ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

আঁখির ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন, রবিবার শুনানি

প্রকাশিত: ০৫:৩০, ৭ জানুয়ারি ২০১৭

আঁখির ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন, রবিবার শুনানি

স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ॥ জেলার নাসিরনগরে হিন্দুদের বাড়িঘর-মন্দিরে হামলা ও ভাংচুর ঘটনায় সন্দেহভাজন হোতা হরিপুর ইউপির চেয়ারম্যান দেওয়ান আতিকুর রহমান আঁখিকে গৌর মন্দির ভাংচুর মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। এ ঘটনায় গ্রেফতারকৃত হরিপুরের আওয়ামী লীগ দলীয় ইউপি চেয়ারম্যান দেওয়ান অতিকুর রহমান আঁখিকে শুক্রবার আদালতে হাজির করে পুলিশ। জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আয়েশা বেগমের বিচারিক আদালতে হাজির করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন প্রার্থনা করে। আদালত আগামী রবিবার শুনানির দিন ধার্য করে আসামিকে জেলা কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেয়। কোর্ট ইন্সপেক্টর মাহবুবুর রহমান জানান, বন্ধের দিন থাকায় পরবর্তী কার্যদিবসে এ বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। এ ঘটনার পেছনে তার প্রেরণা ও অর্থের যোগান ছিল এবং পুলিশ নির্ভরযোগ্য তথ্যের ভিত্তিতেই তাকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ জানায়, গত বছরের ৩০ অক্টোবর উক্ত ঘটনায় মন্দির পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক নির্মল চৌধুরী বাদী হয়ে মামলা দায়ের করে। এ মামলায় কারও নাম উল্লেখ করা না হলেও অজ্ঞাতসারে ১২০০ জনকে আসামি করা হয়। মামলায় গ্রেফতার ট্রাকচালক নূরুল ইসলামসহ কয়েকজন আদালতে ১৬৪ ধারায় দেয়া জবানবন্দীতে জানায়, হরিপুর ইউনিয়ন থেকে কয়েকটি ট্রাকে করে অনেক মানুষকে নাসিরনগর উপজেলা সদরে পাঠানো হয়। এর মধ্যে আঁখি কয়েকটি ট্রাকের ব্যবস্থা ও ভাড়ার যোগান দেয়। বৃহস্পতিবার ভোরে ঢাকার ভাটারা থেকে তাকে আটক করা হয়। পরে গৌরমন্দির ভাঙচুর মামলায় গ্রেফতার দেখায় পুলিশ। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইকবাল হোসাইন জানান, গ্রেফতারকৃত আসামিদের জবানবন্দীতে আঁখির নাম চলে আসে। প্রসঙ্গ, গত ৩০ অক্টোবর নাসিরনগরে হিন্দু বাড়ি-ঘর ও মন্দিরে ভাংচুর ও পরবর্তীতে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় থানায় ৮টি পৃথক মামলা হয়। এ ঘটনায় এ পর্যন্ত ১০৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তদন্ত জনকণ্ঠকে বলেন, সে-ই-তো মূল পরকল্পনাকারী ও অর্থ যোগানদাতা। সে ট্রাক ও ট্রাক্টর ভাড়া পরিশোধ করেছে। পুলিশের একটি সূত্র জানায়, আলোচিত আওয়ামী লীগ দলীয় ইউপি চেয়ারম্যান দেওয়ান আতিকুর রহমান আঁখিকে আটক করে ডিএমপি কার্যালয়ে তাকে উর্ধতন কর্মকর্তারা জিজ্ঞাসাবাদ করে। সূত্র জানায়, সে নাসিরনগর হামলার বিভিন্ন বিষয় স্বীকার করে। বিগত ইউপি নির্বাচন থেকে শুরু করে নাসিরনগর হামলা পরবর্তী অনেক চাঞ্চল্যকর বিষয় তার কাছ থেকে জানতে পেরেছে পুলিশ। তার অবস্থান জানতে এর আগে ১ জানুয়ারি হরিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আঁখির ব্যক্তিগত সহকারী উত্তম কুমার দাস ও হরিপুর ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মনোরঞ্জন দেবনাথকে আটক করে পুলিশ। তাদের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করার পর এ হামলা সমন্ধে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য পায় পুলিশ। ব্যাখ্যা ॥ ৬ জানুয়ারি জনকণ্ঠে প্রকাশিত ‘নাসিরনগরে হামলা,ইউপি চেয়ারম্যান আঁখি গ্রেফতার’ শীর্ষক খবরটির একাংশে ‘ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সভাপতি ও সংসদ সদস্য রআম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর সমর্থকরা নাসিরনগরে হিন্দুদের বাড়ি-মন্দিরে হামলার নেপথ্যে ছিলেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় নেতাকর্মীরা’- উল্লেখিত উক্ত তথ্যটুকু প্রকৃতপক্ষে বিডিনিউজ প্রদত্ত।
×