ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

কৃষক দেবে, ধনীরা পাচার করবে, মৌলবাদী পেছনে টানবে!

প্রকাশিত: ০৩:৩৪, ১৬ মে ২০১৭

কৃষক দেবে, ধনীরা পাচার করবে, মৌলবাদী পেছনে টানবে!

ছাত্রাবস্থায় একটিই স্বপ্ন দেখেছিÑ কৃষক, শ্রমিকেরা দরিদ্র থাকবে না, ধনী-দরিদ্রের ব্যবধান থাকবে না, নারী-পুরুষের সমতাভিত্তিক শিশুর জন্য নিরাপদ এক সমাজ ও রাষ্ট্রের। সে স্বপ্ন কখনও আমাদের অনেককে এখনও ছেড়ে যায়নি। আমরা সে স্বপ্ন খানিকটা হলেও বাস্তবায়িত হবে- সে আশায় এখনও গভীরভাবে বিশ্বাস করি। বিগত এক দশকে কৃষিক্ষেত্রে সবরকম রাষ্ট্রীয় সহায়তা লাভের ফলে কৃষক জাতিকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা উপহার দিয়েছে- এমন মহামূল্যবান প্রতিদান আর কোন পেশাজীবী দিয়েছে বলে আমাদের জানা নেই। এবার, এই বোরো ধান, যা শুনছি পুরো দেশের বার্ষিক উৎপাদিত ধানের অর্ধেক, প্রায় পাকা এবং ধান কাটা শুরুর সপ্তাহখানেক আগে দুর্ভাগ্যজনকভাবে অসময়ের তুমুল বৃষ্টি ও পাহাড়ী ঢলের পানিতে সব হাওলের প্রায় সব ধান তলিয়ে গিয়ে কৃষক সর্বস্বান্ত হয়ে গেছে। এ ঘটনা জাতির জন্য এক বিপদ সঙ্কেত। কেননা মধ্যম আয়ের দেশের মর্যাদা পেতে অগ্রসর হওয়া বাংলাদেশ বিগত ৭-৮ বছর যাবত খাদ্যে উদ্বৃত্ত দেশ হয়ে অনেক এশীয় দেশের মধ্যে যে শক্ত অবস্থান গ্রহণ করেছিল, সে অবস্থানটিতে একটি আঘাত হয়ে এসেছে এই প্রাকৃতিক বিপর্যয়টি। অসময়ের ভারি বৃষ্টি ও পাহাড়ী ঢল প্রাকৃতিক ঘটনা। কিন্তু সময়মতো বাঁধ তৈরি এবং এর সংরক্ষণ কাজটি যে সময়মতো হয়নি, তা স্বীকার করে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কয়েক কর্মকর্তা প্রমাণ করল- এবারের হাওড়ের সব ধান পানিতে তলিয়ে যাওয়ার নেপথ্যে প্রধান হলো মানুষ সৃষ্ট কারণ- বাঁধ তৈরি ও রক্ষণাবেক্ষণে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের চরম দায়িত্বহীনতা, উদাসীনতা, নাকি ইচ্ছাকৃত নাশকতা, যেটিই হোক, তা সংঘটিত হয়েছে। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার অবস্থানটি ধরে রাখার জন্য সরকারকে দ্রুত কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। তা ছাড়া, সর্বশ্রেষ্ঠ দেশপ্রেমিক কৃষক শ্রেণীর জন্য খাদ্য, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, জীবিকা, নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেও যথাযথ পদক্ষেপ দ্রুত গ্রহণ করতে হবে। সরকার তো অবগত আছে যে, প্রশাসনের রন্ধ্রে রন্ধ্রে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সরকারবিরোধী কর্মকর্তাদের একটি বড় সংখ্যা বসে আছে, যারা অবশ্যই খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ বাংলাদেশকে খাদ্যে পরনির্ভরশীল করতে চায় এবং সে লক্ষ্যে কাজও করছে। ওরা এবারই কাজটি গুরুত্ব দিয়ে করেছে বলে ধারণা হয়। কেননা সামনেই নির্বাচন। নির্বাচনের আগের বছর এই বোরো মৌসুমকে নাশকতার জন্য