ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

শরীয়তপুরে ভুল প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা, ৩৯ পরীক্ষার্থীর ভবিষ্যত অনিশ্চিত

প্রকাশিত: ০৬:০৫, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

শরীয়তপুরে ভুল প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা, ৩৯ পরীক্ষার্থীর ভবিষ্যত অনিশ্চিত

নিজস্ব সংবাদদাতা, শরীয়তপুর, ৬ ফেব্রুয়ারি ॥ নড়িয়ার মজিদ জরিনা ফাউন্ডেশন স্কুল এ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে এসএসসি পরীক্ষার দ্বিতীয় দিনে রবিবার বাংলা দ্বিতীয় পত্রে ভুল প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা নেয়ায় ৩৯ পরীক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। কেন্দ্র সচিব বলছেন, হল সুপারের অসতর্কতার কারণে এ ঘটনা ঘটেছে। কক্ষ পরিদর্শক ও হল সুপারকে কারণ দর্শানোর নোটিস দেয়া হয়েছে। ডেপুটি কন্ট্রোলারকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। জেলা প্রশাসক বলছেন, বিষয়টি তাকে জানানো হয়নি। জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। মজিদ জরিনা ফাউন্ডেশন স্কুল এ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রের এসএসসি পরীক্ষার্থী সায়মা আকতার জানান, নড়িয়া-২ কোড ৫৪৬, মজিদ জরিনা ফাউন্ডেশন স্কুল এ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে ৫ ফেব্রুয়ারি বাংলা দ্বিতীয়পত্র পরীক্ষায় ১২১নং কক্ষে পালং উচ্চ বিদ্যালয়ের ১২জন, পঞ্চপল্লী গুরুরাম উচ্চ বিদ্যালয়ের ১১জন ও শহীদ সামাদ উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৬ জনসহ মোট ৩৯ পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়। যাদের রোল নম্বর ৪৫৫৯৩ থেকে ৪৫৫৯৪৩, ৯৫৬১১৯ থেকে ৪৫৬১২৯ পর্যন্ত এবং ৪৫৯৯৯ থেকে ৪৫৬০১৪ পর্যন্ত। এখানে কক্ষ পরিদর্শকের দায়িত্ব পালন করেন ইকাদুল সেখ ও আনোয়ার হোসেন এবং হল সুপার ছিলেন বিজয় কুমার ম-ল ও কেন্দ্র সচিব ছিলেন ফরিদ আল হোসাইন। তাদের অসতর্কতা ও গাফিলতির কারণে ২০১৭ সালের রচনামূলক প্রশ্নপত্রের পরিবর্তে ২০১৬ সালের পুরাতন সিলেবাস অনুয়ায়ী রচনামূলক প্রশ্নপত্র পরীক্ষার্থীদের মাঝে সরবরাহ করা হয়। এ সময় পরীক্ষার্থীরা ভাল উত্তর করতে না পারলেও তাড়াহুড়ো করে ভুল প্রশ্নপত্রেই পরীক্ষা দেয়। পরীক্ষা শেষে পরীক্ষার্থী ও শিক্ষকদের মধ্যে ভুল প্রশ্ন বিতরণের বিষয়টি ধরা পড়ে। বিষয়টি জানাজানির পর কেন্দ্র সচিব ফরিদ আল হোসাইন স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি না জানিয়ে শুধুমাত্র ঢাকা বোর্ডের উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক তারেক বিন আজিজকে অবহিত করেছেন বলে জানা গেছে। এ নিয়ে পরীক্ষার্থীদের মধ্যে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে। পরীক্ষার্থীরা তাদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে বিবেচনার সঙ্গে খাতা মূল্যায়নের জন্য পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকদের দৃষ্টি কামনা করেন। হল সুপার বিজয় কুমার ম-ল বলেন, পরীক্ষা শুরুর পূর্বে ভুলবশত ২ সেট প্রশ্নপত্র ১২২নং কক্ষে চলে যায়। পরবর্তী নতুন করে ১২১নং কক্ষে প্রশ্ন পাঠানো হয়। সেই প্রশ্নপত্রই ছিল ২০১৬ সালের। অসতর্কতার কারণেই এটা হয়েছে। কেন্দ্র সচিব ফরিদ আল হোসাইন বলেন, হল সুপার বিজয় কুমার ম-লের অসতর্কতার কারণে পুরাতন সিলেবাসের প্রশ্নপত্রে ৩৯ জনের পরীক্ষা নেয়া হয়েছে। আমি জানার পর ঢাকা বোর্ডের উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রককে জানিয়েছি। সে আমাকে শতভাগ নিশ্চিত করেছেন পরীক্ষার্থীদের কোন ক্ষতি হবে না। এ বিষয়ে তিনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন। এছাড়া কক্ষ পরিদর্শক ও হল সুপারকে কারণ দশানো নোটিস দিয়েছি।
×