ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

প্রথম টি২০তেও হারল বাংলাদেশ

প্রকাশিত: ০৫:৪৮, ৪ জানুয়ারি ২০১৭

প্রথম টি২০তেও হারল বাংলাদেশ

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার পর মঙ্গলবার নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টি২০তেও হেরেছে বাংলাদেশ। নেপিয়ারের ম্যাকলিয়ন পার্কে ৬ উইকেটে হেরেছে। এ হারে তিন ম্যাচের টি২০ সিরিজে ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়েছে মাশরাফিবাহিনী। এ স্টেডিয়ামে প্রথমবারের মতো টি২০ ম্যাচ হয়। সেই ম্যাচে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের প্রতিপক্ষ থাকে বাংলাদেশ। আর প্রথম ম্যাচেই হেরে নতুন বছরের সূচনাতেও তিক্ত অভিজ্ঞতাই যুক্ত হলো। টস জিতে বাংলাদেশ দল আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু বরাবরের মতো ব্যাটিংয়ে ব্যর্থই হয়েছে দল। মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের ৫২ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে ২০ ওভারে ১৪১ রান করতে পারে বাংলাদেশ। অভিষেক টি২০ ম্যাচেই লকি ফার্গুসন তিন উইকেট নেন। জবাবে কেন উইলিয়ামসনের অপরাজিত ৭৩ ও কলিন গ্র্যান্ডহোমের অপরাজিত ৪১ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৮ ওভারে ১৪৩ রান করে সহজেই জিতে যায় নিউজিল্যান্ড। ব্যাটিংয়ে দুর্দশা চলছেই। ওয়ানডেতে ভাল শুরুর পর ছন্নছাড়া হয়ে পড়েছে ব্যাটিং। টি২০তে শুরুতেই ধস নেমেছে। ৩০ রান করতেই ৪ উইকেটের পতন ঘটেছে। তামিম, ইমরুল, সাব্বির, সৌম্য দলকে কিছুই দিতে পারেননি। এরপর মাহমুদুল্লাহ ও সাকিব মিলে যাও এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু ৬৭ রান হতেই আউট হয়ে যান সাকিব। দ্রুত রান তোলার তাড়নায় মাহমুদুল্লাহর সঙ্গে ৩৭ রানের জুটি গড়ে আউট হয়ে যান। দল বিপাকে পড়ে যায়। তখন মনে হয়েছে এক শ’ রান করাই কষ্টসাধ্য। কিন্তু মোসাদ্দেক হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে অনেকটা পথ এগিয়ে যান মাহমুদুল্লাহ। ৯৯ রান পর্যন্ত দুইজন মিলে উইকেট আঁকড়ে থাকেন। এমন সময় দলের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২০ রান করা মোসাদ্দেক সাজঘরে ফেরেন। নুরুল হাসান সোহানের আগেই ব্যাট হাতে নামেন মাশরাফি। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। ১১৪ রানে মাশরাফি আউট হওয়ার পর অষ্টম উইকেটে সোহানের সঙ্গে ২৪ রানের জুটি গড়ে মাহমুদুল্লাহ আউট হন। তবে সাজঘরে ফেরার আগে ৪৭ বলে ৩ চার ও ৩ ছক্কায় ৫২ রানের ইনিংস খেলেন। যা দলকে এতদূর আসতে বিশেষ ভূমিকা রাখে। ইনিংস শেষ হওয়ার ৪ বল বাকি থাকতে মাহমুদুল্লাহ সাজঘরে ফেরেন। শেষে সোহান (৭*) ও রুবেল (২*) মিলে ২০ ওভার খেলে আসেন। বাংলাদেশ যে স্কোর দাঁড় করায়, তখনই নিউজিল্যান্ডের জেতার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এরপরও ৬২ রানে যে কিউইদের ৪ উইকেট শিকার করা গেছে, তাতে আশাও জাগে। কিন্তু এরপর আর কোন উইকেট তুলে নেয়া যায়নি। উইলিয়ামসন ও গ্র্যান্ডহোম মিলে পঞ্চম উইকেটে অবিচ্ছিন্ন ৮১ রানের জুটি গড়ে ম্যাচ জিতে মাঠ ছাড়েন। ম্যাচ শেষে কিউই অধিনায়ক উইলিয়ামসন জানিয়েছেন, ‘আমি মনে করি, দারুণভাবেই ম্যাচটি আমরা শেষ করতে পেরেছি। আমরা কিছু উইকেট হারিয়ে ফেলেছিলাম। কিন্তু কলিন (ডি গ্র্যান্ডহোম) দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছে। শেষদিকে তার সঙ্গে অসাধারণ পার্টনারশিপ হয়েছে। কলিনের প্রশংসা করতেই হয়। আন্তর্জাতিক লেভেলে সে নিজেকে মেলে ধরছে। বল হাতে লকি (ফার্গুসন) ছিল দুর্দান্ত। গতিময় বোলিং করেছে সে। স্যান্টনার ও কলিনের বোলিংটাও ভাল হয়েছে। দর্শকের পক্ষ থেকে অনেক সমর্থন পেয়েছি।’ উইলিয়ামসন ব্যাটসম্যান ও বোলার থেকে দুর্দান্ত সহযোগিতা পেয়েছেন। কিন্তু বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা তা পাননি। তাই নিজের ৫০তম টি২০ ম্যাচেও দলের হারই দেখতে হয়েছে।
×