ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বিচার আইন নির্বাহী বিভাগের মধ্যে চাই সমঝোতা সমন্বয় ॥ দূরত্ব অপ্রত্যাশিত

প্রকাশিত: ০৫:২৭, ১৬ এপ্রিল ২০১৭

বিচার আইন নির্বাহী বিভাগের মধ্যে চাই সমঝোতা সমন্বয় ॥ দূরত্ব অপ্রত্যাশিত

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাহী বিভাগের সঙ্গে বিচার বিভাগের দূরত্বকে ‘অপ্রত্যাশিত’ উল্লেখ করে দূরত্ব ঘোচাতে আলোচনাকেই সমাধানের রাস্তা হিসেবে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে যে কোন ভুল বোঝাবুঝির সমাধান হওয়া উচিত। রাষ্ট্রের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ আইন বিভাগ, বিচার বিভাগ এবং নির্বাহী বিভাগের মধ্যে সুষম সমন্বয়, সম্পর্ক ও সমঝোতা থাকা প্রয়োজন। রাষ্ট্রের এই তিনটি অঙ্গ একে অপরের সম্পূরক হিসেবেই কাজ করে। একে অপরকে অতিক্রম করে না, ক্ষমতার শক্তি দেখিয়ে না। ক্ষমতা কারও কিন্তু কম নয়। এখন কে কাকে অতিক্রম করবে, কে কাকে করবে না, কে কার সিদ্ধান্ত নাচক করবে, কে কাকে মানবে, মানবে না- এই দ্বন্দ্বে যদি আমরা যাই, তাহলে একটি রাষ্ট্র সুষ্ঠুভাবে চলতে পারে না। যখন এই তিনটি অঙ্গের মধ্যে একটি সুসম্পর্ক বা সমঝোতা থাকবে তখনই একটি রাষ্ট্র সঠিকভাবে চলতে পারে। শনিবার রাজধানীর কাকরাইলে উচ্চ আদালতের বিচারপতিদের জন্য আবাসনস্থল উদ্বোধনের এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বক্তব্যের শুরুতেই উচ্চ আদালতের বিচারপতিদের বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানান। বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতাও জানান সরকার প্রধান। জাতীয় সংসদের প্রণয়ন করা আইন উচ্চ আদালতে বাতিল করে দেয়া নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী এই ধরনের ক্ষেত্রে বিচার বিভাগের সুবিবেচনা প্রত্যাশা করে বলেন, ‘আমরা যখন একটি আইন প্রণয়ন করি, তখন এই আইনটা দীর্ঘ পথ অতিক্রম করে আসে। আমরা হঠাৎ করে পার্লামেন্টে আইন কিন্তু পাস করি না। কোন আইন করাই হয় কোন না কোন জনগণের স্বার্থে। সেই আইন যদি দেখি দু’জন বসে নাকচ করে দিলেন তারপর, আর কিছুই করার থাকল না। তাহলে, এতদিন ধরে খাটাখাটুনি সব ব্যর্থ হয়ে যায়।’ এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা হঠাৎ করেই সংসদে কোন আইন পাস করি না। এটা একটি দীর্ঘ পথ পরিক্রমার মধ্যদিয়ে আসে। একটি আইন যখন মন্ত্রণালয় থেকে কেবিনেট ডিভিশনে আসল, সেখান থেকে আমরা কেবিনেটে বসে নীতিগত সিদ্ধান্ত দেই, প্রথম রিডিংটা ওখানে আমরা করি। এরপর এটি চলে যায় আইন বিভাগে ভেটিংয়ের জন্য। সেখান থেকে ভেটিং হয়ে আবার কেবিনেটে আসার পর সেটাকে আবার আমরা রিডিং দিয়ে অনুমোদন দেই এবং এটা চলে যায় সংসদে। সংসদে বিল যাবার পর সেটার সঙ্গে যদি আর্থিক সংশ্লিষ্টতা থাকে তাহলে সেটি অর্থ মন্ত্রণালয় হয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে যায় এবং তিনি সই করে দেন। তিনি আরও জানান, সেখানে থেকে সংসদে আসার পর বিল আকারে এটি সংসদে উত্থাপন করা হয়, এ সময় বিরোধী পক্ষের কারও যদি বিলটির বিষয়ে কোন আপত্তি থাকে ওই সময়ই তারা চাইলে আপত্তি দিতে পারেন। এরপর আপত্তি গ্রহণযোগ্য হলে সেটা গ্রহণ করা হয় আবার