ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১

জয়িতার ‘কত মধুসমীরে’ এ্যালবামের প্রকাশনা

প্রকাশিত: ০৩:৩৭, ৪ মে ২০১৭

জয়িতার  ‘কত মধুসমীরে’  এ্যালবামের  প্রকাশনা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ধানম-ির ছায়ানট মিলনায়তনে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ফারহিন খান জয়িতার কণ্ঠে ধারণ করা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গানের সংকলন নিয়ে ‘কত মধুসমীরে’ শীর্ষক এ্যালবামের প্রকাশনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ্যালবামেরর মোড়ক উন্মোচন করেন সঙ্গীতাজ্ঞ, শিক্ষক ও গবেষক ড. সন্জীদা খাতুন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রবীন্দ্রসঙ্গীতশিল্পী মিতা হক। মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে শিল্পী ফারহিন খান জয়িতা সঙ্গীত পরিবেশন করেন। শিল্পীর সঙ্গে যন্ত্রানুষঙ্গে ছিলেন তবলায় এনামুল হক ওমর, কী-বোর্ডে রূপতনু, এসরাজে অসিত বিশ্বাস, মন্দিরায় প্রদীপ রায়। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক লুভা নাহিদ চৌধুরী। এ্যালবামে সংকলিত গানগুলোর শিরোনাম হলো মোরে বারে বারে ফিরালে, চরণধ্বনি শুনি তব, নাথ, প্রচ- গর্জনে আসিল একি দুর্দিন, সুখহীন নিশিদিন পরাধীন হয়ে ভ্রমিছ দীনপ্রাণে, হৃদয়বাসনা পূর্ণ হল আজি মম পূর্ণ হল, আমার মন, যখন জাগলি না, বাজে বাজে রম্যবীণা বাজে, খেলার সাথি, বিদায়দ্বার খোলো প্রভৃতি। শিল্পী ও গান সম্পর্কে নাট্যজন আলী যাকের বলেন ফারহিন খান জয়িতা। আমাদের দেশের একজন তরুণ রবীন্দ্রসঙ্গীতশিল্পী। মাতামহ প্রয়াত ওযাহিদুল হক সঙ্গীতাচার্য, রবীন্দ্র বিশেষজ্ঞ। মা স্বনামধন্য শিল্পী মিতা হক। কেবল এই পরিচয়ই যথেষ্ট হতো জয়িতার সঙ্গীতের আসরে একটি বিশেষ স্থান করে নেয়ার। কিন্তু তারও চেয়ে যে বড়, এ সকল পরিচয় ছাপিয়ে, জয়িতা তার নিজ গুণেই তা অর্জন করে নিয়েছে। বাংলাদেশের রবীন্দ্রসঙ্গীতচর্চর ভুবনে সে তার নিজের আসনটি স্থায়ী করে নিয়েছে নিজ কৃতিত্বে। আমি এর আগে জয়িতার গান অনেকবার শুনেছি। কিন্তু এই বিশেষ ঘন বাদনে যে গানগুলো ধারণ করা হয়েছে সেগুলো শুনতে-শুনতে নিজের অজান্তেই আমি এক ভিন্ন সুরের জগতে চলে যাই। রবীন্দ্রনাথের গানের যে বৈচিত্র্য সে বিষয়টি আমাদের অনেক সাধারণ শিল্পীর কাছে সচরাচর ধরা পড়ে না। জয়িতা তার মুন্সিয়ানা দিয়ে সেই বৈচিত্র এই সিডিটিতে নিজেই প্রতিষ্ঠিত করে নিল। রবীন্দ্রনাথ বিভিন্ন রীতিতে তাঁর গানের সুর রচনা করেছেন। আমরা প্রায়ই বলে থাকি রবীন্দ্রনাথের গান ধ্রুপদাঙ্গের গান। ঠিক সেই ধ্রুপদ যেমন আছে, তেমনি রবীন্দ্রনাথের গান খেয়ালনির্ভর, সেটিও আছে। রবীন্দ্রনাথের গান টপ্পায় রয়েছে। কি নেই? এই বৈচিত্রটিকে তুলে ধরা হয়েছে এই বিশেষ ঘন বাদনের মাধ্যমে। এই গানগুলো শুনলে ঠিক যেমন রবীন্দ্রনাথের গানের বৈচিত্র সম্বন্ধে একজন মানুষ বুঝতে পারে, তার সুর লালিত্যে অবগাহন করতে পারে, তেমনি যে কেউ এটাও উপলব্ধি করতে পারে যে, জয়িতা অনেক দূর যাবে। ভবিষ্যতে বাংলা সঙ্গীতে জয়িতার একটি বিশেষ স্থান করে নেয়ার সম্ভাবনাটিই এই এ্যালবামে অনিবার্যভাবে প্রতিষ্ঠিত হলো।
×