ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৫ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১

অন্যরকম

প্রকাশিত: ০৪:১১, ২ ডিসেম্বর ২০১৬

অন্যরকম

দুঃখ বিলাসীর দেশ! ইউরোপের দুঃখী মানুষের দেশ পর্তুগাল। জাতিসংঘের সর্বশেষ বিশ্ব সুখী দেশের তালিকায় ১৫৭টি দেশের মধ্যে শেষেরদিকে ৯৩তম স্থান পর্তুগালের। পতুগীজরা দুঃখেই খুশি হন। তাদের লুকানো সৌন্দর্য ও আনন্দ নিরানন্দেই নিহিত থাকে। আনন্দদায়ক বিষণœতা রাজধানী লিসবনের পাবলিক স্কয়ারে মূর্তিতে বিষাদগ্রস্ত অভিব্যক্তি পর্তুগালজুড়ে বিস্তৃত। স্যাওডেড শব্দটি আসলে টক মিষ্টির ধারণা দেয়। এই স্যাওডেড থেকে দুঃখ-কষ্ট প্রকাশের মাধ্যমে তা ঘোচানোর জন্য তৈরি ফাডো সঙ্গীত পর্তুগীজদের জাতীয় জীবনের একটি অংশ। পর্তুগীজদের বিশ্বাস, ফাডো গান শুনতে শুনতে দুঃখ ও স্বস্তির একটি সমন্বিত অনুভূতি হয়। মনমরা এই গান বিষণœতা ও বিবেকের দংশন দমন বা অস্বীকার করে। -ইন্টারনেট। সুনামিতে সৃষ্ট দ্বীপপুঞ্জ! ব্রিটেনের স্কটল্যান্ডের সেটল্যান্ড দ্বীপপুঞ্জ সুনামির মাধ্যমে সৃষ্টি হয়েছে। এলাকাটিতে অসাধারণ সৌন্দর্যের পাশাপাশি বিচ্ছিন্নতা বিরাজমান। প্রত্যন্ত হওয়া সত্ত্বেও এখানকার হাজারো প্রজাতির জীববৈচিত্র্যের বসবাস প্রাগৈতিহাসিক প্লাইস্টোসিন যুগ থেকেই। প্রায় সমসাময়িক কাল থেকে মানুষও এখানে রয়েছে। শতাধিক দ্বীপের মধ্যে মাত্র ১৬টিতে জনঅধ্যুষিত। সেখানে বাস করে মাত্র ২৩ হাজার ১৬৭ মানুষ। ৫৬৬ বর্গমাইল আয়তন ও এক হাজার ৬৭৯ মাইল দীর্ঘ তটরেখার সেটল্যান্ডে প্রাণী ও উদ্ভিদ প্রজাতির সংখ্যা কয়েক হাজার। খ্রিস্টপূর্ব ৬ হাজার এক শ’ সালে স্টরে¹া সøাইড দ্বারা সৃষ্ট সুনামির আঘাতে দ্বীপপুঞ্জটির উৎপত্তি। সে সময় ২৫ মিটার (৮২ ফুট) উচ্চতার ঢেউয়ের সৃষ্টি হয়। -ইন্টারনেট একসঙ্গে পাঁচ যমজ! যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান অঙ্গরাজ্যের পটারভিলের একটি ম্যাকডোনাল্ড রেস্তরাঁয় অনেক লুকাস কার্টিস ঘুরে বেড়াচ্ছেন। কেননা, সেখানে কাজ করছেন একসঙ্গে পাঁচজন যমজ ভাই-বোন। ভাই তিনজন, বোন দু’জন। তারা হচ্ছেন- লিথ কার্টিস, লোগান কার্টিস, লুকাস কার্টিস, লরেন কার্টিস ও লিন্ডসে কার্টিস। প্রথম তিনজন রান্না করেন। লরেন কার্টিস কাউন্টার দেখাশোনা ও লিন্ডসে কার্টিস লবিতে কাজ করেন। ম্যাকাডোনাল্ডসে এত কার্টিস ভাই-বোনের উপস্থিতির জন্য তাদের মা ব্যবস্থাটির নাম দিয়েছেন ম্যাককার্টিস। -ইন্টারনেট বিকিনি পরে নয় হিজাব পরেই সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছেন ১৯ বছরের সোমালী বংশোদ্ভূত মার্কিন তরুণী হালিমা আদেন। এই প্রথম মিস মিনেসোটা ইউএসএ প্রতিযোগিতার সেমিফাইনালে কোন প্রতিযোগী হিজাব পরে অংশ নিলেন। রবি ও সোমবার দুদিন ধরে চলা প্রতিযোগিতায় শুধু মুখ দেখা গেছে হালিমার। হালিমা জানান, স্বল্প পোশাক পরেই শুধু সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়া যায় না। কিন্তু শরীর সম্পূর্ণ ঢাকা পোশাকেও প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়া যায়, সেটাই তিনি প্রমাণ করতে চেয়েছিলেন। নিজের স্বতন্ত্র পরিচিতি গড়ে তোলার পাশাপাশি ইসলাম সম্পর্কে ভুল ধারণাও ভাঙতে চেয়েছেন হালিমা। সুইম স্যুট প্রতিযোগিতার সময় বুরকিনি পরেছিলেন হালিমা। তবে এই প্রথম সোমালি-মার্কিন সমাজে ইতিহাস গড়েননি হালিমা। কলেজে পড়ার সময় কলেজ স্টুডেন্ট গবর্নমেন্টের প্রথম সোমালি-মার্কিন সদস্য হন হালিমা। স্কুলে হোমকামিং কুইনের খেতাবও জিতেছিলেন তিনি। কেনিয়ার শরণার্থী শিবিরে হালিমার জন্ম এবং ছয় বছর বয়সে তিনি পরিবারের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে আসেন। খবর ওয়েবসাইটের।
×