ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

আমার কাজ গোল করা ॥ ইব্রা

প্রকাশিত: ০৬:৩৩, ৮ মার্চ ২০১৭

আমার কাজ গোল করা ॥ ইব্রা

শনিবার রাতে বোর্নমাউথের সঙ্গে ড্র করেছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। নিজেদের মাঠ ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে অসহায় মনে হয়েছে ম্যান ইউকে। দারুণ লড়াই করেছে বোর্নমাউথ। ম্যাচেও ছিল তুমুল উত্তেজনা। সুইডিশ ফরোয়ার্ড জ¬াতান ইব্রাহিমোভিচ পেনাল্টি পেয়েও গোল করতে পারেননি। তবে এরচেয়েও বড় ঘটনা ছিল বোর্নমাউথের ডিফেন্ডার টাইরন মিংসের সঙ্গে সংঘর্ষ। ইব্রার কনুইয়ের আঘাতে লুটিয়ে পড়েছিলেন মিংস, যদিও বড় কোন ইনজুরিতে পড়েননি ব্রিটিশ ডিফেন্ডার। আর ইব্রাহিমোভিচ দাবি করেছেন তার কাজ গোল করা এবং বল পায়ে ধরে রাখা। সেক্ষেত্রে প্রতিটি স্ট্রাইকারকে বাধা দেয় একজন ডিফেন্ডার। তাই অযাচিতভাবে সংঘর্ষ হতেই পারে। তবে মিংস ইনজুরিতে না পড়ায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন ইব্রা। দিনটি ভুলে যেতে চান ৩৫ বছর বয়সী ইব্রাহিমোভিচ। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা এ স্ট্রাইকার বোর্নমাউথের রক্ষণভাগকে কোনভাবেই নতি স্বীকার করাতে পারেননি। উল্টো দ্বিতীয়ার্ধে পেনাল্টি পেয়েও সেটা থেকে লক্ষ্যভেদ করতে ব্যর্থ হয়েছেন। একটা কর্নার থেকে ঘটনার সূত্রপাত। জটলা ছিল ইব্রাহিমোভিচকে ঘিরে। হেড দেয়ার জন্য একইসাথে লাফিয়ে উঠেছিলেন ইব্রা ও মিংস। ইব্রার মাথায় সজোরে একটা আঘাত লেগেছিল এবং তার কনুইয়ের গুঁতোয় আছড়ে পড়েন মিংস। অপরদিকে এ্যান্ড্রু সুরম্যান ওই জটলা থেকেই ধাক্কা দিয়েছিলেন ইব্রাহিমোভিচকে। ফলে তাকে লালকার্ড দেখতে হয়। কিন্তু ইব্রা কিংবা মিংস কারও সঙ্গেই রেফারি কেভিন ফ্রেন্ড সেটা করেননি। কিন্তু পরবর্তীতে ম্যাচ পরিচালনা কর্মকর্তাদের সমালোচনা করেছেন সবাই ইব্রা-মিংস সংঘর্ষ এড়িয়ে যাওয়ার জন্য। ওই বিষয়ে ইব্রা নিজে মন্তব্য করেন, ‘মাথায় জোর আঘাত লাগার পর আমি আসলে কাউকে দেখতে পারিনি। আমি শুধু অনুভব করলাম কিছু একটা আমার ঘাড়ের কাছে আঘাত করেছে। আমি লাফিয়ে উঠেছিলাম এবং তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় কনুই এগিয়ে দিয়েছিলাম। নিজেকে রক্ষার জন্য আমি আরও উঁচুতে লাফিয়ে উঠতে চেয়েছি। সেইসঙ্গে আমার লক্ষ্য ছিল বলটা দখলে নেয়ার। কিন্তু সে (মিংস) আমার কনুইয়ের ওপর হুমড়ি খেয়ে পড়েছে। তারপর সে পড়ে গেল এবং পরে জানলাম যে সে কোন ইনজুরিতে পড়েনি।’ মিংস ইনজুরিতে না পড়ায় স্বস্তি প্রকাশ করেন ইব্রাহিমোভিচ। তিনি এ বিষয়ে বলেন, ‘আমার কখনও কাউকে ইনজুরিতে ফেলার মনোভাব থাকে না। সে দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমার কনুইয়ের কাছেই লাফিয়ে উঠেছিল। এমন ঘটনা অনেক দেখেছি। কিন্তু আমি জানতাম না মিংসই আমার ঘাড়ে আঘাত করেছিল। তবে আমি রিপ্লে দেখিনি। ওটা যদি সেই হয়, তাহলেও কোন সমস্যা নেই।’ ইব্রা মনে করেন প্রতিপক্ষ স্ট্রাইকারকে বাধা দেয়াই অন্যতম কাজ একজন ডিফেন্ডারের। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ডিফেন্ডারদের কাজ হলো আমার মতো যারা স্ট্রাইকার তাদের পাহারা দেয়া এবং বল নিয়ে ঢোকার সময় বাধা প্রদান করা। কিন্তু আমার কাজ গোল করা, সেই চেষ্টা তো আমি করবই।’ কর্নারটি হওয়ার আগে পজিশনে দাঁড়িয়ে মিংসের সঙ্গে আলোচনায় রত ছিলেন ইব্রা। তিনি এ বিষয়ে বলেন, ‘আমি অনেক বেশি কথা বলি। অনেক ধরনের কথাবার্তাই বলি। কিন্তু মিংসকে কি বলেছি এখন সেটা মনে নেই।’ ইব্রার সঙ্গে সংঘর্ষের ব্যাপারে মিংসও জানালেন সেসব ইচ্ছাকৃত ছিল না। কিন্তু এরপরও এফএ কর্মকর্তারা বিষয়টি খতিয়ে দেখতে শুরু করেছেন।
×