বিলটি ফেরত পাঠানো হয়। আর যদি আপত্তি গ্রহণযোগ্য না হয় তাহলে সেটি সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে চলে যায় এবং ওই কমিটিতে দীর্ঘদিন এটা আলাপ-আলোচনা হয়। এই আলোচনার সময় সংশ্লিষ্ট কোন মন্ত্রণালয়ের যদি কোন বিভাগের কোন প্রতিনিধির প্রয়োজন হয় তখন তাদের ডেকেও আলোচনা করা হয় এবং সবশেষে ওই কমিটি আবার বিলটি সংসদে উত্থাপন করে। সংসদে উত্থাপনের পর সময় দেয়া হয়- যদি কেউ এখানে কোন সংশোধনী দিতে চান এবং দফাওয়ারী সংশোধন এবং জনমত যাচাইয়ের জন্য। যারা জনমত যাচাইয়ের প্রস্তাব করবেন তারা সংসদে এর সপক্ষে বক্তব্য দেবেন এবং এরমধ্যে দফাওয়ারী সংশোধনী দিলে সেগুলো গ্রহণ করেই বিলটি পাস করার জন্য এবং বিবেচনার জন্য উত্থাপন করা হয়। তারপর পাস হয়। কোন আইন করাই হয় কোন না কোন জনগণের স্বার্থে। শেখ হাসিনা বলেন, ক্ষমতা নিয়ে তিন অঙ্গের মধ্যে দ্বন্দ্ব অপ্রত্যাশিত। রাষ্ট্রকে সুষ্ঠুভাবে চলতে গেলে এই তিনটি অঙ্গকেই যথাযথভাবে তার কর্মপরিকল্পনা চালাতে হবে। সেই সাথে আমি আরেকটু বলব, প্রত্যেকটি ক্ষেত্রেই সকলের কিছু কিছু ক্ষমতা থাকে। সেই ক্ষমতা প্রয়োগের ক্ষেত্রে আমরা কতটুকু প্রয়োগ করতে পারি, যেটা জনস্বার্থের পক্ষে কতটা করলে জনস্বার্থ ব্যাহত হতে পারে, তিনটি অর্গানের মধ্যে দ্বন্দ্ব হতে পারে- এই বিবেচনাটুকু সকল পক্ষের থাকা উচিত বলে আমি মনে করি। বিচার বিভাগ ও নির্বাহী বিভাগের বিষয়ে জনগণের মাঝে যাতে ভুল ধারনা সৃষ্টি না হয় সেজন্য আমি মনে করি যে কোনও বিষয় উঠলে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান হওয়া উচিত। অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার কিছু প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মাননীয় প্রধান বিচারপতি কিছু প্রসঙ্গ তুলেছেন। আমি তাঁকে অনুরোধ করব- রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ দেয়া এবং বিচারপতি নিয়োগ দেয়া। এখানে কিন্তু আমার কোন ক্ষমতা নেই।’ বিচারপতি নিয়োগ নিয়ে প্রধান বিচারপতির কোন বক্তব্য থাকলে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দিয়ে সরকার প্রধান বলেন, এখানে কোন কিছু হলে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে সমাধান করাটাই ভাল। সেটা করলেই ভাল। আর, এক্ষেত্রে আমাদের যদি কিছু করণীয় থাকে, নিশ্চয়ই আমাদের পক্ষ থেকে তা দেখব। তিনি বলেন, আমি চাই না এ রকম কোন কথা উঠুক যে আমাদের দ্বন্দ্ব বা কোন কিছু আছে। এ ধরনের কথা উঠলে এটি সমগ্র জাতি বা জনগণের জন্য ভাল হবে না। বিচার বিভাগের ইমেজ সেটাও যেমন প্রশ্নবিদ্ধ হবে তেমনি লেজিসলেটিভ এবং এক্সিকিউটিভ সম্পর্কেও জনগণ একটা ভুল ধারণা নিয়ে যাবে। যে কোন বিষয় আমি মনে করি আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান করা উচিত এবং সেগুলো বিবেচনা করে দেখা উচিত বলে আমি মনে করি। শাসন বিভাগ ও বিচার বিভাগের কোন রকম দ্বন্দ্ব না চাওয়ার বিষয়টি তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এরকম হলে তা জনগণের জন্যও ভাল হবে না, বিচার বিভাগের ভাবমূর্তিও প্রশ্নবিদ্ধ হবে। যে কোন বিষয়ই হোক সেটা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা উচিত এবং সেটা সেভাবেই বিবেচনা করে দেখা উচিত বলে আমি মনে করি। এ সময় তিনি রাষ্ট্রের প্রধান তিন স্তম্ভ সংসদ, বিচার বিভাগ ও শাসন বিভাগের নিজ নিজ ক্ষমতার প্রয়োগ ঘটানোর ক্ষেত্রে জনস্বার্থের বিষয়টি বিবেচনা করার ওপর জোর দেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিচারকদের অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত দিতে হয়। বিএনপি সরকারের আমলে দুই দুইজন বিচারককে বোমা মেরে হত্যা করা হয়েছে। গাজীপুর এবং ঝালকাঠিতে এরকম ঘটনাও ঘটে গেছে বাংলাদেশে এবং তারপর থেকে আমরা শঙ্কিত হই। কাজেই বিচারপতিদের নিরাপত্তার বিষয়টাও আমরা চিন্তা করি। তিনি বলেন, আমাদের বিচার বিভাগকে আমরা আধুনিক এবং প্রযুক্তিনির্ভর হিসেবে গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছি যাতে এখানে বসেই ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে যেন বিচারকার্য করা যায়। তিনি বলেন, যারা দুর্ধর্ষ আসামি তাদের আদালতে আনা একটি কঠিন কাজ। ইতোমধ্যেই আসামি ছিনতাইয়ের চেষ্টাও হয়েছে আমরা দেখেছি। তিনি বলেন, কেরানীগঞ্জের যে জেলখানা করা হয়েছে সেখানে আমি নির্দেশ দিয়েছি আদালতে বিশেষ রুম করে দেয়ার। যেন ঢাকা থেকে বসেও ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে ওখানে বিচারকার্য পরিচালনা করা যেতে পারে। আসামি নিয়ে যেন টানাটানি করতে না হয় সেখানে আইনজীবীরাও থাকবেন সেরকম ব্যবস্থা আমরা করে দিচ্ছি। আর এ ধরনের আধুনিক বিচার ব্যবস্থা বিশ্বে চালু আছে আর আমরা সেটাই অনুসরণ করতে চাই। প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে আরেকটি নতুন যে উৎপাত শুরু হয়েছে জঙ্গী-সন্ত্রাসবাদ, এর হাত থেকে আমরা দেশকে মুক্ত করতে চাই এবং সেজন্য আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। তিনি বলেন, এজন্য আমি আল্লাহর কাছেও শুকরিয়া আদায় করতে চাই এবং আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে আমি ধন্যবাদ জানাই যে- পহেলা বৈশাখ সেখানে নানা ধরনের হুমকি আমরা পেয়েছিলাম। যদিও তখন কাউকে বলিনি এবং যেহেতু আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা সক্রিয় ছিলেন, যে কারণে সমগ্র বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ উৎসবমুখর পরিবেশে নববর্ষ উদযাপিত হয়েছে। নববর্ষের সঙ্গে ধর্মের কোন বিরোধ নেই। এর সঙ্গে অর্থনীতির একটা সম্পর্ক আছে। পুরাতন হিসাব মিলিয়ে হালখাতা করে আবার নতুন করে হিসাব শুরু হয় এবং দেশে সকল ধর্ম-বর্ণের মানুষই নববর্ষ পালন করে। প্রধানমন্ত্রী এ সময় তার সরকারের উদ্যোগে নববর্ষে ভাতা প্রদানের প্রসঙ্গও উল্লেখ করেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা অভিযোগ করেন, একটি মহল সব সময় সরকার ও বিচার বিভাগের মধ্যে দূরত্ব তৈরির অপচেষ্টায় লিপ্ত। এরকম ভুল বোঝাবুঝির কারণে সাধারণ জনগণের কাছে ভুল বার্তা চলে যায়। বিচার বিভাগ সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ কিছু সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে প্রধান বিচারপতিকে পাশ কাটানো হয়েছে এমন অভিযোগ করে তিনি বলেন, সম্পূর্ণ ভুল তথ্য উপস্থাপনের মাধ্যমে সরকার প্রধানের কাছে সত্য গোপন করে, সিদ্ধান্তগুলো হাসিল করা হয়েছে। এরকম গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে আলোচনা করা হলে ভুল বোঝাবুঝি হতো না। প্রধান বিচারপতি প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘আশা করি, বিচার বিভাগকে আপনি আপন করে দেখবেন। সীমিত সম্পদ ও বাজেট সত্ত্বেও অতীতের যে কোন সময়ের চেয়ে বর্তমান বিচার ব্যবস্থা সুশৃঙ্খল এবং জনগণের সর্বোচ্চ আস্থা অর্জন করেছে।’ মামলা জটকে বিচার বিভাগের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে তুলে ধরে বিচারকের সংখ্যা বাড়ানোর পাশাপাশি অবকাঠামোর সুবিধার নিশ্চিতের সুপারিশ করে তিনি বলেন, ‘ভারতে ১০ লাখ মানুষের জন্য ১৮ জন বিচারক হলেও বাংলাদেশে তা মাত্র ১০ জন। এই অল্পসংখ্যক বিচারকের জন্যও অবকাঠামোগত সুবিধা নাই। ফলে বিভিন্ন সময়ে বেঞ্চ গঠনে আমাকে হিমশিম খেতে হয়। ২০১৭ সালে সাতজন বিচারক অবসর গ্রহণ করবেন। ফলে বেঞ্চ গঠনের জটিলতা আরও প্রকট হবে।’ ই-জুডিশিয়ারি প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতা চেয়ে প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা আরও বলেন, আমরা ই-জুডিশিয়ারি প্রকল্প হাতে নিয়েছিলাম। কিন্তু কোন এক অজানা কারণে প্রকল্পটি বাধাগ্রস্ত হয়েছে। আমরা আশা করব, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনার হস্তক্ষেপে এই বাধা দূরীভূত হবে। একটি পূর্ণাঙ্গ ও আধুনিক ন্যাশনাল জুডিশিয়াল একাডেমি স্থাপনে কমপক্ষে ২৫ একর জমি বরাদ্দের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ জানান তিনি। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বিচারপতিদের জন্য নির্মিত প্রায় দেড় একর জমির ওপর আধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্বলিত ২০ তলা ভবনের উদ্বোধন করেন। সেখানে ৩৬শ’ বর্গফুটের বেশি আয়তন সম্বলিত ৭৬টি ফ্লাট রয়েছে। ১৭৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ভবনটিতে বিদ্যুত সাবস্টেশন, সোলার সিস্টেম, জিমনেশিয়াম এবং মিলনায়তনসহ আধুনিক সব ধরনের আবাসন সুবিধা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছলে তাঁকে স্বাগত জানান কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী, গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক, প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা ও এ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। চার ধর্মগ্রন্থ পাঠের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানে শুরু হয়। গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক এবং গণপূর্ত সচিব মোঃ শহীদুল্লাহ খন্দকার বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে মন্ত্রিপরিষদ সদস্যবৃন্দ, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টাগণ, সংসদ সদস্যবৃন্দ, বিচারপতিবৃন্দ এবং আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী বোতাম চেপে পর্দা সরিয়ে উদ্বোধনী ফলক উšে§াচন করেন। উদ্বোধনের পর মোনাজাত করে তিনি ভবনের বিভিন্ন তলা ঘুরে দেখেন। প্রধানমন্ত্রী এরপর রাজধানীর রাজউক এ্যাভেনিউতে বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের ২৫ তলা বাণিজ্যিক ভবনেরও নামফলক উন্মোচন করেন।
×