ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ট্রাম্পকে একহাত ফারার

প্রকাশিত: ০৬:৩৫, ৩১ জানুয়ারি ২০১৭

ট্রাম্পকে একহাত ফারার

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ অভিবাসী আইনে বেশকিছু নতুন নিয়ম আনা হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দায়িত্ব নেয়ার পর দেশটিতে ৭ মুসলিম রাষ্ট্র থেকে প্রবেশাধিকারে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। এ বিষয়টি কোনভাবেই মানতে পারছেন না ব্রিটিশ দৌড়বিদ মোঃ ফারাহ। কারণ নিষেধাজ্ঞা পাওয়া দেশগুলোর মধ্যে আছে সোমালিয়াও। ফারাহ বর্তমানে ব্রিটিশ নাগরিক হলেও জন্মসূত্রে সোমালিয়ার। এ কারণে ট্রাম্পের প্রণীত নিয়মের জন্য নিয়মিত যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ সম্ভব হবে না ফারাহর। কারণ তিনি পরিবারসহ মার্কিন রাজ্য অরিগনে বসবাস করেন। তবে ব্রিটিশ সরকার জানায়, দ্বৈত নাগরিকত্ব লাভ করা কারও জন্য নতুন আইন কার্যকর হবে না। এরপর ফারাহ স্বস্তি প্রকাশ করে বলেন, ‘বেঁচে গেলাম।’ ফারাহ ৮ বছর বয়সে লন্ডনে আসেন এবং একজন দৌড়বিদ হিসেবে নিজেকে গড়ে তোলেন। ব্রিটিশ নাগরিকত্ব নিয়ে তিনি টানা দুই অলিম্পিকের ৫ ও ১০ হাজার মিটারে স্বর্ণপদক জিতেছেন। দেশের ক্রীড়ায় ব্যাপক অবদান রাখার জন্য তাকে ব্রিটেনের রাণী এ বছরই নাইট উপাধিতে ভূষিত করেছেন। তবে ফারাহর পরিবার থাকে যুক্তরাষ্ট্রের অরিগনে। আর তিনি অনুশীলন করছেন বর্তমানে ইথিওপিয়াতে। নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের দেশটিতে প্রবেশাধিকারে ৭ দেশের (ইরাক, ইরান, লিবিয়া, সোমালিয়া, সিরিয়া, ইয়েমেন ও সুদান) ওপর আরোপকৃত নিষেধাজ্ঞা এখন ফারাহকেও সমস্যায় ফেলতে পারে। এ কারণেই ট্রাম্পের ওপর চটেছেন এ ব্রিটিশ দৌড়বিদ। এ বিষয়ে ফারাহ বলেন, ‘এ বছর ১ জানুয়ারি মহামান্য রাণী আমাকে নাইট উপাধি দিয়েছেন। আর ২৭ জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যা করেছেন তাতে করে আমি এলিয়েন গোত্রের হয়ে গেছি বলেই মনে হচ্ছে। আমি ব্রিটিশ নাগরিক যে গত ৬ বছর ধরে আমেরিকায় বসবাস করছে। কঠোর পরিশ্রম করার পাশাপাশি সমাজের জন্য কিছু অবদান রাখছে, নিয়মিত ট্যাক্স পরিশোধ করছে এবং চারটি বাচ্চা সেখানে আছে যারা মনে করে এটাই তাদের দেশ। এখন আমি এবং আমার মতো আরও অনেকেই বলাবলি করছেন আমরা হয়তো সাদরে গ্রহণযোগ্য হতে পারব না। এটা গভীর সমস্যার সৃষ্টি করবে যখন আমার বাচ্চাদের জানাতে হবে যে তাদের বাবা বাড়ি ফিরতে পারছে না। কেন প্রেসিডেন্ট এ ধরনের অজ্ঞের মতো পক্ষপাতমূলক আইন আরোপ করলেন?’ তবে ফারাহর এমন মন্তব্যের পরই ব্রিটিশ সরকার ঘোষণা দেয় যে যাদের দ্বৈত নাগরিকত্ব রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে ট্রাম্পের নতুন আইন কার্যকর হবে না। এরপরই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে মুক্তি পেয়েছেন বলে দাবি করেন ফারাহ। কোর্টের নির্দেশে বিসিসিআই প্রধান বিনোদ রাই স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ সব জল্পনার অবসান হলো। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) প্রশাসনিক পদের জটিলতা কাটল। সোমবার দেশটির সুপ্রীমকোর্ট বোর্ডের শীর্ষ চার কর্তার নাম ঘোষণা করেছে। বিসিসিআই প্রধানের দায়িত্ব সামলাবেন সাবেক সিওজে (কন্ট্রোলার এ্যান্ড অডিট জেনারেল) বিনোদ রাই। এছাড়া আছেন ইতিহাসবিদ ও প্রখ্যাত ক্রীড়া বিশেষজ্ঞ রামচন্দ্র গুহ, ভারতের সাবেক মহিলা ক্রিকেট অধিনায়ক ডায়না এডুলজি, আইডিএফসি ব্যাঙ্কের ম্যানেজিং ডিরেক্টর বিক্রম লিমায়ে। প্যানেলের প্রধান হিসেবে থাকবেন বিনোদ রাই। ভারতীয় সুপ্রীমকোর্টের এ্যাটর্নি জেনারেল মুকুল রোহতাগির অনুরোধ অবশ্য প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। প্রশাসনে ক্রীড়ামন্ত্রীর সচিবকে রাখতে বলেছিলেন তিনি। কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, এখনই সরকারী কর্মচারী নিয়োগ করার সময় হয়নি। ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে আইসিসির বৈঠক আছে। সেখানে বোর্ডের যুগ্মসচিব হিসেবে বিসিসিআইয়ের প্রতিনিধিত্ব করবেন অমিতাভ চৌধুরী। তিন সদস্যের প্রতিনিধিদলের অপর দু’জন হলেন বিক্রম লিমায়ে ও অনিরুদ্ধ চৌধুরী। উল্লেখ্য, আইপিএল ফিক্সিং বোর্ডে বিভিন্ন অনিয়মের প্রেক্ষাপটে আলোচিত লোধা কশিনের সুপারিশে গত ৩ জানুয়ারি সভাপতি অনুরাগ ঠাকুরকে অপসারণ করে সুপ্রীমকোর্ট। তিন ফরমেটেই সরফরাজকে চান সাবেকরা স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ নেতৃত্ব এখন পাকিস্তান ক্রিকেটের সবচেয়ে আলোচিত ইস্যু। অস্ট্রেলিয়া সফরে ভরাডুবির পর ওয়ানডের দায়িত্ব থেকে আজহার আলিকে সরিয়ে দেয়া সময়ের ব্যাপার। যে কোন সময় অবসর নিতে পারেন টেস্ট অধিনায়ক মিসবাহ-উল হকও। দু’দিন আগে প্রধান নির্বাচক ইনজামাম-উল হক জানিয়েছেন, তিন ফরমেটে এক অধিনায়কই তার পছন্দ। এক্ষেত্রে নির্দিষ্ট করে কারও নাম বলেনি। তবে দেশটির সাবেক তারকা ক্রিকেটাররা টি২০ অধিনায়ক সরফরাজকেই টেস্ট-ওয়ানডেসহ তিন ফরমেটের দায়িত্বে দেখতে চান। এই তালিকায় আছেন গ্রেট ওয়াসিম আকরাম, মোহাম্মদ ইউসুফ, শহীদ আফ্রিদি (সাবেক নন), রমিজ রাজা এবং শোয়েব আকতার।
×