ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

টেস্ট স্ট্যাটাস পেতে পারে আয়ারল্যান্ড ও আফগানিস্তান

ফের ভাবনায় দ্বিস্তর টেস্ট ও ওয়ানডে লীগ!

প্রকাশিত: ০৫:৫৮, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

ফের ভাবনায় দ্বিস্তর টেস্ট ও ওয়ানডে লীগ!

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ আইসিসির দ্বিস্তরের টেস্টের পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা কম হয়নি। বাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলঙ্কাসহ একাধিক দেশের আপত্তির ফলে প্রাথমিক সেই উদ্যোগ থেকে সরে এলেও ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা এবার নতুন ফর্মূলা নিয়ে হাজির হচ্ছে। দ্বিস্তর হবে ঠিকই, তবে আগের মতো নয়। এখন টেস্ট খেলুড়ে দেশ মোট ১০টি, তার সঙ্গে আরও ২টি দল (সম্ভাব্য আয়ারল্যান্ড ও আফগানিস্তান) যোগ করে সংখ্যাটা ১২-তে উন্নীত করে সেটিকে সমান টু-টায়ারে ভাগ করা হবে। আর তিন বছর মেয়াদী ওয়ানডে লীগে অংশ নেবে মোট ১৩টি দল। আইসিসির (ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল) চীফ এক্সিকিউটিভ কমিটি সম্প্রতি এমনটা জানিয়েছে। বোর্ড সভায় অনুমতি মিললে ২০১৯ সাল থেকে নতুন এই কাঠামো চালু হবে। শনিবার শুরু হওয়া সভায় না উঠলেও এপ্রিলে পরবর্তী সভায় এই প্রস্তাব নিয়ে চূড়ান্ত আলোচনা হবে বলে সংবাদ মাধ্যমে জানান হয়েছে। পরবর্তী সভায় প্রধান নির্বাহীদের নিয়ে গড়া কমিটির সুপারিশ অনুমোদন পেলে নতুন মোড়কে ঠিকই দ্বিস্তরের টেস্ট দেখা যাবে। পাঁচদিনের পরিবর্তে চারদিনের টেস্টের বিষয়টিও গুরুত্ব দিয়ে ভাবা হচ্ছে। পরিবর্তন আসতে পারে রঙিন পোশাকের ওয়ানডে আর টি২০তেও। মূলত ক্রিকেটকে আরও জনপ্রিয় করে তুলতে সংস্থাটির মাথায় এমনসব পরিকল্পনা ঘুরপাক খাচ্ছে। নির্বাহী কমিটির সুপারিশ অনুমোদন পেলে ২০১৯ থেকে ৯-৩ ফরমেটে দুই বছর মেয়াদী টেস্ট লীগ দেখা যাবে। আইসিসি র‌্যাঙ্কিংয়ের সেরা ৯টি দল নিজেদের মধ্যে, আর র‌্যাঙ্কিংয়ের নীচের ৩টি দলের বিপক্ষে খেলবে। যেখানে এই মুহূর্তে টেস্ট র‌্যাঙ্কিংয়ের ১০ নম্বর দল জিম্বাবুয়ের সঙ্গে যুক্ত হতে পারে আয়ারল্যান্ড ও আফগানিস্তান। র‌্যাঙ্কিংয়ের সেরা নয় দল ঘরের মাটিতে বা প্রতিপক্ষের মাঠে দুই বছরের মধ্যে অন্তত একবার করে খেলবে। সেরা দুই দল মুখোমুখি হবে প্লে-অফে। পূর্ণ সদস্য দেশগুলো এর বাইরেও দ্বি-পাক্ষিক সিরিজ আয়োজন করতে পারবে। প্রস্তাবে বলা হয়, লীগ শুরু হলে প্রথম ৯ দলকে প্রতি দুই বছরে এই তিন দেশের অন্তত একটির সঙ্গে সিরিজ খেলতে হবে। চার বছর পরপর এই তিন দেশের মূল্যায়ন করা হবে। আর তিন বছর মেয়াদী ওয়ানডে লীগে খেলবে ১৩টি দল। ১০টি টেস্ট খেলুড়ে দেশ এবং আয়ারল্যান্ড, আফগানিস্তানের সঙ্গে যুক্ত হবে ওয়ার্ল্ড ক্রিকেট লীগের চ্যাম্পিয়ন দল। এই সময়ে প্রতিটি দল ঘরের মাটিতে ও প্রতিপক্ষের মাঠে একটি করে সিরিজ খেলবে। প্রতিটি দলের বছরে অন্তত ১২টি করে ম্যাচ খেলার সুযোগ মিলবে। স্বাভাবিকভাবে নেই কোন সর্বোচ্চ সীমা। আয়োজক দেশ আর প্রথম ৭ দল সরাসরি বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পাবে। এই লীগের শেষ ৫ দলকে অন্য দেশগুলোর সঙ্গে খেলতে হবে বিশ্বকাপের বাছাই পর্বে। মূল টুর্নামেন্ট হবে ১০ দলের। এখন থেকে চার বছর পরপর টি২০ বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। সেই হিসেবে পরের দুই আসর হবে ২০২০ ও ২০২৪ সালে। তবে ২০১৮ ও ২০২২ সালে আরও দুটি বাড়তি বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়ে কথা চলছে। আইসিসির পাঁচটি অঞ্চলেই এই টুর্নামেন্টের জন্য একটি বাছাইপর্ব চালুর প্রস্তাব করা হয়েছে। একটি সাইকেলে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ থেকে তারা যে পয়েন্ট পাবে তার ভিত্তিতে চূড়ান্ত পর্বে যাবে। ওয়ানডে সিরিজ আয়োজনের সময় দলগুলো সর্বোচ্চ তিন ম্যাচের টি২০ সিরিজও আয়োজন করতে পারবে।
×