ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ০২ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১

মানবতাবিরোধী অপরাধ

কক্সবাজারে মাওলানা আব্দুল আওয়াল ও নুরুল আবছারের বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশিত: ০৫:৫৪, ২০ ডিসেম্বর ২০১৬

কক্সবাজারে মাওলানা আব্দুল আওয়াল ও নুরুল আবছারের বিরুদ্ধে মামলা

স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার ॥ মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত মাওলানা আব্দুল আওয়াল ও মাওলানা নুরুল আবছারের বিরুদ্ধে রবিবার মামলা দায়ের করা হয়েছে। জেলা সদর খুরুশকুলে আল বদর ও আল শামস বাহিনীর হাতে নির্যাতিত পরিবারের সদস্য কক্সবাজার সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এ্যাডভোকেট ছলিম উদ্দিন সেলিম সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত নং-৪ এ রবিবার দায়েরকৃত মামলা সূত্রে জানা যায়, কক্সবাজার সদর খুরুশকুলের মাওলানা আব্দুল আওয়াল ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধকালীন ঈদগাঁও আলমাছিয়া মাদ্রাসার তৎকালীন ইসলামী ছাত্র সংঘের সভাপতি ও সেসময়ে মহকুমা আলবদর বাহিনীর কমান্ডার ছিলেন। ঈদগাঁও, ইসলামপুর, ইসলামাবাদ, চৌফলদ-ী, খুরুশকুল ও নাপিতখালী এলাকায় মুক্তিযুদ্ধের সময় মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে আব্দুল আওয়াল ও তার সহযোগী নুরুল আবছার জনমত গঠন করতেন। মামলার অভিযোগে আরও বলা হয়, ১৯৭১ সালের ৫ মে পাক হানাদার বাহিনী কক্সবাজার আগমনে অভ্যর্থনাকারীদের অন্যতম ছিলেন মাওলনা আব্দুল আওয়াল। মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদ- কার্যকর হওয়া যুদ্ধাপরাধী মীর কাশেম আলীর সঙ্গে চট্টগ্রাম ডালিম হোটেলে যোগাযোগ ও সখ্য গড়ে তুলে আল বদর বাহিনীর নেতৃত্ব দিতেন আসামি আবদুল আওয়াল। পাক হানাদারের গুলিতে আহত হয়ে মুক্তিযোদ্ধা ফরহাদ খুরুশকুলে আশ্রয় নিয়েছিলেন। আল বদর কমান্ডার মাওলানা আব্দুল আওয়ালের নেতৃত্বে ফরহাদকে পুনরায় পাক বাহিনীর হাতে সোপর্দ করে। ১৯৭১ সালের ১০ মে পাক বাহিনী ফরহাদকে হত্যার শেষে লাশ গুম করে ফেলে। ১৯৭১ সালে পাকবাহিনী ১৩মে খুরুশকুলে গুলি করে হত্যা করে সতীশ চন্দ্র মহাজন, তরণী মহাজন, সুরেন্দ্র দে, বানেশ্বর দেকে। হিন্দুদের বাড়িতে অগ্নিসংযোগসহ যুবতী মেয়েদের ধর্ষণ ও লুটপাট চালায় পাক বাহিনী। এছাড়াও প্রায় ১০ হাজার হিন্দুকে দেশ ত্যাগে বাধ্য করা হয়। মানবতাবিরোধী কাজে দোসর হিসেবে সহযোগিতা করে আল বদর কমান্ডার আব্দুল আওয়াল ও স্থানীয় রাজাকার, আলশামস ও শান্তি কমিটির নেতারা। সূত্র মতে, চৌফলদ-ী ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী ও তার দুই সহোদরকে পাকবাহিনী অপহরণ ও হত্যা করে। আদালতের বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে আইনানুগ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। বাদীর পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের আইনজীবী মোহাম্মদ ইব্রাহীম।
×