ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ ফুটবল

বিজেএমসিকে রুখে দিয়ে বারিধারার উন্নতি

প্রকাশিত: ০৬:০১, ২ ডিসেম্বর ২০১৬

বিজেএমসিকে রুখে দিয়ে বারিধারার উন্নতি

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ‘জেবি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ’ ফুটবলে টিম বিজেএমসি বনাম উত্তর বারিধারা ম্যাচ দিয়ে শুরু হলো লীগের অষ্টাদশ রাউন্ডের পঞ্চম ভেন্যু গোপালগঞ্জ পর্বের খেলা। এখানকার শেখ ফজলুল হক মনি স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত একমাত্র ম্যাচে কোন দলই জিততে পারেনি। আবার হারেওনি। করেছে গোলশূন্য ড্র। যদিও লীগের প্রথমপর্বে বিজেএমসি ২-১ গোলে পরাভূত করেছিল বারিধারাকে। নিজেদের অষ্টাদশ ম্যাচে এটা বারিধারার দ্বিতীয় ড্র। ১৪ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের তলানি থেকে (১২ দলের মধ্যে) একধাপ ওপরে উঠলো তারা (একাদশ স্থানে)। কিঞ্চিৎ উন্নতি ঘটলো আর কি। পেছনে ফেললো ফেনী সকার ক্লাবকে। পক্ষান্তরে সরকারী ফুটবল দল বিজেএমসির এটা সমান ম্যাচে নবম ড্র। ১৮ পয়েন্ট তাদের। কিন্তু এই ড্রতে পয়েন্ট টেবিলে কোন প্রভাব ফেলতে পারেনি তারা। আছে আগের দশম স্থানেই। ম্যাচের শুরু থেকেই দুই দলই আক্রমণ করে খেলে। ফলে ম্যাচটি উপভোগ্য হয়ে ওঠে। তবে দুই দলেরই মধ্যমাঠ আর রক্ষণভাগ সক্রিয় থাকলেও দক্ষ ফিনিশারের অভাবে আসল কাজের কাজটিই, মানে কাক্সিক্ষত গোলের দর্শন করতে পারেনি। বিজেএমসি-বারিধারা উভয়দলই রয়েছে অবনমনের শঙ্কায়। সেক্ষেত্রে বারিধারার বিপদটা একটু বেশিই। তাই গোলশূন্য এই ম্যাচের একটা পয়েন্টে বেশি উপকৃত হলো তারাই। ম্যাচের ৪ মিনিটে প্রথম গোল করার সুযোগ পায় বারিধারা। তাদের ব্রাজিলিয়ান লিওনার্দো লিমা বক্সে ঢুকে পড়েন বল নিয়ে। গোলরক্ষককে সামনা সামনি একা পেয়েও গোল করতে ব্যর্থতার পরিচয় দেন তিনি। ৭ মিনিটে বিজেএমসিকে নিশ্চিত গোল পাওয়া থেকে বঞ্চিত করেন বারিধারার গোলরক্ষক। বক্সের প্রায় ৭-৮ গজ দূর থেকে ডান পায়ে দুর্দান্ত এক শট নেন পাশবন মোল্লা। কিন্তু বারিধারার গোলরক্ষক লাফিয়ে উঠে বল ফিস্ট করে পাঠান মাঠের বাইরে। দলকে বাঁচান এ যাত্রা। ২৪ মিনিটে বিজেএমসির জাকির হোসেন জিকুর দূরপাল্লার শট অল্পের জন্য জড়ায়নি জালে। ৩০ মিনিটে বক্সে বল পেয়ে হেড নেন অনেকদিন পর ম্যাচে ফেরা নাইজিরিয়ান ফরোয়ার্ড এলিটা কিংসলে। কিন্তু তিনিও পারেননি গোল করতে। দ্বিতীয়ার্ধেও দু’দলের গোল মিসের মহড়া অব্যাহত থাকে। এলোমেলো আক্রমণেই ব্যস্ত ছিল বিজেএমসি-বারিধারা। ৮৩ মিনিটে শেষ সুযোগটা পায় বিজেএমসি। এলিটার স্কয়ার পাস বক্সে পান ফরোয়ার্ড মেহেদী হাসান তপু। কিন্তু অতিরিক্ত সময় ক্ষেপণ করায় প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডাররা গোলের সুযোগ নষ্ট করে দেন। শেষ পর্যন্ত কোন দলই গোল করতে পারেনি। ফলে গোলশূন্য ড্র করেই মাঠ ছাড়ে দু’দলের ফুটবলাররা।
×