ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স কাউন্সিলের রিপোর্ট

সঙ্কটময় পরিস্থিতির মুখে ট্রাম্প প্রশাসন

প্রকাশিত: ০৩:৪৯, ১১ জানুয়ারি ২০১৭

সঙ্কটময় পরিস্থিতির মুখে ট্রাম্প প্রশাসন

যুক্তরাষ্ট্রে ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরবর্তী প্রশাসন বিবিধ সমস্যার মুখোমুখি হতে পারে বলে বিশ্লেষকরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। এর মধ্যে আছে সংঘাত সৃষ্টির আশঙ্কা, অর্থনীতিতে শ্লথ গতি এবং অগণতান্ত্রিক চাপ বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি। তারা বলছেন, ট্রাম্প প্রশাসন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এমন সব জটিলতার মুখোমুখি হতে পারে যা শীতল যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে আর দেখা দেয়নি। খবর এএফপির। অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, প্রযুক্তিগত ও বিশ্ব রাজনীতির মানচিত্রে গভীর পরিবর্তনের সঙ্কটময় পরিস্থিতির দিকে এগিয়ে চলেছে মার্কিন নেতৃত্ব, সোমবার প্রকাশিত ওয়াশিংটন ভিত্তিক গবেষণা সংস্থা ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স কাউন্সিলের ‘গ্লোবার ট্রেন্ডস: প্যারাডক্স অব প্রগ্রেস’ শীর্ষক রিপোর্টে এমন সতর্কবাণী উচ্চারণ করা হয়েছে। আগামী পাঁচ বছরের মধ্যেই বিভিন্ন দেশের মধ্যে সংঘাতময় পরিস্থিতি দানা বাঁধতে পারে বলেও রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। এতে আরও বলা হয়েছে, ‘ভালমন্দ যাই হোক বিশ্ব এখন শীতল যুদ্ধ যুগ পরবর্তী মার্কিন প্রাধান্যের যুগের কাছাকাছি পর্যায়ে অবস্থান করছে। ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স কাউন্সিল ডিরেক্টর অব ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্সর আওতাধীন একটি গবেষণা গ্রুপ। প্রতি চার বছর পরপর বৈশ্বিক পরিস্থিতির ওপর গ্রুপটি একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে থাকে। এবার এই রিপোর্ট এমন এক সময় প্রকাশ করা হলো যখন ট্রাম্পের ক্ষমতা গ্রহণের মাত্র ১১ দিন বাকি রয়েছে। এবারের রিপোর্টে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী সবচেয়ে কঠিন সময়ের পূর্বাভাষ করা হয়েছে। কারণ হিসেবে আয় বৈষম্য বেড়ে যাওয়া, প্রযুক্তিগত উন্নয়নের ফলে বেকারত্ব বেড়ে যাওয়া, জনবসতি নতুন করে বিন্যাস, বৈশ্বিক উষ্ণতার প্রভাব এবং বিভিন্ন জাতি ও সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘাত বেড়ে যাওয়ার কথা রিপোর্টে বলা হয়েছে। পরিস্থিতি এত জটিল হয়ে উঠছে যে পশ্চিমা গণতান্ত্রিক দেশগুলো গণতন্ত্রের রীতিনীতিগুলোর ওপর আর স্থির থাকতে পারছে না। একই সঙ্গে জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী এই গণতন্ত্রগুলো একটি আরেকটির সঙ্গে সমম্বিতভাবে কাজ করতে পারছে না। সহযোগিতামূলক উদ্যোগ নাকচ করবে বেশিরভাগ দেশ। বিশ্বজুড়ে যোগাযোগের অসংখ্য চ্যানেল মানুষকে ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত ও সমাজে বিভেদ সৃষ্টি করবে। রিপোর্টটি প্রণয়নে গোয়েন্দাদের পাশাপাশি একাডেমিকদেরও সহায়তা নেয়া হয়েছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তীতে পশ্চিমা উদারনৈতিক মূল্যবোধ পপুলিজম বা জনগণের তাৎক্ষণিক আবেগ কাজে লাগিয়ে রাজনীতির কাছে হেরে যাচ্ছে বলে রিপোর্ট প্রণয়নকারীদের কাছে মনে হয়েছে। তারা বলছেন পপুলিস্ট রাজনীতিকদের মধ্যে ডান ও বাম উভয় ধারাই রয়েছে। ট্রাম্প বরাবরই গোয়েন্দাদের বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করে এসেছেন। ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স কাউন্সিলের রিপোর্ট তিনি গ্রহণ করবেন কি না তা এখনও স্পষ্ট নয়।
×