ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ফল যেভাবে খাবেন

প্রকাশিত: ০৫:৩১, ২০ মার্চ ২০১৭

ফল যেভাবে খাবেন

সকালবেলা খালি পেটে স্বাস্থ্যের জন্য সব চাইতে উপকারী যে কাজটি করতে পারেন তা হলো একটি ফল খাওয়া। যেহেতু পেট খালি, তাই এই অভ্যাস ফলটির পুষ্টি শরীরে গ্রহণে সহায়তা করবে। এছাড়া ফলটি হজম করতে পাকস্থলীও তেমন বেগ পেতে হয় না। তবে যাদের পাকস্থলীতে আলসার কিংবা বুক জ্বালাপোড়ার সমস্যা আছে তাদের সকালে খালি পেটে ফল খাওয়া উচিত নয়। আবার শিশু, বৃদ্ধি বা যাদের পাকস্থলী দুর্বল তাদের এই অভ্যাস এড়াতে হবে। কারণ কমলাজাতীয় ফল, আনারস, আঙুর ইত্যাদিতে থাকে এ্যাসিডিক এ্যাসিড, যা গ্যাস্ট্রিক এ্যাসিডের উৎপাদন বাড়ায় এবং আলসার ও বুক জ্বালাপোড়ার সমস্যা বাড়তে পারে। দুই বেলা খাওয়ার মাঝে ফল খাওয়া। স্ন্যাকস বা নাস্তা হিসেবে ফল খাওয়া বিপাকক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে। তাই যে কোনো দুই বেলা খাওয়ার মাঝে ফল খাওয়া খুবই ভাল। তাছাড়া ফল নিয়ন্ত্রণ করে রক্তে শকর্রার পরিমাণ। আর স্বাস্থ্যকর স্ন্যাকস খেলে শরীরে যেমন চর্বি জমবে না তেমনি ক্ষুধাবোধও কম হবে। খাওয়ার পর ফল খাওয়া কখনও উচিত নয়। ধারণা রয়েছে- খাওয়ার পর ফল খাওয়া হজমে এবং ক্যালরি ভাঙতে সাহায্য করে, যা ঠিক নয়। কারণ ফলে রয়েছে নিজস্ব মিষ্টিজাতীয় উপাদান ও ক্যালরি। যা শুধুই ক্যালরির পরিমাণ বাড়ায়। যে ফল খেতে হবে অল্প মিষ্টিজাতীয় উপাদান আছে এমন ফল যেমন- বেদানা, আম, আঙুর, লিচু, তরমুজ ইত্যাদি পরিমাণ মতো খেতে হবে। বিশেষ করে যাদের রক্তে শর্করার পরিমাণ বেশি হওয়ার সমস্যা রয়েছে তাদের। এ সমস্যায় আক্রান্তদের জন্য আদর্শ ফলগুলো হলো পেঁপে, আনারস, পাম, রাসবেরি, নাসপাতি, স্ট্রবেরি, পিচ ও আপেল। ঘুমানোর আগে ফল খেতে হবে। ঘুমানোর আগে আপেল, কলা, কিউই, চেরি খেতে পারেন। কারণ এতে থাকে প্রাকৃতিক ‘সেরোটনিন’, ‘মেলাটনিন’ ও ‘ট্রিপ্টোফান’ নামক উপাদান যা শরীর ও মনকে শান্ত করে এবং রাতের ঘুম ভাল হতে সহায়তা করে। আম, আঙুর ইত্যাদি ফল ঘুমানোর আগে এড়িয়ে চলতে হবে। কারণ এগুলো মস্তিষ্ককে সচল রাখে এবং ঘুমে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। -যাপিত ডেস্ক
×