর নজরদারি

প্রকাশিত: ০৫:৪৭, ১৭ মে ২০১৭

পুলিশের ওপর নজরদারি

পুলিশের খাতায় গাড়িচোর হিসেবে লাল কালিতে নাম ভারতের মধ্যপ্রদেশের বুলধানা জেলার ইকবালচকের বাসিন্দা সাইদ ইউসুফের (শাকিল)। উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেছেন। তিন বছর বুলধানার রিজিওনাল ট্রান্সপোর্ট অফিসে (আরটিও) এজেন্ট হিসেবে কাজ করেন। তারপর হঠাৎই তিনি বড়সড় গাড়িচোর হিসেবে নাম করে ফেলেন পুলিশ মহলে। এমনকি তাকে ধরতে পুলিশকে রীতিমতো নাকানিচোবানি খেতে হয়েছে বারবার। ক্রাইম ব্রাঞ্চের সিনিয়র পুলিশ ইন্সপেক্টর নিতিন ভোঁসলে পাতিল বলেন, ‘শাকিলকে তো একবার প্রায় হাতেনাতে ধরেই ফেলেছিলেন এক পুলিশ কর্মী। কিন্তু ফসকে যায়। তবে অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে পুনে সিটি পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ গত সপ্তাহে জুনাবাজার থেকে গ্রেফতার করেছে তাকে। বুলধানা জেলার ইকবালচকে ডন নামেই পরিচিত শাকিল। সেখানে তার তিনতলা বাড়ি আছে। বাড়িতে লাগানো আছে ২৫টি সিসিটিভি ক্যামেরা। বাড়ির ভেতর কে ঢুকছে, কে বেরোচ্ছে, এমনকি তার বাড়িতে পুলিশ নজর রাখছে কি-না, সর্বক্ষণ তদারকি করছে এ ক্যামেরাগুলো। এ বাড়িতে দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে থাকেন শাকিল। প্রথম স্ত্রী থাকেন অন্য জায়গায়। শাকিলের বাড়িতে এত সিসিটিভি থাকার কারণ কী? পুলিশের দাবি, তার বাড়ির চারপাশে লাগানো সিসিটিভি ক্যামেরা দিয়ে বাড়িতে বসেই পুলিশের ওপর সর্বক্ষণ নজর রাখেন তিনি। তার বাড়ির পেছনে রয়েছে পাঁচটি পালানোর রাস্তা। পুলিশ যদি হানা দেয়, ওই রাস্তা দিয়েই বারবার চম্পট দেন শাকিল। ক্রাইম ব্রাঞ্চের কর্মকর্তা পঙ্কজ ধাহানে জানান, ইনোভা, এসইউভির মতো দামী গাড়ি চুরি করেন শাকিল, যেগুলো সেকেন্ডহ্যান্ড গাড়ি হিসেবে বিক্রি হলেও ভাল দাম পান তিনি। শাকিলের বিরুদ্ধে ১২টি গাড়ি চুরির অভিযোগ রয়েছে। ধাহানে আরও জানান, মধ্যপ্রদেশের চিনচোর থেকে গাড়ি চুরি করে শাকিল হায়দরাবাদে গিয়ে বিক্রি করেন। তল্লাশি চালিয়ে হায়দরাবাদ এবং অওরঙ্গাবাদ থেকে দুটি ইনোভা উদ্ধার করেছে পুলিশ। -জি নিউজ
×