বাছাই করা হয়ে থাকলে আশ্চর্য হওয়ার কিছু থাকবে না। সম্ভবত হাওড়ের ধান রক্ষাকারী বাঁধগুলো সব সময় এমনই অরক্ষিত থাকে। প্রকৃতি এবারের মতো আগাম বৃষ্টি, পাহাড়ী ঢল এতদিন দেয়নি এবং মাত্র ধান কাটার সাতদিন আগে এবার এটি ঘটার ফলে জাতি এবং সরকার, কৃষক, ধান, খাদ্য কত বড় বিপদ মাথায় নিয়ে এতদিন চলেছে, সে বিষয়টি সম্ভবত সরকার, কৃষক, জনগণ এবার উপলব্ধি করেছে। তবু, একেবারে না জানার চাইতে দেরিতে জানাও ভাল, যাতে ভবিষ্যতে হাওড়ের কৃষকের ধান রক্ষা করা সম্ভব হয়। বড় কথা হলো, হাওড়ের ধান রক্ষার পন্থা নিয়ে দেশপ্রেমিক কৃষিবিদ, প্রযুক্তিবিদ ও কৃষকদের সঙ্গে নিয়ে কাজ করে প্রকৃতি ও বিরূপ মানুষদের পরাজিত করতে হবে। কৃষি এবং কৃষক না বাঁচলে, জাতি ও দেশ বাঁচবে না, মধ্যম আয়ের দেশ তো দূরঅস্ত। কৃষিবান্ধব এ সরকার, প্রধানমন্ত্রী, কৃষিমন্ত্রী, পানিমন্ত্রী একযোগে এ ক্ষেত্রের সব বাধা ও সমস্যা দূর করবেন- জাতি এটাই আশা করে। অপরদিকে দেশের ধনী ব্যবসায়ীদের একটি অংশকে দেখা যাচ্ছে- দেশে বৈধ, অবৈধ উপায়ে উপার্জন করা অর্থ বিদেশে বিনিয়োগ করে বাড়ি, গাড়ি কিনছে, শিল্প-ব্যবসা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করছে, সন্তানদের বিদেশে রেখে পড়াশোনা করাচ্ছে, অনেকেই মালয়েশিয়ার ‘সেকেন্ড হোম’ প্রকল্পে বাড়ি, ফ্ল্যাট কিনেছে। অর্থাৎ ওরা দেশে যে অর্থ ব্যয় করা যেত, সে অর্থ বিদেশে অধিকাংশ অবৈধ পথে, দুর্নীতির আশ্রয় গ্রহণ করে নিয়ে যাচ্ছে। এ থেকে একটা বিষয় পরিষ্কার হয়- এসব ব্যক্তি নিজ ও নিজ পরিবারকেই একমাত্র বিবেচনা করে এবং এরা দেশ-নিরপেক্ষ মনের অধিকারী। এদেশের ভাল-মন্দে এদের কিছু আসে যায় না। শুধু নিজের পরিবারের স্বার্থহানি হলে এরা জাতি ও দেশবিরোধী হতে মুহূর্ত বিলম্ব করে না। সেখানে দেশের দরিদ্র কৃষক, শ্রমিকের সর্বস্বান্ত হওয়া, দেশের গুরুতর প্রাকৃতিক বিপর্যয়, যেমন হাওড়ের অধিকাংশ ধান বিনষ্ট হওয়ায় নিঃস্ব কৃষকের সহমর্মী হবে, এটা আশা করার কোন কারণ নেই। এরা নিজেদের, তাদের সন্তানদের বাংলাদেশী, এ রাষ্ট্রীয় পরিচয়টি দিতেও লজ্জাবোধ করে। রাষ্ট্রীয় পরিচয়টি বা মুক্তিযুদ্ধ বা বাংলা ভাষা ও সাহিত্য, কিংবা রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, অথবা লালন, রাধারমণ, শাহ আবদুল করিম প্রমুখ কীর্তিমানদের পরিচয় সম্পর্কে এরা অজ্ঞ অথবা উদাসীন, গৌরববোধ করা তো অনেক দূরের কথা! তাহলে, এরা কারা? এ প্রশ্ন উঠতেই পারে। এরা কি রবীন্দ্রনাথের ব্যাখ্যায় আন্তর্জাতিক মানুষ? তা তো একবারেই মনে হয় না। সেই মানুষরা তো সব ধর্ম, বর্ণ, জাতের উর্ধে ওঠা মানুষ। যারা মানবধর্ম অনুশীলন করেন, তারা কি বিদেশের অচেনা মাটি, পরিবেশে বিলাস জীবন, ঘরবাড়ি, ভোগ্যপণ্য ভোগ করে স্বর্গসুখ উপভোগ করতে পারেন? এরা আর বাঙালী কৃষক, শ্রমিক, কবি-লেখক, সাধক লালন, রাধারমণ, শাহ্ আবদুল করিম- একেবারে দুই মেরুর বাসিন্দা নয় কি? যারা ‘দিনান্তে