ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

মাদারীপুরে স্বীকৃতি চায় ৪৩ শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবার

প্রকাশিত: ০৪:০৮, ২০ ডিসেম্বর ২০১৬

মাদারীপুরে স্বীকৃতি চায় ৪৩ শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবার

নিজস্ব সংবাদদাতা, মাদারীপুর, ১৯ ডিসেম্বর ॥ অস্ত্রের মুখে দমে যায়নি, বরং বুকের তাজা রক্তে লিখেছে ‘বাংলাদেশ’। সেই রক্তের দাগ শুকিয়ে গেলেও আজ আর কেউ খোঁজ রাখে না সেসব শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারগুলোর। মাদারীপুরে সম্মুখযুদ্ধে শহীদ হন ৭৫ মুক্তিযোদ্ধা। যাচাই-বাছাই করে ৪৩ জনের নাম মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। স্বাধীনতার ৪৫ বছরেও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে তাদের নাম তালিকাভুক্ত হয়নি। স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালনের সময় শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দু’বার সৌজন্য সাক্ষাত করেন সরকারী কর্মকর্তারা। সারাবছর আর কেউ তাদের খবর রাখে না। এতে ক্ষুদ্ধ শহীদ পরিবারের স্বজনরা। তারা চান রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি। তাদের সঙ্গে একমত মুক্তিযোদ্ধারাও। শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, দেশমাতৃকার টানে বসে থাকতে পারেননি মহসীন মাস্টার। ঝাঁপিয়ে পড়েছেন শত্রুর বিরুদ্ধে। তবে বেশি দিন শত্রুকে খতম করতে পারেননি। যুদ্ধের মাত্র আড়াই মাসের মাথায় ১৫ জুন গোপালগঞ্জের ‘দিগনগর’ এলাকায় সম্মুখযুদ্ধে শহীদ হন মহসীন মাস্টার। তিনিই মাদারীপুর জেলার প্রথম শহীদ মুক্তিযোদ্ধা। দীর্ঘ ৪৫ বছরেও রাষ্ট্রীয় স্বাকৃতি পায়নি মহসীন মাস্টারের পরিবার। এক সময়ে প্রতি মাসে দু’হাজার টাকা করে আর্থিক অনুদান দিলেও তিন যুগ আগে তা বন্ধ হয়ে যায়। এখন শুধু বছরে ‘স্বাধীনতা আর বিজয়’ দিবসে সৌজন্য সাক্ষাত করে জেলা প্রশাসন। আর্থিক অভাব-অনটনে চলে মহসীন মাস্টারের পরিবার। শুধু শহীদ মহসীন মাস্টারের পরিবারই নয়, মাদারীপুরে সম্মুখযুদ্ধে আরও নিহত হন ৪৩ মুক্তিযোদ্ধা। তাদেরও মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় থেকে রাষ্ট্রীয় স্বাকৃতি দেয়া হয়নি। ফলে এসব পরিবার হতাশ। আসামিকে ছেড়ে দেয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধন স্টাফ রিপোর্টার, মুন্সীগঞ্জ ॥ সিরাজদিখানে স্কুলছাত্র বাহার আলিফকে (১৪) নির্মমভাবে ছুরিকাঘাতে হত্যার সাথে সম্পৃক্ত আসামি ছেড়ে দেয়ার প্রতিবাদে এবং হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে এলাকাবাসী। সোমবার ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কের সিরাজদিখানের কুচিয়ামোড়া কলেজ গেটে এ কর্মসূচী পালিত হয়। হাতে হাত ধরে কয়েক শ’ নারী-পুরুষ ও আলিফের সহপাঠী শিক্ষার্থী ও শিক্ষকবৃন্দ এ মানববন্ধনে অংশ নেন। এ সময় ঢাকা-মাওয়া সড়কের রাস্তার দুই দিকে যানজটের সৃষ্টি হয়। মানবন্ধনকারীদের দাবি, ঘটনার পর আমরা তিন আসামিকে পুলিশের হাতে তুলে দেই। কিন্তু কি কারণে পুলিশ আসামিদের ছেড়ে দিল তা আমরা জানি না। আসামি ধরা ও ছেড়ে দেয়ার ব্যাপারে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। নিহতের চাচা জহিরুল মুক্তি বলেন, পুলিশ টাকার বিনিময়ে ৩ আসামিকে ছেড়ে দিয়েছে।
×