ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ০২ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১

খুলনায় ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে হত্যা

প্রকাশিত: ০৫:০১, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

খুলনায় ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে হত্যা

স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা অফিস ॥ রূপসা উপজেলায় খায়রুল ইসলাম পরাগ (২৫) নামের পোল্ট্রি ফিড ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে ও ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। সোমবার সকাল ১০টার দিকে তিলক বাজারের পার্শ্ববর্তী তরফদার বাড়ির বাথরুমের ট্যাঙ্কির মধ্য থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। তাকে ডেকে নিয়ে শ্বশুরবাড়ির লোকজন খুন করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় পরাগের স্ত্রী তামান্না, শাশুড়ি, মামা শ্বশুর, তামান্নার প্রেমিক শাকিলসহ ৬ জনকে আটক করেছে পুলিশ। জানা গেছে, নিহত পরাগ রূপসা উপজেলার দক্ষিণ খাজাডাঙ্গা গ্রামের খতিবুল ইসলাম সরদারের ছেলে। গত ১৯ জানুয়ারি তিলক গ্রামের মৃত মুরাদ শেখের মেয়ে তামান্নার সঙ্গে তার বিয়ে হয়। পরাগের চাচাতো ভাই সরদার কামাল হোসেন জানান, রবিবার রাত ১০টার দিকে শাশুড়ির ফোন পেয়ে পরাগ খাঁজাডাঙ্গা গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে মোটরসাইকেলে পার্শ্ববর্তী তিলক গ্রামে শ্বশুরবাড়ির উদ্দেশে রওনা হয়ে যায়। সোমবার খুলনায় পোল্ট্রি ফিডের মাল কিনতে যাবে বলে কাছে প্রায় ২ লাখ টাকা ছিল। পরে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। রাত সাড়ে ১২টার দিকে শ্বশুরবাড়ি যোগাযোগ করলে পরাগ সেখানে যায়নি বলে জানানো হয়। এরপর সারা রাত তার কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। সোমবার সকাল ১০টার দিকে রক্তের দাগ দেখে খোঁজাখুঁজি করে তরফদার বাড়ির বাথরুমের ট্যাঙ্কির ভেতর তার লাশ পাওয়া যায়। মাধবপুরে নারীর লাশ উদ্ধার সংবাদদাতা, মাধবপুর, হবিগঞ্জ থেকে জানান, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সীমানা প্রাচীরের কাছে ঝুপরি থেকে অজ্ঞাত পরিচয় (৩০) নারীর অর্ধগলিত মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। খবর পেয়ে পুলিশ সোমবার বেলা ১১টার দিকে লাশ উদ্ধার করে। পুলিশের ধারণা ধর্ষণের পর তাকে হত্যা করে লাশ নির্জন স্থানে ফেলে রেখেছে। কমপক্ষে ১০-১২ দিন ধরে মৃতদেহটি এখানে পড়ে রয়েছিল। পুলিশ জানান, সোমবার সকালে হাসপাতাল চত্বরে সবজি খেতে খাল থেকে সেচ দিয়ে পানি দিতে গিয়ে লোকজন মৃতদেহটি পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়। গাজীপুরে ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর থেকে জানান, অভিমানী গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ সোমবার উদ্ধার করেছে পুলিশ। তার নাম আসমা উল হোসনা (২৬)। সে মাগুরা জেলা সদরের সেফাতুল আলম সাগরের স্ত্রী। জানা গেছে, উত্তর বিলাশপুর এলাকায় স্ত্রী আসমা ও তাদের একমাত্র সন্তানকে নিয়ে ভাড়া বাড়িতে থেকে সাগর প্রাণ-আরএফএল কোম্পানিতে চাকরি করে। লেনদেন নিয়ে গত কিছুদিন ধরে বাবার সঙ্গে আসমার মনমালিন্য চলছিল। আসমা মাগুরা জেলা সদরের আজাদ আলীর মেয়ে। সোমবার সকালে প্রতিদিনের মতো কর্মস্থলের উদ্দেশে সাগর বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। এরপর প্রতিবেশীরা ঘরের ধর্নার সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচানো আসমার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দুপুরে আসমার লাশ উদ্ধার করে। ধারণা করা হচ্ছে, বাবার সঙ্গে অভিমান করে সে আত্মহত্যা করেছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গৃহবধূর লাশ উদ্ধার স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে জানান, সোমবার দুপুরে সরাইলে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরিবারের দাবি তাকে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশ সরাইল হাসপাতাল থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। সে সদর উপজেলার সুহিলপুর এলাকার মৃত আবদুল আলী মিয়ার মেয়ে ইয়াছমিন (৩০)। ১০ বছর আগে সরাইল উপজেলার বড্ডাপাড়ার মৃত আবদুল খেকিম মিয়ার ছেলে নজরুল মিয়ার সঙ্গে ইয়াসমিনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে নানা বিষয় নিয়ে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। নিহতের মা সায়েরা বেগম অভিযোগ করে বলেন, সকালে মেয়ের জামাই মোবাইলে ফোন করে বলেন ইয়াসমিন হাসপাতালে। তিনি হাসপাতালে এসে মেয়ের লাশ দেখতে পান। নিহতের বড় ভাই জালাল বলেন, নজরুল ও তার পরিবারের লোকজন নির্যাতন করে আমার বোনকে হত্যা করেছে। ঘটনার পর থেকে স্বামী ও তার পরিবারের সদস্যরা গা ঢাকা দিয়েছে।
×