স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ ঝিকরগাছার শংকরপুর ইউনিয়নের ৪০ দিনের কর্মসৃজন প্রকল্পে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে সাড়ে তিন লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসক বরাবর এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগী শ্রমিকদের দেয়া অভিযোগে বলা হয়েছে, ‘ঝিকরগাছার শংকরপুর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান জামায়াত নেতা নিছার উদ্দিন অন্যান্য ইউনিয়নের মতো তার ইউনিয়নের গরিব অসহায় দিনমজুরদের জন্য ৪০ দিনের কর্মসৃজন প্রকল্পের কাজ পান। প্রথমবারের ২০ দিনের মজুরি শ্রমিকদের মাঝে সঠিকভাবে বিলি-বণ্টনও করা হয়। কিন্তু চেয়ারম্যান দ্বিতীয়বারের প্রকল্পে ২০ দিনের বদলে ১০ দিনের শ্রমের মজুরি জনপ্রতি এক হাজার ৭৫০ টাকা হারে ১৯১ ইউনিটের কাছ থেকে তিন লাখ ৩৪ হাজার ২৫০ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।’
অভিযোগ করা হয়েছে ওই চেয়ারম্যান এর আগেও ভিজিএফ, টিআর, এলজিএসপি, বয়স্কভাতা, মার্তৃত্বকালীন ভাতাসহ বিভিন্ন সময়ে আসা সরকারী অনুদান অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে আত্মসাত করেছেন। এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান নিছার উদ্দিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘প্রকল্পের সভাপতি মেম্বররা। তাদের সঙ্গে বসে বিষয়টি মিটিয়ে নেয়া ভাল। আমি এ ব্যাপারে কিছু বলব না।’
পার্বতীপুর
নিজস্ব সংবাদদাতা, পার্বতীপুর থেকে জানান, হতদরিদ্রদের জন্য ৪০ দিনের কর্মসূচীর বেহাল অবস্থা। এখানে দরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচী ২৯ এপ্রিল শুরু হয়। শেষ হবে ২৪ জুন। ১০ ইউনিয়নে প্রকল্পের মাটি কাটা কাজের জন্য নেয়া হয়েছে ৮৫টি প্রকল্প। সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে কোথাও সঠিকভাবে কাজ হচ্ছে না। পিআইও (প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়) অফিসের উপ-সহকারী প্রকৌশলী রামপুর ইউনিয়নে কাজ পরিদর্শনে গিয়ে দেখতে পান ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আহসান হাবিব জমিরহাট হাটখোলা সংস্কার কাজ বাদ দিয়ে কর্মসূচীর শ্রমিকদের দিয়ে তার নিজস্ব তুলশী পুকুরের পাড় সংস্কার করাচ্ছেন। এ ব্যাপারে বৃহস্পতিবার তাকে কৈফিয়ত তলব করে ওইদিনের সমস্ত কাজ বাতিল করা হয়। এছাড়াও চ-ীপুর, রামপুর, হামিদপুর, বেলাইচ-ী ও হরিরামপুর ইউনিয়ন পরিদর্শন করে কাজের সঠিক লোকসংখ্যা না পেয়ে ভুয়া হাজিরা বাতিল করা হয় বলে তিনি জানান। হাবড়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আনিসুজ্জামান আনিস জানান, এ কাজের প্রতিদিনের মজুরি মাত্র ২শ’ টাকা। যা অতি নগন্য।
তাছাড়াও গ্রামীণ জনপদে অভাবের সময়ের পরিবর্তে ধান কাটা-মাড়ার সময় এ কর্মসূচী শুরু করায় মাটি কাটার শ্রমিকরা বেশি মজুরি পেয়ে ধান কাটার কাজে ব্যস্ত। সে কারণে শ্রমিকের অভাবে কাজের প্রকল্প বাস্তবায়ন ব্যাহত হচ্ছে। কাজের ক্ষেত্রে ভুয়া হাজিরা দাখিল সঠিক নয় বলে জানান।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: