ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

২১ জেলায় চেয়ারম্যান পদে প্রার্থীরা আগেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ;###;বগুড়া ও কুষ্টিয়ায় চেয়ারম্যান পদে ভোট গ্রহণ স্থগিত;###;সিইসির সন্তোষ প্রকাশ

সরকার সমর্থকরা জয়ী ॥ জেলা পরিষদ নির্বাচন

প্রকাশিত: ০৫:৩৯, ২৯ ডিসেম্বর ২০১৬

সরকার সমর্থকরা জয়ী ॥ জেলা পরিষদ নির্বাচন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ জেলা পরিষদের নিরুত্তাপ ভোট শেষ পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়েছে। এ নির্বাচনে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বেশিরভাগ জেলায় চেয়ারম্যান পদে সরকার সমর্থক প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন। ১৩ জেলায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া সদস্য পদে অধিকাংশ সরকার সমর্থক প্রার্থীরা জয়লাভ করেছেন। পাশাপাশি বিদ্রোহী প্রার্থীও নির্বাচিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে সদস্য ও সংরক্ষিত সদস্য পদে। এছাড়া আগেই ২২ জেলা চেয়ারম্যান পদে প্রার্থীরা বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। বগুড়া ও কুষ্টিয়ায় চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে আদালতের আদেশে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে। এদিকে সারাদেশে শান্তিপূর্ণ ভোট হলেও মাদারীপুরের একটি কেন্দ্রে ভোট শুরুর আগে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া প্রকাশ্যে সিল মারার অভিযোগ এনে ময়মনসিংহে দুই সদস্য প্রার্থী ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন। এর বাইরে এ নির্বাচনে কোথাও কোন গোলযোগ বা ভোটগ্রহণ নিয়ে কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। এছাড়াও প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হলেও শেষ পর্যন্ত আদালতের আদেশের কারণে বগুড়া জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানপদসহ ২১ জেলায় ৩৪টি সদস্য পদে ভোটগ্রহণ করা হয়নি। সকাল ৯টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়। শেষ হয় বেলা ২টায়। রাজধানী ঢাকার চারটি কেন্দ্রে শুরুতে কোন ভোটার ভোট দিতে যাননি। প্রায় এক ঘণ্টার বেশি সময় পর ভোটার এলে ভোটগ্রহণ শুরু করা হয়। এছাড়া দেশের অধিকাংশ কেন্দ্রেই একজন করে ভোটার কেন্দ্রে এসে ভোট দিয়ে যান। আবার কোন কোন কেন্দ্রে একসঙ্গে আসার কারণে ভোটারদের লাইনও দেখা গেছে। বুধবার দেশে প্রথমবারের মতো জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এজন্য প্রতিটি জেলায় ১৫টি ওয়ার্ডে ভাগ করে ভোটগ্রহণ করা হয়। সংশ্লিষ্ট ভোটাররা নিকটবর্তী কেন্দ্রে গিয়ে ভোট প্রদান করেন। অন্যান্য জেলার মতো ঢাকা জেলায় ১৫টি কেন্দ্রে ভোট দেন ঢাকা সিটি কর্পোরেশন প্রতিনিধিসহ অন্য প্রতিনিধি ভোটাররা। ভোটার সংখ্যা নির্ধারিত থাকায় ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের কোনরকম ঝামেলা পোহাতে হয়নি। ভোটাররাও নির্বিঘেœ ভোট প্রদান করতে পেরেছেন। ভোট কেন্দ্র ছাড়া অন্য কোথাও ভোটের আমেজ ছিল না এ নির্বাচনে। ভোটার কম থাকায় দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়নি। ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের আওতায় চারটি ভোট কেন্দ্রে ভোট দেন সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও কাউন্সিলররা। এ কারণে ঢাকার উত্তর সিটি কর্পোরেশন এবং দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে দুটি করে ভোট কেন্দ্র স্থাপন করা হয়। উত্তরের মেয়র আনিসুল হক বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল এ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে ভোট প্রদান করেন। সকাল সোয়া ১০টায় তিনিই প্রথম ওই কেন্দ্রে ভোট প্রদান করেন। ভোট প্রদান শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, জেলা পরিষদ নির্বাচন গণতন্ত্রের পক্ষে সরকারের জন্য ভাল পদক্ষেপ। এছাড়া রাজধানীর আজিমপুর গব: গার্লস স্কুল এ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে ভোট প্রদান করেন মেয়র সাঈদ খোকন। বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটে তিনি ভোট দিতে যান। ভোট প্রদান শেষে সাংবাদিকদের বলেন, সব জনপ্রতিনিধি নিয়ে সমন্বয় করে কাজ করবেন। এদিকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিব উদ্দিন আহমেদ রাজধানীর বিভিন্ন ভোট কেন্দ্র ঘুরে দেখেন। বেলা ১২টার দিকে তিনি রাজধানীর আগারগাঁও তালতলা সরকারী কলোনি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে ভোটের পরিবেশ নিয়ে সাংবাদিকদের কাছে সন্তোষ প্রকাশ করেন। এছাড়াও তিনি আজিমপুর কেন্দ্র পরিদর্শন করে বলেন, শান্তিপূর্ণ পরিবেশেই ভোট হচ্ছে। তবে সকাল থেকে রাজধানীর কেন্দ্রগুলোতে ভোটার উপস্থিত না থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কেন্দ্রে আসতে শুরু করেন। কোন কোন কেন্দ্রে শেষ সময়ে ভোটার উপস্থিতি বেশি লক্ষ্য করা গেছে। ইসির হিসাব মতো ঢাকা জেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ১ হাজার ১৭৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৮৯৫ এবং নারী ভোটার ২৮১ জন। রাজধানীর চারটি কেন্দ্র ছাড়াও বাইরের আরও ১১টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ করা হয়। শুরুতে ভোটার না থাকায় রাজধানীর আগারগাঁও তালতলা সরকারী কলোনি উচ্চ বিদ্যালয়ে ভোটগ্রহণ এক ঘণ্টা দেরিতে শুরু হয়। কেন্দ্রগুলো ঘুরে দেখা গেছে সকাল থেকে ভোটগ্রহণের জন্য দায়িত্বরত কর্মকর্তারা প্রস্তুতি নিয়ে অপেক্ষা করছেন ভোটারের আগমনে। এ কেন্দ্রে ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের ২ নম্বর সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আমিনা খাতুন প্রথম ভোটার হিসেবে সকাল সোয়া ১০টায় ভোট দেন। এরপর সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর মেহেরুন্নেছা হক ও রাশিদা খানম ঝর্ণা। পাশের পুরুষ কক্ষে ভোট দেন ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবুল হোসেন। তবে ভোটাররা অনেক পরে ভোট কেন্দ্রে এলেও প্রিসাইডিং ও পোলিং অফিসাররা, প্রার্থী এবং তাদের এজেন্টরাও সময়মতোই কেন্দ্রে উপস্থিত ছিলেন। সময়মতো কেন্দ্রের পাহারায়ও ছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তবে প্রথম থেকে কোন ভোটার কেন্দ্রে উপস্থিত ছিলেন না। ইসির হিসাব মতে এ কেন্দ্রে মোট ভোটার ছিলেন ৩২টি। এর মধ্যে পুরুষ ২৪ জন এবং নারী ভোটার ৮ জন। এদিকে ঢাকার বাইরের অন্যান্য জেলায় ভোটগ্রহণ সুষ্ঠুভাবেই সম্পন্ন হয়েছে। চট্টগ্রামের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন নগরীর খাস্তগীর সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দেন সকাল পৌনে ১০টায়। এ কেন্দ্রে চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটগ্রহণ করা হয়। এদিকে জেলা পরিষদ নির্বাচনে অনিয়মের বিরুদ্ধে ইসির পক্ষ থেকেও কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হয়। নির্বাচনে বিভিন্ন কেন্দ্রে যাদের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে তাদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। বরিশাল থেকে স্টাফ রিপোর্টার জানান, আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে ভ্রাম্যমাণ আদালত ৭ জনকে সাড়ে তিন হাজার টাকা জরিমানা করেন। বগুড়া অফিস জানায় নির্বাচনের পূর্ব মুহূর্তে এ জেলায় চেয়ারম্যানসহ তিনটি সদস্যপদে ভোট স্থগিত করা হয়েছে। বাকিপদগুলোতে নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। গাইবান্ধায় নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। আইনী জটিলতায় ২টি ভোট কেন্দ্রের