ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

মসজিদের রাজনীতি বন্ধ করুন ॥ কলকাতার ইমামকে সতর্ক বার্তা

প্রকাশিত: ০৩:৫০, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

মসজিদের রাজনীতি বন্ধ করুন ॥ কলকাতার ইমামকে সতর্ক বার্তা

কলকাতার প্রখ্যাত টিপু সুলতান মসজিদের শাহী ইমামকে মসজিদ প্রাঙ্গণে রাজনৈতিক বক্তব্য দিতে নিষেধ করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাকে বলা হয়েছে, তিনি যেন ধর্মের সঙ্গে রাজনীতিকে না মিশিয়ে ফেলেন। ওই শাহী ইমাম, নুরুর রহমান বরকতি নিয়মিতই রাজনৈতিক বার্তা দিয়ে থাকেন, যার বেশিরভাগই হিন্দু সংগঠন আরএসএস-বিজেপি বিরোধী। তাঁকে পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেসের ঘনিষ্ঠ লোক বলে গণ্য করা হয়। টিপু সুলতান মসজিদের মোতোওয়ালি, আনোয়ার আলি শাহ বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, আমরা উনাকে জানিয়েছি, যে মসজদিটা ধর্মীয় স্থান। সেখানে রাজনীতি আনবেন না। ইমামতির জায়গায় সেটাই করুন। আর রাজনীতির কথা নিশ্চয়ই তাঁর বলার অধিকার আছে, সেটা তিনি বাইরে বলুন, মসজিদে নয়। উনি বার বার মসজিদ চত্বর থেকে রাজনৈতিক কথা বললে সমাজের মধ্যে একটা ভুল বার্তা যাচ্ছে, যে উনি মসজিদে বসে যা বলছেন, সেটা সমস্ত মুসলমানদের কথা। কিন্তু তা তো নয়। মসজিদের চত্বরকে যাতে রাজনৈতিক বার্তা দেয়ার জন্য ব্যবহার না করা হয়, তার জন্য সেখানে পোস্টার এবং ব্যানার লাগিয়েছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। দিন কয়েক আগে এ নিয়ে মসজিদ লাগোয়া দোকানগুলোতে ১২ ঘণ্টার একটা ধর্মঘটও পালন করা হয়েছে। আনোয়ার আলি শাহ আরও জানাচ্ছিলেন যে শাহী ইমামকে অনেকবার অনুরোধ করা হয়েছে যাতে তিনি মসজিদ থেকে রাজনৈতিক কথা না বলেন। কিন্তু উনি সেটাই চালিয়ে যাচ্ছেন, এর আগে কেউ কোন প্রতিবাদও করেননি! কিন্তু শাহী ইমামের নিয়মিত রাজনৈতিক বক্তব্য পেশ এবং মসজিদেই সংবাদ সম্মেলন করার বিষয়টা যেমন অনেক সাধারণ মুসলমান মেনে নিতে পারছেন না, তেমনই এই ওয়াকফ সম্পত্তিটি দেখভালের জন্য যে কমিটি আছে, তারাও মেনে নিতে পারেনি বলে দাবি মোতোওয়াল্লি শাহর। গত শুক্রবারও একটি সংবাদ সম্মেলন করতে শাহ বাধা দিলে, তাঁকে শারীরিকভাবে নিগ্রহ করা হয় বলে অভিযোগ। -বিবিসি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত চীন মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে কাজ করার প্রস্তুতির কথা জানিয়ে দিয়েছে চীন। দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে এ কথা জানানো হয়েছে। শুক্রবার জি-২০ ভুক্ত দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্মেলনের ফাঁকে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং জি ও মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন বৈঠক করেন। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শপথ নেয়ার পর এটাই দুই দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ের বৈঠক। খবর এএফপির। ট্রাম্প ‘এক চীন’ নীতির ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তুললে বেজিং ক্ষুব্ধ হয়। তবে গত সপ্তাহে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে এক ফোনালাপে ট্রাম্প আপোসমূলক কথাবার্তা বলেন। শুক্রবার চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, টিলারসনকে ওয়াং বলেন, এ ব্যাপারে ঐকমত্য দ্বিপক্ষীয়, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক ইস্যুগুলোতে দুই দেশের মধ্যে কৌশলগত সহযোগিতার ক্ষেত্র তৈরি করেছে। ওয়াং বলেন, চীন ও যুক্তরাষ্ট্র বৈশ্বিক স্থিতিশীলতা ও বৈশ্বিক সমৃদ্ধি জোরদারের বিষয়টি নিজেদের কাঁধে নিয়েছে এবং দুই দেশের মধ্যে বিরোধের চেয়ে অভিন্ন অনেক স্বার্থ রয়েছে।
×