ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ভিকারুননিসার শিক্ষিকার বিরুদ্ধে ছাত্রী মারধরের অভিযোগ

প্রকাশিত: ০৬:২১, ২৪ মার্চ ২০১৭

ভিকারুননিসার শিক্ষিকার বিরুদ্ধে ছাত্রী মারধরের অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ভিকারুননিসা নূন স্কুলের ধানম-ি শাখার চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রী মাইশা হক। বৃহস্পতিবার প্রতিদিনের মতোই স্কুলে গিয়েছিল প্রভাতি শাখার এ ছাত্রী। বাংলা দ্বিতীয় পত্র ক্লাসে শিক্ষিকাকে পড়া মুখস্থ বলতে না পারায় ওই শিক্ষিকা মাইশাকে মারধর করেন। হাত দিয়ে জোরে চড় মারার কারণে মাইশার ডান হাতের বাহুতে শিক্ষিকার হাতের ছাপ বসে গেছে। আনুমানিক বেলা ১১টায় এ ঘটনা ঘটে। স্কুল ছুটির পর মাইশা তার মাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে কাঁদতে ঘটনাটি জানায়। মেয়ের মুখে ঘটনাটি শুনে তাৎক্ষণিক মাইশার মা নাঈমা ফেরদৌসী শিক্ষিকা শিরীন আক্তারকে তার মেয়েকে মারধর করার কারণ জিজ্ঞাসা করলে জবাবে শিক্ষিকা উত্তর দেন, ‘ক্লাসে পড়া না পারলে শিক্ষক অবশ্যই ছাত্রছাত্রীকে মারবে। আপনি বলার কে? এমন অভদ্র মেয়েকে মারাই উচিত’- উদ্বিগ্ন হয়ে জনকণ্ঠকে কথাগুলো বলছিলেন মাঈশার মা নাঈমা ফেরদৌসী। তার মতে, ‘কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই এ ধরনের শিক্ষক-শিক্ষিকা থাকা উচিত নয়। আমার মেয়ের সঙ্গে উচ্চবাক্যে কথা বলা তো দূরে থাক, তার গায়ে হাত দেয়ার অধিকার আমাদেরও নেই। একজন শিক্ষিকা যিনি এসব কোমলমতি শিশুদের মারধর করেন, তার কোন অধিকার নেই শিক্ষকতা করার। অনেক ছাত্রীকেই শিক্ষিক-শিক্ষিকা মারধর করেন কিন্তু অভিভাবকরা অনেক সময় এ বিষয়ে কমপ্লেইন জানান না। এছাড়া ক্লাসে বিভিন্ন সময় শিক্ষক কর্তৃক মানসিক নির্যাতনের শিকার হয় বাচ্চারা। একটু মোটা বাচ্চাকে অপমান করা হয় মোটা, কুমড়ো, গোলআলু ইত্যাদি ভাষা ব্যবহার করে। এভাবেই যদি ঘটতে থাকে তাহলে সন্তানকে স্কুলে না পাঠিয়ে ঘরে বসিয়ে রাখতে হবে। এ ঘটনায় আমি উক্ত শিক্ষিকার কঠোর শাস্তির দাবি জানাই।’ এ ঘটনায় মাইশার মা নাঈমা ফেরদৌসী ও বাবা জহিরুল হক ভিকারুননিসা নূন স্কুলের ধানম-ি শাখার ভাইস প্রিন্সিপালকে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাটি জানালে তিনি বিষয়টি নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন এবং মাইশার অভিভাবকের কাছে ক্ষমা চান। তবে স্কুলের প্রধান শিক্ষক ছুটিতে থাকার কারণে মাইশার অভিভাবক তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি। এ ঘটনায় মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েছে মাইশা। নয় বছরের ছোট এ মেয়েটি জনকণ্ঠকে জানায়, ‘আপা পড়া জিজ্ঞাসা করলে আমি বলতে পারিনি। কারণ জ্বর আসার কারণে আমি গত তিন দিন স্কুলে যাইনি। আমি আপাকে বলেছিলাম, এজন্যই আমি পড়া পারিনি। তবুও তিনি আমার হাতে জোরে চড় মেরেছেন।’ মাইশার অভিযোগ, প্রায়ই এ শিক্ষিকা ক্লাসের অন্যান্য ছাত্রীকে মারেন। স্কুল ছুটির পর মাইশা তার মাকে ঘটনাটি জানানোর পর টিচার্স রুমে মাইশাকে ডেকে উক্ত শিক্ষিকা ধমকের সুরে তাকে জিজ্ঞাসা করেছেন, কেন সে তার মাকে ঘটনাটি জানিয়েছে?
×