ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০৮ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ ফুটবল, শীর্ষে থাকা চারবারের পেশাদার লীগ চ্যাম্পিয়নদের প্রতিপক্ষ উত্তর বারিধারা, মুক্তিযোদ্ধার বিরুদ্ধে স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখার লড়াই চট্টগ্রাম আবাহনীর

আজ জিতলেই চ্যাম্পিয়ন আবাহনী, তবে...

প্রকাশিত: ০৫:৪৪, ২৬ ডিসেম্বর ২০১৬

আজ জিতলেই চ্যাম্পিয়ন আবাহনী, তবে...

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ দুই মৌসুম পর আবারও শিরোপার দোরগোড়ায় ঢাকা আবাহনী লিমিটেড। বাংলাদেশের ঘরোয়া ফুটবলের সবচেয়ে বড় আসর পেশাদার লীগের চলমান আসরে (২০১৫-১৬) শিরোপা ছোঁয়ার অপেক্ষায় হেমন্ত ভিনসেন্ট, জুয়েল রানা, লি টাকরা। আজ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ ফুটবলে নিজেদের ম্যাচ জিতলেই ঢাকা আবাহনীর শোকেসে পঞ্চম পেশাদার লীগের শিরোপা জমা পড়তে পারে। এ লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ঢাকা আবাহনীর প্রতিপক্ষ পয়েন্ট তালিকার তলানির দিকে থাকা অপেক্ষাকৃত দুর্বল উত্তর বারিধারা। একই ভেন্যুতে আজকের আরেক গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্রের মুখোমুখি হচ্ছে শিরোপা প্রত্যাশী বন্দর নগরীর দল চট্টগ্রাম আবাহনী। মূলত আজকের দু’টি ম্যাচেই দুই আবাহনীর ভাগ্য নির্ধারণ হয়ে যেতে পারে। এবারের মৌসুম শেষ হতে আর বাকি মাত্র দুই রাউন্ড। বর্তমানে চলছে ২১তম রাউন্ডের খেলা। ৩১ ডিসেম্বর ২২তম রাউন্ডের ম্যাচের মধ্য দিয়ে শেষ হবে মৌসুম। বর্তমানে ২০টি করে ম্যাচ শেষে ৪৬ পয়েন্ট নিয়ে সবার শীর্ষে ঢাকা আবাহনী। সমান ম্যাচে ৪৩ পয়েন্ট নিয়ে শিরোপার অভিন্ন স্বপ্ন বুনছে মামুনুল ইসলাম মামুনের চট্টলা আবাহনী। প্রথম লেগে শিরোপা লড়াইয়ে ভালমতোই ছিল রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটি। কিন্তু দ্বিতীয় লেগে তাদের ব্যর্থতায় লড়াইটা সীমাবদ্ধ হয়ে পড়েছে দুই আবাহনীর মধ্যে। বাকি ১০ দলের মধ্যে আর কোন দল নেই শিরোপা রেসে। এখন দেখা যাক, আজকের ম্যাচ জিতলে কিভাবে চ্যাম্পিয়ন হয়ে যেতে পারে ঢাকা আবাহনী। উত্তর বারিধারাকে হারালে এক ম্যাচ হাতে রেখে আকাশী হলুদ জার্সিধারীদের পয়েন্ট হবে ৪৯। সেক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধার বিরুদ্ধে যদি চট্টগ্রাম আবাহনী জয়বঞ্চিত হয় তাহলেই শিরোপা নিশ্চিত হয়ে যাবে ঢাকা আবাহনীর। কারণ রাজধানীর আবাহনীর ৪৯ পয়েন্টের বিপরীতে তখন বন্দর নগরীর আবাহনীর পয়েন্ট হবে আগের ৪৩ অথবা ৪৪ (হার বা ড্র বিবেচনায়)। অর্থাৎ আজকের ম্যাচে যদি ঢাকা আবাহনী জেতে আর চট্টগ্রাম আবাহনী হোঁচট খায় তাহলে এক ম্যাচ হাতে রেখেই চ্যাম্পিয়ন হবে ঢাকার আবাহনী। সেক্ষেত্রে শেষ রাউন্ডে ঢাকা আবাহনী হারলে আর চট্টগ্রাম আবাহনী জয় পেলেও হিসেব-নিকেশে কোন প্রভাব ফেলবে না। শিরোপা নির্ধারণে দু’দলের পয়েন্ট সমান হলে মুখোমুখি লড়াই কিংবা গোল পার্থক্যের হিসেব করা হবে না। এমন করা হলেও এগিয়ে থাকত ঢাকা আবাহনী। কিন্তু কোন কারণে লীগ শেষে দু’দলের পয়েন্ট সমান হয়ে গেলে বাইলজ অনুযায়ী প্লেঅফ ম্যাচ খেলতে হবে। বিপিএল ২০১৫-১৬-এর বাইলজের সেকশন-২-এ বর্ণিত ১৭ নম্বর ধারা (প্রতিযোগিতার প্রায়োগিক বিধি) এর ২ নম্বর উপধারা অনুসারে, র‌্যাঙ্কিং নির্ধারণ হবে পয়েন্টের ভিত্তিতে। যদি দুই দলের অর্জিত পয়েন্ট সমান হয় তবে স্থান নির্ধারণ হবে প্লে অফের মাধ্যমে। একটি হোম এবং আরেকটি এ্যাওয়ে ম্যাচ। দুই ম্যাচে বেশি গোল করা দলকে জয়ী বলে ধরা হবে। যদি এই ম্যাচগুলোয় দু’দল সমান গোল করে সেক্ষেত্রে এ্যাওয়ে ম্যাচের গোলকে দ্বিগুণ হারে হিসাব করা হবে। যদি এ্যাওয়ে ম্যাচের গোল দ্বিগুণ হারে হিসেব করেও সমতা হয় সেক্ষেত্রে দু’দল সেকেন্ড লেগ শেষে ১৫+১৫ মিনিট করে অতিরিক্ত সময় খেলবে। সেই অতিরিক্ত সময়ের খেলাও ফল শূন্য হলে, গেম রুল অনুসারে পেনাল্টি কিক অফে জয়ী নির্ধারণ করা হবে। ঢাকা আবাহনী এ পর্যন্ত ১১ বার লীগ শিরোপা জিতেছে। এর মধ্যে ২০০৬-০৭ মৌসুমে পেশাদার লীগ নামকরণের পর সাতবারের মধ্যে চারবারই চ্যাম্পিয়ন হয়েছে তারা। এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় ঘরোয়া আসরে সেরা সাফল্যের দল ঢাকা আবাহনী। পেশাদার লীগের প্রথম তিন মৌসুমেই চ্যাম্পিয়ন হয় তারা। পরের মৌসুম অর্থাৎ ২০১০ সালে শেখ জামাল ধানম-ির কাছে শিরোপা হাতছাড়া করলেও এক বছর পর (২০১১-১২ মৌসুম) ফের শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট মাথায় পরে। পরের দুই মৌসুমে (২০১২-১৩ ও ২০১৩-১৪) যথাক্রমে চ্যাম্পিয়ন হয় শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র ও শেখ জামাল ধানম-ি ক্লাব। দুই মৌসুম আশাহত হওয়ার পর এবার আবারও শ্রেষ্ঠত্ব পুনরুদ্ধারের সন্নিকটে ঢাকা আবাহনী লিমিটেড।
×