স্টাফ রিপোর্টার ॥ হঠাৎ বৃষ্টিতে স্বস্তি নেমে এলো রাজধানীতে। মধ্য ফাগুনেই ধরা দিয়েছে দীর্ঘ প্রতিক্ষার এই বৃষ্টি। বাতাসে ধুলোবালি ধুইয়ে দিয়ে রবিবার বৃষ্টি ঝরল অঝোরে। এটাই বসন্তের প্রথম বৃষ্টি।
এ বৃষ্টি শুধু পরিবেশই নয়-ফসলের জন্যও ভাল। আম-লিচুর মুকুল পরিপুষ্ট হতে সাহায্য করে এই বৃষ্টি। বোরো আবাদেও কৃষকের উপকারে আসে এ সময়ের বৃষ্টি। সবার কাছেই কাক্সিক্ষত ফাল্গুনের এ বারিধারা। রবিবার সকালে যৎসামান্য বৃষ্টি হলেও রাতে ছিল মুষলধারে। এদিন সকাল থেকেই আকাশ ছিল মেঘাচ্ছন্ন। রবিবার শেষরাতে এক দফা হয়ে যায়। তারপর দুপুরে আরেক দফা। আর রাত নয়টার পর যেন মুষলধারে। চলে অনেকক্ষণ। এ বৃষ্টি নিয়ে বর্ষার মতো কাব্য না লেখা না গেলেও কৃষিবিজ্ঞানীরা বলছেনÑ এটা আশীর্বাদের বর্ষণ। ধুলোবালির রাজপথ আর মাঠের বোরো ধান, গম, আম ও কাঁঠালের জন্য কতোটা উপযোগী তা আজ সকালের বৃক্ষরাজির পত্র পল্লবের নবরূপেই প্রমাণ মিলে। কাল দিনভর আকাশ ছিল মেঘলা। সেজন্য সকালেই বোঝা গেছে-বৃষ্টি হবে। দিনের শুরুতে ফাগুনের উদাসী আকাশে ছিল মেঘলা ভাব। তাপও ছিল মোটামুটি। তার পর বৃষ্টি পড়তে থাকে রাতের প্রথম প্রহরে।
এদিন আবহাওয়ার পূর্বাভাসেও বজ্রপাতসহ শিলাবৃষ্টির আগাম সতর্কবার্তা ছিল। তবে মৌসুমের প্রথম বৃষ্টি রাতে এতটা প্রবল হয়ে ওঠবে তেমনটি ছিল আবহাওয়াবিদদেরও ধারণাতীত। রবিবার ভোরেই প্রথম দফা রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়। এ সময় ফাগুনের হিমশীতল বাতাসের সঙ্গে মিনিট বিশেক স্থায়ী এ বৃষ্টি ঘুমন্ত মানুষকে আরও শয্যামুখী করে তোলে।
এমন প্রিয় বৃষ্টির অপেক্ষায় ছিল রাজধানীবাসী। গত কয়েক দিন আকাশে মেঘ থাকলেও বৃষ্টির দেখা মেলেনি। তারপর হঠাৎ দুপুরের দিকে নগরবাসী দেখলো হঠাৎ বৃষ্টি। সেজন্য অনেকেই স্বাগতম জানিয়েছে এই বৃষ্টিকে। তবে রাতের ভারি বৃষ্টির জন্য প্রস্তুুত ছিল না নগরবাসী। নগরবাসী দেখল অনেক স্থানেই রাস্তা ভেজা ও পানিও জমে ছিল কয়েকটা জায়গায়। এ বৃষ্টির দরুন আবহাওয়ার কিছুটা পরিবর্তন ঘটতে পারে। রাজধানীতে না হলেও দেশের উত্তরাঞ্চলে শীত আরও জেঁকে বসতে পারে কিছুদিন। দেশজুড়ে আবহাওয়া কিছুটা শীতল থাকতে পারে।
তিনটি ট্রান্সফরমার বিস্ফোরণ ॥ রাজধানীতে মৌসুমের প্রথম বৃষ্টির সময় কয়েকটি বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমারে বিস্ফোরণ ও অগ্নিকা- ঘটে। মোহাম্মদপুরের নূরজাহান রোড, ইস্কাটনের দিলু রোড ও তেজগাঁয়ে এসব অগ্নিকা- ঘটে। খবর পেয়ে এ সব এলাকায় দমকল বাহিনীর তিনটা ইউনিট পৌঁছলেও কাজ শুরুর আগেই আগুন নিভে যায়।
দমকল বাহিনীর এক কর্মকর্তা জানান, হঠাৎ বৃষ্টির দরুন বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমারে আগুন লাগাট্ইা স্বাভাবিক। তবে এ তিনটে স্থানেই বিকট শব্দে ট্রান্সফরমার বি¯েফারণের পর আগুন ধরে যায়। এতে বিদ্যুত চলে গেলে এলাকা অন্ধকারাছন্ন হয়ে পড়ে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: