ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতাসহ চার খুন ॥ ২ লাশ উদ্ধার

প্রকাশিত: ০৫:১২, ৯ মে ২০১৭

ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতাসহ চার খুন ॥ ২ লাশ উদ্ধার

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ কক্সবাজারের উখিয়ায় ছাত্রলীগ নেতা, মীরসরাইয়ে যুবলীগ নেতা, সাতক্ষীরায় ছোট ভাইয়ের হাতে বড় ভাই ও মির্জাপুরে গৃহবধূ খুন হয়েছে। এছাড়া কুড়িগ্রামে ও রাজশাহীর তানোরে দুই যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। স্টাফ রিপোর্টার, নিজস্ব সংবাদদাতা ও সংবাদদাতাদের পাঠানো খবর- কক্সবাজার ॥ উখিয়ার পালংখালী ফারিরবিল এলাকায় ছাত্রলীগের বিবদমান দু’গ্রুপের সংঘর্ষে মজিবুর রহমান জাবু নামে স্কুল ছাত্রলীগ সভাপতি নিহত হয়েছে। রবিবার রাতে বটতলী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সে ফারিরবিলের মৃত জাফর আলমের ছেলে। জানা গেছে, পালংখালী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম জানান, সম্প্রতি পালংখালী উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের নব গঠিত কমিটিতে নিহত মজিবুর রহমান জাবু (১৬) সভাপতি নির্বাচিত হন। কমিটি ঘোষণার পর থেকে একটি গ্রুপ পদ না পেয়ে বেপরোয়া হয়ে ওঠে। তারই জের ধরে প্রতিপক্ষ ছাত্রলীগ নামধারী মাসুদুর রহমান শাকিল ও রিজভী তার ওপর হামলা চালিয়ে মারাত্মকভাবে ছুরিকাঘাত করে। ছাত্রলীগ সভাপতি সাইফুল দাবি করেন, রিজভী চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও ডাকাত দলের সদস্য। ঘটনার পর থেকে ফারিরবিল বটতলী এলাকায় দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। মীরসরাই, চট্টগ্রাম ॥ করেরহাট ইউনিয়নে গোলাম মোস্তফা (৪০) নামে যুবলীগ নেতাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। রবিবার রাত আনুমািনক ১ টার সময় উপজেলার করেরহাট ইউনিয়নের দক্ষিণ অলিনগর গ্রামে এই হত্যাকা-ের ঘটনা ঘটে। গোলাম মোস্তফা স্থানীয় করেরহাট ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। পাশাপাশি তিনি পোল্ট্রি ব্যবসার সঙ্গেও জড়িত ছিলেন। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঘটনার দিন করেরহাট বাজার থেকে রাতে নিজ মোটরসাইকেলযোগে গোলাম মোস্তফা বাড়ি ফিরছিলেন। বাড়ির উঠানে এলে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা দুর্বৃত্তরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে পালিয়ে যায়। পরে জোরারগঞ্জ থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। সাতক্ষীরা ॥ সাতক্ষীরায় ছোট ভাইয়ের হাতে বড় ভাই খুন হয়েছে। নিহত সোহাগ হোসেন (৩৫) কলারোয়া উপজেলার যুগীখালি ইউনিয়নের তরুলিয়া গ্রামের আব্দুল বারিক গাজীর ছেলে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা নেয়ার পথে সোমবার ভোরে আরিচা ফেরিঘাটে তার মৃত্যু হয়। পুলিশ জানায়, রবিবার সকালে আব্দুল বারিক গাজীর দুই ছেলের মধ্যে বাঁশ ঝাড়ের কঞ্চি ভাগাভাগি নিয়ে কথাকাটি হয়। কথাকাটির এক পর্যায়ে ছোট ভাই রসুল বড় ভাই সোহাগ হোসেনকে বাঁশ দিয়ে মাথায় আঘাত করে। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে কেশবপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে যশোর কুইন্স হাসপাতালে রেফার করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে ঢাকায় নেয়ার পথে আরিচা ফেরিঘাটে রাত চারটার সময় তার মৃত্যু হয়। মির্জাপুর ॥ রান্নাঘরের মেঝে খুঁড়ে আনোয়ারা বেগমের (৫৫) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রবিবার রাত দশটার দিকে আনাইতারা ইউনিয়নের পাঁচদোনা গ্রামের মোসলেম উদ্দিনের বাড়ি থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। আনোয়ারাকে পূর্বশত্রুতার জের ধরে পরিকল্পিতভাবে মাটিতে পুঁতে রাখা হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। জানা গেছে, আনোয়ারা বেগমের সঙ্গে তার চাচাত ভাইয়ের ছেলে লাবু ও বাবুলের মধ্যে জমিজমা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। সেই বিরোধের জের ধরে এই খুনের ঘটনাটি ঘটেছে বলে নিহত আনোয়ারা বেগমের ছেলে জাহাঙ্গীর জানিয়েছেন। আনোয়ারার স্বামী আব্দুল মান্নান সিলেট এবং ছেলে জাহাঙ্গীর ঢাকায় চাকরি করেন। বাড়িতে একা থাকার সুযোগে আনোয়ারাকে খুনীরা খুন করে লাশ ঘরের ভেতর মাটিতে পুঁতে রাখে বলে তিনি জানান। কুড়িগ্রাম ॥ সদর উপজেলার কাঁঠালবাড়ী ইউনিয়নের নেফারদরগা এলাকা থেকে জাহের আলীর (৩৫) মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টায় সদর থানা পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। সে সদরের বেলগাছা ইউনিয়নের পশ্চিম কল্যাণ ইউনিয়নের মৃত মোহাম্মদ আলীর। পুলিশ জানায়, নেফারদরগা গ্রামের মাঠের পাড়ে জমির মধ্যে তার লাশ দেখে এলাকাবাসী পুলিশকে খবর দেয়। সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে গলায় রশি পেঁচানো অবস্থায় লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে পূর্ব শক্রতার জের ধরে পরিকল্পিতভাবে শ^াস রোধ করে তাকে হত্যা করা হয়। রাজশাহী ॥ তানোর উপজেলায় আক্তার হোসেনের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার দুপুরে এলাকাবাসীর সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। আক্তার উপজেলার ভাগনা গ্রামের আবদুস সাত্তারের ছেলে। পুলিশের ধারণা রবিবার রাতে আক্তার আত্মহত্যা করেছেন। তবে আক্তারের স্ত্রী হিরা বেগমের অভিযোগ, তার স্বামীকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে আম গাছের ডালে লাশ ঝুলিয়ে দেয়া হয়েছে। যে গামছায় আক্তারের লাশ ঝুলছিল, সে গামছাটি তাদের না হওয়ায় এমন অভিযোগ তুলেছেন হিরা। তাছাড়া আক্তারকে হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছিল বলেও দাবি করছেন তিনি।
×