স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী ॥ কিশোরীগঞ্জ উপজেলার মুসা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে কোমলমতি শিশুদের পাঠদান চলছে। যে, কোন মুহূর্তে স্কুল ভবনটি ধসে পড়ার আশঙ্কা করা হয়েছে। জানা যায়, ১৯৬২ সালে মুসা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা লাভ করলেও ১৯৬৮ সালে ওই বিদ্যালয়ে চার কক্ষ বিশিষ্ট টিনশেড ভবন নির্মাণ করা হয়। ভবনটি নির্মাণের পর মাঝে মাঝে সংস্কার করা হলেও এখন এটি সংস্কারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।
বর্তমানে ভবনটির ভিতরে ফাটল ধরার পাশাপাশি ইট সুরকি খুলে পড়ছে ছাদ ভেঙ্গে পড়ার হুমকিতে। বর্ষাকালে ভাঙ্গা ছাদের তলায় শিক্ষাদানে সমস্যা হয়। অল্প বৃষ্টিতেই ছাদ দিয়ে পানি চুইয়ে পড়ায় বিদ্যালয়টির ৩২০ ছাত্রছাত্রীর পাঠদান ব্যাহত হয়।
বিকল্প শ্রেণীকক্ষ না থাকায় শিক্ষার্থীদের ঝুঁকি নিয়ে ক্লাস করতে হচ্ছে। এ ব্যাপারে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহজাহান আলী জানান, স্কুল ভবনের চারটি কক্ষই ব্যবহারে অযোগ্য হয়ে পড়েছে। ছাদ ধসে পড়ার আশঙ্কায় বাইরে খোলা আকাশের নিচেও ক্লাস নিতে হয়। ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ওসমান গনি জানান, নতুন ভবন নির্মাণের জন্য উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে লিখিত আবেদন করা হলেও দীর্ঘ ৫ বছরেও কোন সাড়া পাওয়া যায়নি।
বাউফলের তেঁতুলিয়া নদীতে ধানবোঝাই কার্গোতে ডাকাতি
নিজস্ব সংবাদদাতা, বাউফল, ৯ জানুয়ারি ॥ বাউফলের তেঁতুলিয়া নদীর মমিনপুর পয়েন্টে ঢাকার কাঠপট্টিগামী ধানবোঝাই এমভি বাউফল এক্সপ্রেস নামের একটি কার্গোতে ডাকাতি হয়েছে। ডাকাত দল কার্গো থেকে প্রায় ২০০ বস্তা ধান ও ৩০ হাজার টাকা নিয়ে গেছে। রবিবার রাত ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটেছে। কার্গোর সুকানি সালেক মিয়া জানান, প্রায় সাড়ে ৪ হাজার মণ ধান নিয়ে ওই দিন রাত ৯টার দিকে বাউফলের কালাইয়া বন্দর থেকে কার্গোটি নিয়ে ঢাকার কাঠপট্টির উদ্দেশে রওয়ানা দেন। রাত ১১টার দিকে তেঁতুলিয়া নদীর মমিনপুর-ধুলিয়া এলাকার মধ্যবর্তী স্থানে এলে ১৫/১৬ জনের একটি ডাকাত দল ট্রলার নিয়ে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে গতিরোধ করে কার্গোতে উঠে ৮ স্টাফকে মারধর করে জিম্মি করে এবং মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। এরপর ডাকাত দল কার্গোতে থাকা ৩০ হাজার টাকা লুট করে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: