ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১

পুরস্কৃত তানিম শাহরিয়ারের ‘ডিজিটাল কোশ্চেন’

প্রকাশিত: ০৩:২০, ৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

পুরস্কৃত তানিম শাহরিয়ারের ‘ডিজিটাল কোশ্চেন’

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সাদার্ন ইউনিভার্সিটির উদ্যোগে আয়োজিত প্রথম ‘দখিনা আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র প্রতিযোগিতা-২০১৬’ এ প্রথম স্থান অধিকার করেছে তরুণ নির্মাতা স্টেট ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী তানিম শাহরিয়ার নির্মিত স্বপ্লদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘ডিজিটাল কোশ্চেন’। প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় হয়েছে বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন এ্যান্ড টেকনোলেজির স্টুডেন্ট মাসুম সৈয়দ হকের ‘ডু অর ডাই’ এবং যৌথভাবে তৃতীয় হয়েছে গ্রীন ইউনিভার্সিটির স্টুডেন্ট ইফতেখার আহমেদের ‘পতাকা’ ও এমসি ইউনিভার্সিটির সুজিত দেব রায়ের ‘দ্য রিলিজিয়াস’। প্রতিযোগিতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ ১৭ প্রতিষ্ঠানের মোট ২১ চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হয়। সাদার্ন ইউনিভার্সিটি মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিজয়ী সেরা ৭ নির্মাতার মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন প্রধান অতিথি প্রতিষ্ঠানের উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠাতা সারওয়ার জাহান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, অধ্যাপক শরিফুজ্জামান, অধ্যাপক মহি উদ্দিন চৌধুরী, প্রতিযোগিতার আহ্বায়ক ড. ইসরাত জাহান, ওয়ার্ড কাউন্সিলর গিয়াস উদ্দিন, অধ্যাপক হাসান জাকারিয়া প্রমুখ। এদিকে গত বছর বাংলাদেশ শিশু একাডেমি আয়োজিত শেখ রাসেল জাতীয় শিশুতোষ চলচ্চিত্র উৎসবে দর্শক জরিপে ‘ডিজিটাল কোশ্চেন’ চলচ্চিত্রটি প্রথম হয়। এ ছাড়াও বিচারকদের রায়ে এই চলচ্চিত্রটি তৃতীয় স্থান লাভ করে। প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করা পরিচালক তানিম ব্যাক বেঞ্চার ফিল্মের প্রযোজনায় ‘ডিজিটাল কোশ্চেন’ চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করেছেন। পথশিশুর গল্প নিয়ে নির্মিত ৪ মিনিট ২২ সেকেন্ড ব্যাপ্তির এই স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের গল্প, চিত্রনাট্য ও পরিচালনা করেছেন তানিম শাহরিয়ার। ক্রিয়েটিভ হিসেবে ছিলেন সিজন আনাম, সহকারী পরিচালক হিসেবে ছিলেন বাপ্পি ও অর্ণব। চিত্রগ্রহণ করেছেনÑ রিয়াদ আহমেদ, সম্পাদনা ও এ্যানিমেশন করেছেন ফারিদুর ফারদিন। মিউজিক করেছেন জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী তাঞ্জিব সারোয়ার। ব্যাকবেঞ্চার টিমের সদস্যরা হলেনÑ তানিম শাহরিয়ার, সিজন আনাম, বাপ্পি, অর্ণব, রাব্বানী, আসদুজ্জামান সুপ্ত, আনোয়ার হোসেন, শুভ, যুক্ত ফুয়াদ প্রমুখ। জানা গেছে, চলচ্চিত্রটি ব্যাকবেঞ্চারদের প্রথম কাজ। ‘ব্যাকবেঞ্চার ফিল্মস’ টিম সূত্রে জানা যায় এই চলচ্চিত্র তৈরিতে সময় লেগেছে প্রায় দুই বছর। এর পেছনে রয়েছে ব্যাকবেঞ্চারদের এক সাহসী গল্প। প্রথম কাজেই পুরস্কৃত হয়ে তারা কাজ নিয়ে আরও দায়িত্বশীল হতে চায়। তাদের এখন স্বপ্ন চলচ্চিত্র নির্মাণ করবে। আর সেই চলচ্চিত্রের মাধ্যমে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিতে চায় তারা। পৃথিবীর সেরা ফিল্ম এ্যাওয়ার্ড নিজের দেশের ঘরে আনবে।
×