ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

নতুন অধ্যায় শুরু করতে আবাহনীতে কোচ মামিচ

প্রকাশিত: ০৫:৫৫, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

নতুন অধ্যায় শুরু করতে আবাহনীতে কোচ মামিচ

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ মানুষের জীবন ও ভাগ্য বড়ই বিচিত্র। জীবিকা তাকে কখন যে কোথায় নিয়ে যায়, তা কেউ জানে না। দ্রাগো মামিচই কি ভাবতে পেরেছিলেন, তাকে আবারও ফিরে আসতে হবে বাংলাদেশে, নির্দিষ্ট করে বললে ঢাকা আবাহনী লিমিটেডে? ৬২ বছর বয়সী এই ক্রোয়েশিয়ান ফুটবল কোচ গত বছরের এপ্রিলে ‘দ্য স্কাই ব্লু ব্রিগেড’দের দ্রোণাচার্য হিসেবে কাজ করে গিয়েছিলেন। তবে মাত্র ১২ দিন! না, তিনি ছাঁটাই হননি। স্বেচ্ছায় ছেড়েছিলেন কোচের চাকরিটা। তার অবশ্য বড় কারণ ছিল একটাইÑ স্ত্রীর অসুস্থতা। কদিন আগে লীগ ও ফেডারেশন কাপ জেতান আবাহনীর অস্ট্রিয়ান কোচ জর্জ কোটান দায়িত্ব ছেড়ে চলে গেলে এ পুরনো কোচ মামিচকেই আবারও ফিরিয়ে আনল আবাহনী। মঙ্গলবার সকালে ঢাকায় বিমানযোগে পৌঁছান মামিচ। তবে ভিসা জটিলতায় বিমানবন্দর থেকে বের হতে প্রায় তিনঘণ্টা লেগে যায় তার। উল্লেখ্য, আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামের এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে শুরু হতে যাচ্ছে ‘শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপ’ ফুটবলের দ্বিতীয় আসর। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে এই টুর্নামেন্ট দিয়েই আবাহনীতে নতুন অধ্যায় শুরু হতে যাচ্ছে মামিচের। এরপর মার্চ থেকে এএফসি কাপ। তবে এ দফায় মামিচ কতদিন আবাহনীতে থাকবেন তা জানা যাবে তার সঙ্গে আবাহনীর চুক্তির পরেই। তবে আবাহনীর চাওয়া হচ্ছে- পুরো মৌসুমের জন্যই তাকে রাখতে। মামিচ সর্বশেষ কাজ করেছেন মালয়েশিয়ার সাইম ডার্বি এফসিতে। তিনি ২০১৫ সালে মালদ্বীপ জাতীয় দলেরও কোচ ছিলেন। মিয়ানমারের কোচ ছিলেন ২০১০ সালে। ক্রোয়েশিয়া যুব দলেরও কোচ ছিলেন ১৯৯০-৯৬ পর্যন্ত। এছাড়া ক্রোয়েশিয়া, চীন, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ভারতসহ মোট আটটি ক্লাবের হয়ে কোচিং করান। ক্লাবগুলো হচ্ছে- ক্রোয়েশিয়ার এইচএনকে অরিজেন্ট ১৯১৯ (যুব দল, ১৯৮৮-৯৬), এইচএনকে অরিজেন্ট ১৯১৯ সিনিয়র ক্লাবে (সহকারী কোচ, ১৯৯৬-৯৭), এইচএনকে অরিজেন্ট ১৯১৯ সিনিয়র ক্লাবে (১৯৯৭-৯৮), চীনের সিচুয়ান কোয়ানজিং এফসি (১৯৯৯-২০০০), চীনের দালিয়ান শাইদ এফসি (সহকারী কোচ, ২০০০-০৩), চীনের গুয়াংজু রিঝিকুয়ান এফসি (সহকারী কোচ, ২০০৩-০৫), একই ক্লাবের কেয়ারটেকার (২০০৫-০৬), মালয়েশিয়ার সাবাহ্ এফএ (২০০৭-০৮), ভারতের চার্চিল ব্রাদার্স এসসি (২০১০-১১) এবং ইন্দোনেশিয়ার পারসিব বান্দুং (২০১১-১২)। এখন দেখার বিষয়- কোটানের মতো আবাহনীকে নজরকাড়া সাফল্য এনে দিতে পারেন কি না মামিচ।
×