ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

এবার বাংলাদেশী মাছ ধরার জালেও এ্যান্টি ডাম্পিং আরোপ করল ভারত

প্রকাশিত: ০৪:১৭, ৬ এপ্রিল ২০১৭

এবার বাংলাদেশী মাছ ধরার জালেও এ্যান্টি ডাম্পিং আরোপ করল ভারত

অর্থনৈতিক রিপোার্টার ॥ পাট ও পাটজাত পণ্য এবং হাইড্রোজেন পার অক্সাইডের পর বাংলাদেশী মাছ ধরার জাল আমদানিতেও এ্যান্টি ডাম্পিং শুল্ক আরোপ করছে ভারতে। গত ৩১ মার্চ দেশটির শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এ্যান্টি-ডাম্পিং ও সমজাতীয় শুল্কসংক্রান্ত অধিদফতর (ডিজিএডি) এই সংক্রান্ত একটি নোটিস জারি করেছে। নোটিসটি এমন সময় জারি করা হলো যখন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফর আসন্ন। এই সফরে কয়েক মাস আগে আরোপিত পাট ও পাটজাত পণ্য আমদানিতে এ্যান্টি ডাম্পিং শুল্ক আরোপ প্রত্যাহার নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। নোটিসে বাংলাদেশ সরকার ও মাছ ধরার জাল রফতানিকারকদের তাদের পণ্যের বিস্তারিত বিবরণসহ আবেদন করতে বলা হয়েছে। ওই আবেদনের শুনানি নোটিস জারির ৪০ দিনের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশের একটি ইংরেজী দৈনিকের খবরে বলা হয়েছে, সম্প্রতি ভারতের মাছ ধরা জাল উৎপাদকদের সমিতি একটি রিট পিটিশনে দাবি করে, বাংলাদেশ ও চীন থেকে মাছ ধরার নাইলনের জাল আমদানির কারণে স্থানীয় জাল প্রস্তুতকারকরা ক্ষতির মুখোমুখি হচ্ছে। ওই পিটিশনের পর মাছ ধরার জাল আমদানিতে এ্যান্টি ডাম্পিং শুল্ক আরোপের বিষয়টি খতিয়ে দেখতে একটি তদন্ত সম্পন্ন করে ডিজিএডি। ডিজিএডি ওই তদন্তে দেখেছে বাংলাদেশ ও চীন থেকে মাছ ধরার নাইলনের জাল আমদানির কারণে স্থানীয় জাল প্রস্তুতকারকরা ক্ষতির মুখোমুখি হচ্ছে। আর এ কারণেই বাংলাদেশ ও চীন থেকে মাছ ধরার জাল আমদানিতে অ্যান্টি ডাম্পিং শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে নোটিসে বলা হয়েছে। দেশীয় কোন পণ্য দেশে যে দামে বিক্রি হয়, তার চেয়ে কম দামে যদি তা বিদেশ থেকে রফতানি হয়, তাহলে দেশীয় শিল্পকে সুরক্ষা দেয়ার জন্যই এ্যান্টি-ডাম্পিং শুল্ক আরোপ করা হয়। এদিকে হাইড্রোজেন-পারঅক্সাইড আমদানির ওপর এ্যান্টি ডাম্পিং শুল্ক আরোপের বিষয়টি আগামী ১৩ এপ্রিল চূড়ান্ত হবে বলে জানা গেছে। এর আগে চলতি মাসের ৫ জানুয়ারি বাংলাদেশী পাটপণ্যে টনপ্রতি সর্বোচ্চ ৩৫২ ডলারসহ বিভিন্ন হারে অ্যান্টিডাম্পিং শুল্ক আরোপ করে ভারত। তার বিরূপ প্রভাব পড়ে বাংলাদেশের রফতানি আয়েও। তখন সকরারের পক্ষে থেকে বিষয়টি কূটনৈতিকভাবে দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দেয়া হয় ব্যবসায়ীদের। বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (পাট) নাসিমা বেগম তখন বলেন, ভারতের এ্যান্টিডাম্পিং শুল্ক আরোপ প্রত্যাহার চেয়ে আইনগতভাবে আপীল জানানো হবে। কূটনৈতিকভাবেও যোগাযোগ করা হবে। তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরকালে এ বিষয়ে আলোচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হতে পারে। অবথ্য তখন ফেব্রুয়ারি মাসে ভারত সফরের কথা ছিল। ওই সফর পিছিয়ে এখন এপ্রিলে এসেছে। ৭ এপ্রিল ভারত সফরে যাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর তার আগেই আরেকটি নতুন পণ্যে এ্যান্টিডাম্পিং শুল্ক আরোপ করল ভারত।
×