ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

রুহুল আমিন ভূঁইয়া

সময়ের ব্যস্ততায় বন্দী তৌসিফ

প্রকাশিত: ০৫:০০, ৯ মার্চ ২০১৭

সময়ের ব্যস্ততায় বন্দী তৌসিফ

বর্তমান সময়ের ছোটপর্দার জনপ্রিয় মুখ মডেল ও অভিনেতা তৌসিফ মাহবুব। ছোটপর্দায় দারুণ ব্যস্ত সময় পার করছেন এ অভিনেতা। বর্তমানে টিভি নাটকে নতুন প্রজন্মের অনেকেই কাজ করছেন। তবে তাদের মধ্যে তৌসিফ মাহবুব একটু এগিয়ে। ইদানীং তিনি ভীষণ ব্যস্ত। এবং তার জনপ্রিয়তাও অন্যদের চেয়ে বেশি। শোবিজের তরুণ তারকাদের মধ্যে তিনি অন্যদের চেয়ে অনেকটা এগিয়ে আছেন নিজের অভিনয় বোধকরি নিজের অভিনয় প্রতিভার গুণে। নিয়মিত কাজ করে চলেছেন ছোটপর্দায়। শুধু তাই নয়, তৌসিফ নিজের ক্যারিয়ারের ব্যাপারেও অনেক সচেতন। অনেক বুঝে শুনে নাটকে কাজ করছেন। বর্তমানে বেশ কিছু নাটক নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন। তার অভিনীত বেশ কয়েকটি সিরিয়াল প্রচার হচ্ছে বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে। প্রায় সব কাজই দর্শক সমাদৃত হচ্ছে। পর্দার বাইরে তৌসিফের চমৎকার বন্ধুসুলভ আচরণ মুগ্ধ করার দাবি রাখে। অভিনয় এবং সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয়ে কথা হলো তার সঙ্গে। কি নিয়ে ব্যস্ত? তিনি জানান, ‘বর্তমানে আমার অনেক ব্যস্ততা। দম ফেলার সুযোগ পাই না। ভাষার মাস ফেব্রুয়ারি, ফেব্রুয়ারি মাসে যে পরিমাণে কাজ করেছি তা আমার ক্যারিয়ারের চার বছরেও হয়নি। এ মাস এখনও শেষ হয়নি কিন্তু এ পর্যন্ত আমি ১৫টিরও বেশি নাটকে কাজ করেছি। ৬টি নাটক প্রচারিত হয়েছে। বাকিগুলো প্রচারের অপেক্ষায়।’ সম্প্রতি ভালবাসা দিবসে মাহমুদুর রহমান হিমির ‘এপিটাফ’ নাটকে প্রশংসা কুড়ানোর পর এবার ভাষা দিবসের নাটকে ফের একত্রিত হয়েছেন তৌসিফ ও মেহজাবিন। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ‘ভাষা’ নাটকটি বাংলাভিশনে একুশে ফেব্রুয়ারি রাত ৯টায় প্রচারিত হয়। তৌসিফ আনন্দকণ্ঠকে জানান, এরই মধ্যে ‘ইটিশ-পিটিশ’ নাটকের শূটিং শেষ করলাম। নামটার মধ্যেই একটা তারুণ্য আছে, আছে ফাজলামি, গল্পে কিছু মেসেজও রয়েছে। এ গল্পের মেসেজ সব তরুণদের জন্য। যারা প্রেম করছে তারা এ গল্পে অনেক কিছু খুঁজে পাবে। মিলে যাবে তাদের জীবনে ঘটে যাওয়া কিছু ঘটনার সঙ্গে।’ এই চরিত্রের নতুনত্ব কি? তৌসিফ জানান, ‘প্রতিটি নাটকে আমার চরিত্রে ভিন্নতা থাকে। কিন্তু ‘ইটিশ-পিটিশ’ নাটকে কোন ভিন্নতা নেই। কারন, গল্পের সঙ্গে অন্য চরিত্র যায় না। ইটিশ-পিটিশ নাটকটি বর্তমান সময়ের একজন তরুণের চরিত্রে রূপদান করছি। অভিনয়ের মাধ্যমে আমি বরাবরই চেষ্টা করি দর্শকদের ভিন্ন কিছু উপহার দিতে। নতুন নতুন চরিত্রে কাজ করলে অভিনয়ের অনেক কিছুই জানা যায়।’ অভিনয়ের টার্নিং পয়েন্ট কি? ২০০৯ সালে আমার অভিনয়ে পথ চলা শুরু হয়। ওই সময় চ্যানেল নাইনের জন্য একটি সিরিয়ালে অভিনয় করেছিলাম। তবে, অলটাইম দৌড়ের ওপর, নাটকটি আমার ক্যারিয়ারের টার্নিং পয়েন্ট। এই নাটকের মধ্য দিয়ে দর্শকদের কাছে পরিচিত পাই। নাটকটিতে নিজেকে প্রমাণ করার অনেক সুযোগ ছিল।’ কোন মাধ্যমে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। নাটক না বিজ্ঞাপন? তিনি জানান, ‘বিজ্ঞাপন করা বাদ দিয়েছি। আমি মূলত নাটকে কাজ করতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি। কারণ, বিজ্ঞাপন চিত্রে নিজেকে মেলে ধরার সুযোগ কম। সেদিক থেকে নাটকে নিজের মতো করে কাজ করার সুযোগ থাকে।’ এত নাটকে অভিনয় করেছেন, নিজের কাজ দেখার সুযোগ পান কিংবা মূল্যয়ন করতে পারছেন কেমন হচ্ছে কাজগুলো? উত্তরে তিনি জানান, ‘সময় হলেই নাটক দেখার চেষ্টা করি। আমি নিজের কাজ সব সময়ই দেখি। এ পর্যন্ত আমার ১৩০টি নাটক প্রচারিত হয়েছে বিভিন্ন চ্যানেলে। সব কয়টি নাটকই দেখার চেষ্টা করেছি। আমি মনে করি নিজের কাজের মূল্যায়ন নিজেকেই করতে হয়। আর মূল্যায়নের ব্যাপার মাথায় রাখছি বলেই একটা কাজের সঙ্গে আরেকটা কাজের কোন মিল রাখছি না। মানে যে চরিত্রে অভিনয় করছি সেটা আর করব না। তবে এই ভিন্নতার ধারাটা ধরে রাখা খুব কঠিন। কারণ এটা তো সিনেমা না যে, বছরে ২-৩টা সিনেমা করলাম; সেখানে চরিত্র প্রত্যেকটা আলাদা। আমাকে বছরে ৫০টা নাটক করতে হয়, তাই ভিন্নতা ধরে রাখাটা খুবই মুশকিল। আর এই জন্য অনেক কাজ ছেড়েও দিতে হয়।’ চলচ্চিত্র নিয়ে কিছু ভাবেন? উত্তরে জানান, ‘অবশ্যই, সব শিল্পীই চলচ্চিত্রে কাজ করতে চান। আমিও চাই। চলচ্চিত্রে কাজের জন্য প্রস্তুতিও নিচ্ছি। আমি চলচ্চিত্রে কাজ করলে কোন ঘরানা বেছে কাজ করব না। আমি আগে গল্প-নির্মাতা-প্রযোজক এই তিনটা জিনিস প্রাধান্য দিয়ে কাজ করব। এখন অনেক নির্মাতারা আছেন যাদের কাজ আমার ভাল লাগে। তাদের সঙ্গেই কাজ করব। ডাক আসলে শীঘ্রই হয়ত বড়পর্দায় দেখা মিলবে।
×