সদস্য পদে ভোট স্থগিত করা হয়। কচুয়ায় ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে রোস্তম আলী ডিগ্রী কলেজ কেন্দ্রে ভোট দিতে যাওয়ার সময় বিতারা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইসহাক সিকদারসহ ৯ জন আহত হয়েছেন। নিজস্ব সংবাদদাতা জানান পরিষদ সদস্য প্রার্থী শাজহানের সমর্থকরা মিছিল সহকারে লাঠিসোঠা নিয়ে হামলা করে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। নারায়ণগঞ্জে জুতার ভেতরে লুকিয়ে মোবাইল নিয়ে যাওয়ার সময় সোনারগাঁও পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শাহজালালকে আটক করা হয়েছে। জেলার নিজস্ব সংবাদদাতা জানান। পরে তাকে সোনারগাঁও থানায় হস্তান্তর করা হয়। স্টাফ রিপোর্টার কক্সবাজার থেকে জানান, ২টি কেন্দ্রের সদস্য পদের ভোট আদালতের আদেশে স্থগিত করা হয়েছে। বাকি ১৫ কেন্দ্রের ভোট শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে। নিজস্ব সংবাদদাতা পটুয়াখালী থেকে জানান সরকারী জুবলী উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রের সাধারণ সদস্য পদে ২৭টি ব্যালট পেপারে ভোটাররা ভোট দিয়ে বিশেষ স্টিকার ব্যবহার করেছেন। তবে সুনির্দিষ্ট কোন নীতিমালা না থাকায় ওইসব ব্যালট পেপার গণনায় যুক্ত করা হয়েছে। অবশ্য ইসির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে বিশেষ চিহ্নযুক্ত ব্যালট পেপার বাতিল বলে গণ্য করা হবে। পার্বত্য তিন জেলা বাদে দেশে প্রথমবারের মতো ৬১ জেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ করা হয় বুধবার। সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। শেষ হয় বেলা ২টায়। আইন অনুযায়ী এ নির্বাচনে জনগণের সরাসরি ভোটাধিকার নেই। মূলত স্থানীয় সরকার পরিষদের নির্বাচিত প্রতিনিধিরাই এ নির্বাচনে ভোট প্রদান করেন। এ নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে ইসির পক্ষ থেকেও কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হয়। তবে প্রথম থেকে এ নির্বাচনে ভোট কেনা বেচায় টাকা পয়সা লেনদেনের অভিযোগ ওঠে। ইসিতে কোন কোন প্রার্থী স্থানীয় এমপিদের বিরুদ্ধে প্রভাব খাটানোর লিখিত অভিযোগ দেন। অবশ্য ইসির পক্ষ থেকে নির্বাচনের আগে এলাকা ছাড়ার কড়া নির্দেশ দেয়া হয়। এরপর কোন কোন এমপির বিরুদ্ধে শেষ পর্যন্ত প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ রয়েছে। তবে প্রথম থেকেই এ নির্বাচন নিয়ে কিছুটা শঙ্কা থাকলেও শেষ পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ পরিবেশেই ভোট সম্পন্ন হয়েছে। এ নির্বাচনে প্রতি জেলায় ১ জন চেয়ারম্যান, ১৫ জন সদস্য ও ৫ জন সংরক্ষিত সদস্যসহ মোট ২১টি পদে প্রতিনিধি বাছাইয়ে ভোটগ্রহণ করা হয়। এসব পদের বিপরীতে ৬১ জেলায় প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন ৩ হাজার ৯৩৮জন। এর মধ্যে ২২ জেলায় চেয়ারম্যানে পদে প্রার্থীরা আগেই বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। বাকি ৩৯ জেলায় চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছিলেন ১২৪ জন প্রার্থী। কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ২ হাজার ৯৮৬ জন এবং সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৮০৬ জন। কাউন্সিলর পদে ১৬৪ জন এবং সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৬৮ জন আগেই নির্বাচিত হন। এ নির্বাচনে মোট ভোটার ৬৩ হাজার ১৪৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৪৮ হাজার ৩৪৩ জন। নারী ভোটার ১৪ হাজার ৮শ’ জন। সিইসির প্রতিক্রিয়া ॥ এদিকে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত জেলা পরিষদের নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমেদ। তিনি বলেন, নির্বাচনী আচরণবিধি অনুযায়ী অতিগুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা যাতে নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করতে না পারেন, সে জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। বুধবার জেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শেষে নির্বাচন কমিশন আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সিইসি এসব কথা বলেন। রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে ওই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সিইসি বলেন, জেলা পরিষদ নির্বাচন অন্যান্য নির্বাচন থেকে ভিন্ন। নির্বাচনে ভোটারসংখ্যা কম হলেও প্রার্থীর মধ্যে শঙ্কা কাটাতে এবং নির্ভয়ে ভোট প্রদানে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়। তিনি বলেন, ভোট কম হওয়ায় ভোটের গোপনীয়তা রক্ষা ছিল একটি চ্যালেঞ্জ। এজন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। কোন ভোটার যাতে প্রকাশ্যে ব্যালটে সিল না মারেন এবং ব্যালটের ছবি তুলতে না পারেন, সে জন্য বিশেষ নির্দেশ প্রদান করা হয়। মোবাইল ফোনসহ সব ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস নিয়ে ভোটকেন্দ্রে প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানে সহযোগিতার জন্য প্রার্থী, সাংবাদিক, পর্যবেক্ষক, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সব সদস্য, নির্বাচনী দায়িত্ব পালনকারীসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ধন্যবাদ জানান তিনি। জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী যারা ॥ চাঁপাইনবাবগঞ্জে মইনুদ্দিন ম-ল, লক্ষ্মীপুরে সামছুল ইসলাম, নরসিংদীতে এ্যাড আসাদুজ্জামান, খুলনায় শেখ হারুনর রশিদ, চাঁদপুরে ওসমান গনি পাটোয়ারী, ঝিনাইদহে কনক কান্তি দাস, শরীয়তপুরে ছাবেদুর রহমান খোকার সিকদার, সিলেটে লুৎফুর রহমান, গোপালগঞ্জে চৌধুরী এমদাদুল হক, মানিকগঞ্জে এ্যাডভোকেট গোলাম মহিউদ্দিন, কক্সবাজারে মোস্তাক আহমেদ চৌধুরী, মাগুরায় পঙ্কজ কুমার কুন্ডু, কুড়িগ্রামের আওয়ামী লীগের মোঃ জাফর আলী, পাবনায় রেজাউল রহিম লাল, রংপুরে ছাফিয়া খানম, বরিশালে মইদুল ইসলাম, বরগুনায় দোলোয়ার হোসেন, মৌলভীবাজারে আজিজুর রহমান, মাদারীপুরে মুক্তিযোদ্ধা মিরাজ উদ্দিন খান, পটুয়াখালীতে মোশাররফ হোসেন, রাজবাড়ীতে ফকির আব্দুর জব্বার, কুমিল্লায় আবু তাহের, নোয়াখালীতে ড. এবিএম জাফরউল্লা, ময়মনসিংহে অধ্যাপক ইউসুফ খান পাঠান বেসরকারীভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। বিদ্রোহী প্রার্থী নির্বাচিত যারা ॥ জেলা পরিষদ নির্বাচনে বিজয়ী বিদ্রোহী প্রার্থীরা হলেন জামালপুরে ফারুক আহমেদ চৌধুরী, মেহেরপুরে গোলাম রসূল, রাজশাহীতে মোহাম্মদ আলী সরদার, শেরপুরে হুমায়ুন কবির রোমান, পিরোজপুরে মহিউদ্দিন মহারাজ, চুয়াডাঙ্গায় শামসুল আবেদীন খোকন, সাতক্ষীরায় নজরুল ইসলাম, পঞ্চগড়ে আমানুল্লাহ বাচ্চু, গাইবান্ধায় আতাউর রহমান, নীলফামারীতে জয়নাল আবেদীন, নড়াইলে সোহরাব বিশ্বাস, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শফিকুল আলম, সুনামগঞ্জে নুরুল হুদা মুকুট নির্বাচিত হয়েছেন। বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিতরা হলেন- নারায়ণঞ্জে আনোয়ার হোসেন, গাজীপুরে মোঃ আখতারুজ্জামান, ঠাকুরগাঁওয়ে সাদেক কোরাইশী, জয়পুরহাটে আরিফুর রহমান রকেট, নাটোরে সাজেদুর রহমান খাঁন, সিরাজগঞ্জে আব্দুল লতিফ বিশ্বাস, যশোরে শাহ হাদিউজ্জামান, বাগেরহাটে শেখ কামরুজ্জামান টুকু, ঝালকাঠিতে সরদার শাহ আলম, ভোলায় আব্দুল মোমিন টুলু, নেত্রকোনায় প্রশান্ত কুমার রায়, মুন্সীগঞ্জে মোঃ মহিউদ্দিন, দিনাজপুরে আজিজুল ইমাম চৌধুরী, নওগাঁয় এ কে এম ফজলে রাব্বি, ফেনীতে আজিজ আহমেদ চৌধুরী, কিশোরগঞ্জে মোঃ জিল্লুর রহমান, ঢাকায় মোঃ মাহবুবুর রহমান, হবিগঞ্জে মোঃ মুশফিক হুসেন চৌধুরী, চট্টগ্রামে এম এ সালাম, টাঙ্গাইলে ফজলুর রহমান খান ফারুক ও ফরিদপুরে মোঃ লোকমান মৃধা।
×