ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ০২ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১

ই-জুডিসিয়ারি বিচার ব্যবস্থা স্বচ্ছ ও গতিশীল করবে

প্রকাশিত: ০৫:২৬, ৩০ জানুয়ারি ২০১৭

 ই-জুডিসিয়ারি বিচার ব্যবস্থা স্বচ্ছ ও গতিশীল করবে

সংসদ রিপোর্টার ॥ ই-জুডিসিয়ারি বাস্তবায়িত হলে দেশের আদালতের বিচার প্রক্রিয়া আরও সহজ, স্বচ্ছ এবং গতিশীল হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি জানান, বর্তমান সরকার ২০১৪ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পর হতে ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৬ পর্যন্ত সারাদেশের আদালতে মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে ৪০ লাখ ৬৪ হাজার ৫৩৭টি। এছাড়া বাংলাদেশের বিচার বিভাগ ডিজিটালাইজেশন করার বিষয়টিও সরকারের সক্রিয় বিবেচনাধীন রয়েছে। রবিবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে এসব তথ্য জানান তিনি। সরকার দলীয় সংসদ সদস্য গোলাম রাব্বানীর প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগে অধস্তন আদালতগুলোর কাজকর্মের গতিশীলতা বৃদ্ধির জন্য সরকার ই-জুডিসিয়ারি নামক একটি প্রকল্প গ্রহণের উদ্যোগ গ্রহণ নিয়েছে। এ প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে দেশের আদালতসমূহ ডিজিটালাইজড হবে এবং আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে বিচার প্রক্রিয়া আরও সহজ, স্বচ্ছ এবং গতিশীল হবে। সরকারী দলের সংসদ সদস্য আবুল কালামের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী জানান, নৃশংস নারকীয় ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলাটির বর্তমানে বিচার সাক্ষ্য গ্রহণের শেষ পর্যায়ে রয়েছে। এখন তদন্তকারী কর্মকর্তা আবদুল কাহার আখন্দের জেরা চলমান রয়েছে। এখানে উল্লেখ্য, এই গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষীর বিগত ৩ মাস ধরে জেরা চলছে। স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য ডাঃ রুস্তম আলী ফরাজীর প্রশ্নের জবাবে মামলাজট কমানোর লক্ষ্যে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরে মন্ত্রী জানান, পুরাতন মামলাগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নিষ্পত্তির লক্ষ্যে প্রত্যেক আদালতে সাক্ষীর সমন জারি নিশ্চিতপূর্বক সাক্ষীদের হাজির করে দ্রুততম সময়ে সাক্ষ্য গ্রহণ করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া পুরাতন মামলাগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নিষ্পত্তির লক্ষ্যে সলিসিটরের নেতৃত্বে মনিটরিং সেল কাজ করছে। প্রধানমন্ত্রীর আইনী সহায়তায় জাতীয় হেল্প লাইন উদ্বোধনের কথা উল্লেখ করে আইনমন্ত্রী আরও জানান, সর্বশেষ ১ জুলাই ২০১৬ হতে ৩১ ডিসেম্বর ২০১৬ পর্যন্ত সারাদেশে সম্পূর্ণ সরকারী খরচে আইনগত সহায়তা প্রাপকের মোট সংখ্যা ২৯ হাজার ৮১৫ জন এবং বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি সেবার মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত পক্ষে অর্থ আদায়ের পরিমাণ ১ কোটি ৪৫ লাখ ৩৭ হাজার ৩৮৭ টাকা। সংসদ সদস্য ফিরোজা বেগম চিনুর প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক জানান, বর্তমান সরকার দেশের বিভিন্ন আদালতে বিচারাধীন মামলাসমূহ নিষ্পত্তিকরণে দীর্ঘসূত্রতা হ্রাস করতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। বিচার প্রশাসনে দক্ষ জনবল সৃষ্টির জন্য ২০১৫-১৬ অর্থবছরে সরকার ৫০ অতিরিক্ত জেলা জজকে জেলা ও দায়রা জজ পদে, ৮৫ যুগ্ম জেলা জজকে অতিরিক্ত জেলা জজ পদে, ২৩২ সিনিয়র সহকারী জজকে যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ পদে পদোন্নতি প্রদান করেছে। এ কে এম শাহজাহান কামালের প্রশ্নোত্তরে আইনমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের তালিকাভুক্ত আইনজীবীর সংখ্যা ৫৪ হাজার ৬৫২ জন।
×