শাকান্ন’ গ্রহণ করে অঋণী ও অপ্রবাসী থাকাকে পৃথিবীর সবচাইতে সুখী মানুষ বলেন, সে তো আমাদেরই কৃষক-শ্রমিক। একশ্রেণীর ভোগবিলাসিতা যে কি চরম রূপ ধারণ করেছে, তারই প্রমাণ বিদেশে এই বিপুল পরিমাণের অর্থ পাচার। এর মধ্যে দেখা গেল কেবিনেট সভায় ব্যাংকের মালিকদের পরিবারের চারজন সদস্য ব্যাংকের বোর্ডে সদস্য থাকার বিষয়টি। অনভিপ্রেত এ সিদ্ধান্তটি ব্যাংক মালিকদের দুর্নীতি বাড়াবে। ব্যাংকের মালিক পক্ষ, যাদের অনেকেই গ্রাহকের অর্থে ধনী হয়, যত ধনী হয়, তত বেশি অর্থ বিদেশে পাচার করে বলে জনগণ ব্যাংক মালিক ও ব্যাংক ম্যানেজারদের সন্দেহ করে, তারা এ নতুন অনাকাক্সিক্ষত নিয়মটি সরকার অনুমোদন করেছে জেনে ক্ষুব্ধ হয়েছে। কেননা এর ফলে ব্যাংকের ওপর ব্যাংক মালিকদের একচ্ছত্র অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে। গ্রাহক, সাধারণ সেবা গ্রহীতাদের স্বার্থকে আরও সঙ্কুচিত করার সম্ভাবনা জোরদার করা কোন দুর্নীতিবিরোধী জনদরদী সরকারের কাজ হতে পারে নাÑ এটিই জনমানুষ বিশ্বাস করে। এমনিতেই ব্যাংক সেবা গ্রহীতাদের সঞ্চয়ের অর্থ থেকে ব্যাংক কর্তৃক নানা চার্জ কর্তনের ফলে তাদের সঞ্চয় হ্রাস পায়। সরকারের এই নীতিবিরোধী সিদ্ধান্তের বদলে জনগণের পক্ষে শুভবুদ্ধির উদয় হবে, এ আশা জনমানুষের। সম্প্রতি সরকার সাধারণ শিক্ষার শিক্ষাক্রমকে কওমী মাদ্রাসার মাওলানাদের প্রদত্ত সাম্প্রদায়িক, কূপমন্ডূক দৃষ্টিকোণ থেকে গল্প-কবিতা বর্জন ও সংযুক্তকরণের তালিকাকে বিনা প্রশ্নে এনসিটিবির ওপর চাপিয়ে দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত এ দেশের মূল ভিত্তিতে আঘাত করে কি ফায়দা লাভ করেছে, তা জনগণ বুঝতে অক্ষম। মৌলবাদকে তোষণ করে কোন উন্নয়ন সম্ভব নয়, তা পুরো দুনিয়ায় পরীক্ষিত। বরং জনগণ চায়, সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকা ওই কওমী মাদ্রাসানির্ভর দল হেফাজতে ইসলামের ’৭১-এর ভূমিকা যুদ্ধাপরাধের জন্য গঠিত ট্রাইব্যুনালের অনুসন্ধান টিমের মাধ্যমে তদন্ত করা হোক। তা ছাড়া কোন দল যদি নাশকতা, অরাজক অবস্থা তৈরির জন্য সমাবেশ, র‌্যালি করতে চায়, সেটি বন্ধ করা, ১৪৪ ধারা জারি করা, হেফাজতের ২০১৩ সালের তা-বের জন্য রুজু করা মামলাগুলো সক্রিয় করে তাদের নেতাদের বিচার শুরু করে তাদের মোকাবেলা করা সম্ভব। সরকারকে এ পথেই অগ্রসর হতে হবে। গোয়েন্দা, পুলিশ-র‌্যাব বর্তমানে জঙ্গী দমনে যে তৎপরতা ও সফলতা দেখাচ্ছে, সরকারকে তা অব্যাহত রাখতে মাদ্রাসাগুলোতে শিক্ষা ও সহ-শিক্ষা ক্রমিক কার্যক্রমে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধের সঞ্চার করার কাজটি দ্রুতই শুরু করতে হবে। দেখা যাচ্ছে মাদ্রাসা শিক্ষা সংস্কার না করায় বাঙালীর মুক্তিযুদ্ধ ও সংস্কৃতিবিরোধী হেফাজতের মাওলানারা স্কুলে ছবি আঁকা যাবে না, ছেলেমেয়ে এক সঙ্গে পড়াশোনা করতে পারবে না, ভাস্কর্য থাকতে পারবে নাÑ এসব দাবি তুলছে, যা শোনার পর মনে হয় না কি যে