বিশেষ প্রতিনিধি ॥ ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ মনে করে, আন্দোলনের নামে বিএনপি যে সহিংস ঘটনা ঘটিয়েছিল, তা বন্ধে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করে বিচার করা প্রয়োজন। যাতে ভবিষ্যতে রাজনীতির নামে সহিংস ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয়। বিএনপি রাজনৈতিক চরিত্র হারিয়ে এখন সন্ত্রাসী সংগঠনে পরিণত হয়েছে। এটা এখন বৈশ্বিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে। সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের জন্য বিশেষ ট্রাইব্যুনালে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াসহ জড়িত সবারই বিচার হওয়া উচিত।
বৃহস্পতিবার ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের পক্ষ আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ এসব কথা বলেন। কানাডার ফেডারেল আদালতে বিএনপিকে সন্ত্রাসী সংগঠন অ্যাখার দেওয়ার বিষয়ে আওয়ামী লীগের বক্তব্য তুলে ধরতেই এই প্রেস ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হয়।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, সন্ত্রাসী সংগঠনের যে তকমা বিএনপি পেয়েছে, এ থেকে পরিত্রাণের জন্য বিএনপির আমূল পরিবর্তন এবং তাদের নেতৃত্বে পরিবর্তন আনা প্রয়োজন। কানাডার ফেডারেল আদালতের রায় তুলে ধরে তিনি বলেন, মোহাম্মাদ জুয়েল হোসেন গাজী নামের ঢাকার মিরপুরের স্বেচ্ছাসেবক দলের একজন কর্মীর রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন নাকচ হওয়ার পর তিনি ফেডারেল কোর্টে এই জুডিশিয়াল রিভিউর আবেদন করেন। তাঁর ওই রিভিউ নাকচ করে কোর্ট আরও বলেছেন, বিএনপি সন্ত্রাসী কাজে লিপ্ত ছিল, আছে বা ভবিষ্যতেও থাকতে পারে, এমন ধারণার করার যৌক্তিক কারণ রয়েছে। তিনি বলেন, বিএনপি যে সন্ত্রাসী সংগঠন, আওয়ামী লীগের এতদিনের এ অভিযোগ কানাডার ফেডারেল কোর্টের রায়ে প্রমাণিত হয়েছে।
হাছান মাহমুদ বলেন, মানুষ পুড়িয়ে হত্যা, ঘুমন্ত মানুষের ওপর পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করা, বিশ্ব ইজতেমাফেরত মুসল্লি কেউই বিএনপির এই সন্ত্রাসী কর্মকান্ড থেকে রেহাই পায়নি। পৃথিবীর কোথাও রাজনীতির জন্য, সরকার পরিবর্তনের জন্য এ ধরনের ঘটনা সমসাময়িক সময় ঘটেনি। এটি বিএনপি এবং তাদের মিত্র জামায়াত মিলে বাংলাদেশে ২০১৪ ও ২০১৫ সালে ঘটিয়েছে। তিনি আরও বলেন, বিএনপির সন্ত্রাস, নৈরাজ্য, ষড়যন্ত্র দেশের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। বাংলাদেশের সীমানা পেরিয়ে দেশের বাইরে বিস্তৃত হয়েছে।
সাংবাদিক সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলি, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।