ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

কাল মুক্তি পাচ্ছে সায়েন্স ফিকশন চলচ্চিত্র ‘পরবাসিনী’

প্রকাশিত: ০৩:৩৭, ৪ মে ২০১৭

কাল মুক্তি পাচ্ছে সায়েন্স ফিকশন চলচ্চিত্র  ‘পরবাসিনী’

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীভিত্তিক চলচ্চিত্র ‘পরবাসিনী’ আগামীকাল শুক্রবার দেশব্যাপী মুক্তি পাচ্ছে। চলচ্চিত্রটি বাংলাদেশের অন্যতম ব্যয়বহুল চলচ্চিত্র। এ চলচ্চিত্রটির কাহিনী, চিত্রনাট্য ও নির্মাণ করেছেন স্বপন আহমেদ। এ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন- রিথ মজুমদার, মামনুন হাসান ইমন, সব্যসাচী চক্রবর্তী, জুন মালিহা, উর্বশী রাউটেলা, সোহেল খান, অপ্সরা আলী, চাষী আলম প্রমুখ। ইমপ্রেস টেলিফিল্ম লিমিটেড এবং রি¹ী এন্টারটেইনমেন্ট এন্ড ট্যুরিজম লিমিটেড প্রযোজিত এই চলচ্চিত্রের শূটিং হয়েছে বাংলাদেশ, ভারত, ফ্রান্স, সুইজারল্যান্ড, বেলজিয়াম, জার্মানি ও ইতালির মনোরম লোকেশনে। এ চলচ্চিত্রে ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, ভারত ও বাংলাদেশের খ্যাতিমান শিল্পীরা অভিনয় করেছেন। আগামীকাল চলচ্চিত্রটি বাংলাদেশে শুভমুক্তির পাশাপাশি বিশ্বব্যাপী মুক্তির সম্ভাবনা রয়েছে। চলচ্চিত্রের কাহিনীতে দেখা যাবে সময়টা ২১১৫। বাঙালী প্রতœতত্ত্ববিদ চর্যাপদ সেন তার মেয়ে রি সেনকে সঙ্গে নিয়ে আসেন ধ্বংসপ্রাপ্ত ঢাকা এবং কলকাতা শহর দেখতে। তাদের পরিকল্পনা ১০০ বছর আগের এলিয়েনদের আক্রমণের পর শহর দুটিকে পুনঃআবিষ্কার করা। এর মধ্যে মহাশূন্যে পাঠানোর ৩৭ বছর পর বাংলাদেশ স্পেস রিসার্চ এ্যাসোসিয়েশন (বিএসআরএ) একটি বেতার তরঙ্গের জবাব আসে। ১১০ সেকেন্ডের একটি স্বল্পদৈর্ঘ্যরে বেতার তরঙ্গ বার্তা রেকর্ড করা হয়। বিএসআরএ ঘোষণা করে বসল, এলিয়েনদের একটি বিরাট মহাকাশযান পৃথিবীর দিকে এগিয়ে আসছে। তারপর এক ঝড়ের রাতে এলিয়েনরা হিলিয়াম-৩ ও হিলিয়াম-৪ সংগ্রহের জন্য মাধবপুর পারমাণবিক বিদ্যুতকেন্দ্রে আক্রমণ করে। কিন্তু তাদের বাধা দিতে এগিয়ে এলো বাংলাদেশ স্পেশাল ফোর্সেস (বিএসএফ)। তেজস্ক্রিয়ায় পৃথিবী প্রায় ধ্বংসের মুখে। মানুষের বসতির জন্য একটি নিরাপদ গ্রহ খুঁজে বের করার জন্য হন্যে হয়ে ওঠেন বিজ্ঞানীরা। এতে সাফল্য পায় বাংলাদেশ। এ দেশের নভোচারীরা আবিষ্কার করে মানব বসতির জন্য আদর্শ গ্রহ ‘এরিস-৩২’। দূষিত পৃথিবী থেকে মানুষেরা ‘এরিস-৩২’ গ্রহে বসতি গড়ার পরিকল্পনা করে। মানুষের এই পরিকল্পনা জানতে পারে এলিয়েন অর্থাৎ ভিনগ্রহের প্রাণীরা। তারা মানুষের মহাকাশ প্রযুক্তি ধ্বংস করার মিশন নিয়ে পৃথিবীতে আসে। এ মিশনে নেতৃত্ব দেয় মেহেজ নামের এক মেধাবী এলিয়েন। মানুষের স্যাটেলাইট প্রযুক্তি ধ্বংস করার খুব কাছাকাছি পৌঁছে মেহেজ প্রেমে পড়ে পৃথিবীর এক তরুণের। এলিয়েনদের সঙ্গে মানুষের সংঘাত-সংঘর্ষের মধ্যেই পাখনা মেলে দেয় প্রেমের প্রজাপতি। এলিয়েন মেহেজ তার প্রেমকে পুঁজি করে মানব প্রেমিককে নিয়ে ধ্বংস করতে চায় পৃথিবীর ব্যালেন্সিং সিসট্যাম স্যাটেলাইট সুইচার। শেষ পর্যন্ত মানব প্রেমিক কি এলিয়েন মেয়েটির কারণে পৃথিবীকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেবে? নাকি তার প্রেম প্রত্যাখ্যান করে পৃথিবীকে রক্ষা করবে? এভাবেই এগিয়ে যায় চলচ্চিত্রের কাহিনী।
×