মোবাইলে প্রবাসী স্বামীকে দৃশ্য দেখিয়ে স্ত্রীর আত্মহত্যা

নিজস্ব সংবাদদাতা, ঠাকুরগাঁও, ১৩ মে ॥ আত্মহত্যার দৃশ্য দুবাই প্রবাসী স্বামীকে দেখিয়ে স্ত্রী গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছে। আত্মহত্যাকারী গৃহবধূ ঠাকুরগাঁও শহরের তাঁতিপাড়া মহল্লার বাসিন্দা সাবিনা ইয়াসমিন (৩৫)। শনিবার সকাল সদর থানা-পুলিশ ঘরের দরজা ভেঙ্গে সাবিনা ইয়াসমিনের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে। তাঁতিপাড়ার ভাড়া বাসায় মোবাইল ফোনের ভিডিও কলে প্রবাসী স্বামীর সঙ্গে পারিবারিক কলহের একপর্যায়ে ভোরে সাবিনা গলায় শাড়ি পেঁচিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে বলে পুলিশ প্রাথমিক তদন্তে ধারণা করেছে। ইয়াসমিনের স্বামী বরিশাল জেলার গৌরনদী এলাকার সৈয়দ শাহনেওয়াজ দুবাইতে থাকেন। ইয়াসমিন দুই পুত্র সন্তান সৈয়দ শাহান (১৩) ও সৈয়দ আদনান (৯) ও মাকে নিয়ে তাঁতিপাড়ায় এক বাসায় ভাড়া থাকেন। ইয়াসমিনের পিতার বাড়ি সদর উপজেলার রুহিয়া থানার মধুপুর গ্রামে। ইয়াসমিনের মা শবেবরাতের সময় ইয়াসমিনের দুই সন্তানকে নিয়ে গ্রামের বাড়ি রুহিয়া-মধুপুর গ্রামে যান। ইয়াসমিন বাড়িতে একা ছিলেন। দুবাইতে সৈয়দ শাহনেওয়াজের দ্বিতীয় বিয়ে করাকে কেন্দ্র করে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। ঘটনার সময় ইয়াসমিন দুবাইতে অবস্থানরত তার স্বামীকে জানায় সে আত্মহত্যা করতে যাচ্ছে এবং আত্মহত্যার দৃশ্য মোবাইলে তার স্বামীকে সরাসরি দেখাতে থাকে। তার স্বামী সঙ্গে সঙ্গে ফোনে তার বড় ছেলেকে বিষয়টি জানায়। শহর থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত রুহিয়া-মধুপুর থেকে তার সন্তান ও অন্যরা এসে দেখে ঘরের দরজা বন্ধ। জানালা দিয়ে দেখা যায় সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ইয়াসমিনের লাশ ঝুলছে। পঞ্চগড়ে মা-মেয়ে স্টাফ রিপোর্টার পঞ্চগড় থেকে জানান, স্বামীর নির্মম নির্যাতনের শিকার এক গৃহবধূ প্রতিবন্ধী শিশু কন্যাসহ চলন্ত ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। শনিবার দুপুরে সদর উপজেলার বকুলতলা এলাকায় পার্বতীপুর থেকে ছেড়ে আসা পঞ্চগড়গামী একটি লোকাল ট্রেনের নিচে দুই বছর বয়সী শিশু কন্যা মনি বসাককে নিয়ে মা শ্যামলী বসাক (২২) ঝাঁপিয়ে পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই মা-মেয়ে কাটা পড়ে মর্মান্তিকভাবে মৃত্যুবরণ করে। নিহত গৃহবধূ শ্যামলী বসাকের বাবার বাড়ি জেলার আটোয়ারী উপজেলার বারো-আউলিয়া গ্রামে। বাবার নাম অরুন বসাক। নিহত শ্যামলী বসাকের শ্বশুর বাড়ি পাশর্^বর্তী ঠাকুরগাঁও জেলার রাজাগাঁও ইউপির রুহীয়া আসানপুর গ্রামে।