এরা বাংলাদেশকে কোথায় নিয়ে যেতে চাচ্ছে? আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী ব্লগারদের একের পর এক খুন হতে হয়েছিল তাদের বিজ্ঞানমনস্ক রচনার জন্য। তা হলে এখন কি বোঝা যাচ্ছে না, এদের হত্যার নেপথ্যে আনসারুল্লাহ বাংলা টিম বা নব্য জেএমবির নেতাদের পাশে এসব মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী, নারীর উন্নয়নবিরোধী, হিন্দুবিরোধী, আহমদীয়াবিরোধী, বাঙালী সংস্কৃতিবিরোধী মাওলানাদের দলগুলোর যোগ থাকা অসম্ভব নয়? সরকারকে অপরাধীকে অপরাধী হিসেবে গণ্য করতে হবে- তাদের আলাদা, ভিনগ্রহের ‘বাসিন্দা’ গণ্য করার কোন কারণ নেই। বরং অযোগ্যকে, মূর্খকে সম্মান করলে নিজেকে ক্ষুদ্র করা হয়। অযোগ্য মাথায় উঠে যা অযৌক্তিক, তা করতে ভ্রƒক্ষেপ করে না। এ দেশের উন্নয়ন, জনমানুষের উন্নয়নে যদি তারা বিশ্বাস করত, তবে তারা কখনই ২০১৩-এ শাপলা চত্বরকে কেন্দ্র করে ওই রকম ধ্বংসযজ্ঞ চালাতে পারত না। তাদের ধর্মীয় চেতনা ও তাদের এমন নাশকতার কাজে কেউ বাধা দেয়নি- এটা কি আশ্চর্য নয়? এরা সাম্প্রদায়িক শুধু নয়, এরা বিজ্ঞান, প্রগতিশীল চিন্তার বিরোধী। সর্বোপরি, মুসলিমদের একটি শাখা-আহমদীয়া, শিয়াবিরোধীও! উপরন্তু সবরকম সাংস্কৃতিক কর্মকা-, নৃত্য, গীত, চারু, কারু শিল্প, ভাস্কর্য, এমনকি বাংলা নববর্ষেরও বিরোধী! আর এরাই আমাদের বিজ্ঞানমনস্ক তরুণদের কাফের ও মুরতাদ ঘোষণা করে প্রমাণ করেছিল, এরা এদের কতল্ করতে চায়। কী ভয়ঙ্কর! মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে ওরাই কি মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবাহক সরকারকে নির্দেশনা দেবে? তা ছাড়া এ যুগে ইউরোপ কি নাজিদের বা আইএসপন্থীদের অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজে ও রাষ্ট্রে অন্তর্ভুক্ত করবে? কখনই নয়। যারা তাদের প্রদত্ত দাবির মধ্য দিয়ে নিজেদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অসাম্প্রদায়িক, নারী এবং বিজ্ঞানমনস্কতার বিরোধী, সাম্প্রদায়িক ভেদ-বুদ্ধিতে বিশ্বাসী প্রমাণ করেছে, তাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সমাজে অন্তর্ভুক্তি, তাদের বাড়বাড়ন্তে সহায়ক হবে এবং ফলে আক্রান্ত ও ধ্বংস হবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার রাষ্ট্র। সম্প্রতি বিদেশী এক পত্রিকায় বাংলাদেশের গ্রামের জনমত জরিপে নাকি ৫৭% শরিয়া রাষ্ট্র বা ধর্ম রাষ্ট্রের পক্ষে মত দিয়েছে- যা বিদেশীদের সেই ‘মডারেট মুসলিম রাষ্ট্র’ গঠনের প্রবল ইচ্ছা, এ দেশে আইএস আছে, তা প্রমাণে তাদের প্রচারণার অংশ বলে বোঝা যায়। এমন প্রচার, প্রচারণা আরও বাড়বে। এদিকে পরপর আত্মঘাতী জঙ্গী নিহত হওয়ার মধ্যেই এক বড় জঙ্গী নেতা বিমানবন্দরের গোয়েন্দাদের চোখ ফাঁকি দিয়ে, নাকি হাত করে দেশে ঢুকেছে, যখন খালেদা জিয়া ‘ভিশন’ কর্মসূচী দিয়েছে! সরকারকে এসব কিছুই ভেবে দেখতে হবে। লেখক : শিক্ষাবিদ
×