ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

এএইচএফ কাপ হকি

ম্যাকাওর জালে বাংলাদেশের ১৩ গোল

প্রকাশিত: ০৫:৩৯, ২৪ নভেম্বর ২০১৬

ম্যাকাওর জালে বাংলাদেশের ১৩ গোল

রুমেল খান ॥ প্রতিপক্ষ যেমনই হোক না কেন, যে কোন জয়ই সবসময় মধুর। তবে সে জয় যদি হয় বিশাল ব্যবধানে, তাহলে চিত্তসুখটা হবে আরও দ্বিগুণ। হ্যাঁ, এমন চিত্তসুখই উপহার দিয়েছে জিমিবাহিনী। বুধবার ‘এএইচএফ’ কাপ হকি প্রতিযোগিতায় নিজেদের শেষ গ্রুপ (‘এ’) ম্যাচে বাংলাদেশ গুণে গুণে তিন হালিরও বেশি গোলে শোচনীয়ভাবে হারিয়েছে প্রতিপক্ষ ম্যাকাওকে। ম্যাচের স্কোরলাইন ছিল অবিশ্বাস্য, ১৩-০! একটি নয়, দুটি নয়, ১৩টি গোলের মালা ম্যাকাওকে পরিয়েছে লাল-সবুজের বাংলাদেশ। দলের জয়ে সবচেয়ে বেশি যার অবদান, তিনি আশরাফুল ইসলাম। একাই করেছেন হ্যাটট্রিকসহ ৫টি গোল। এর চারটিই ছিল পেনাল্টি কর্নার (পিসি) থেকে। অপর গোলটি তিনি করেন পেনাল্টি স্ট্রোক থেকে। এই পাঁচ গোলের সুবাদে বাংলাদেশের হয়ে এই আসরে ৩ ম্যাচে সবচেয়ে বেশি গোলের মালিক বনে গেলেন আশরাফুল। তার গোল সংখ্যা এখন ৬টি (বাংলাদেশের গোল ২১টি)। বুধবার ম্যাকাওয়ের বিরুদ্ধে বাকি গোলগুলো করেন সারোয়ার হোসেন ৩টি, রোমান সরকার ২টি। ১টি করে গোল করেন হাসান যুবায়ের নিলয়, মাইনুল ইসলাম কৌশিক এবং খোরশেদুর রহমান। বাংলাদেশের শেষ চারে খেলা নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল আগেই। বাকি ছিল গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়াটা। সেটা নিশ্চিত করতে নিজেদের শেষ গ্রুপ ম্যাচ খেলতে নেমেছিল টুর্নামেন্টের হট ফেভারিট বাংলাদেশ। যেখানে ড্র হলেই গ্রুপসেরা হওয়া নিশ্চিত ছিল, সেখানে তারা গোলবন্যায় শোচনীয়ভাবে বিধ্বস্ত করে প্রতিপক্ষ ম্যাকাওকে। হংকংয়ের কিংস পার্ক হকি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ‘এ’ গ্রুপের ম্যাচের প্রথমার্ধে বাংলাদেশ এগিয়ে ছিল ৬-০ গোলে। এর আগে নিজেদের প্রথম দুই ম্যাচে বাংলাদেশ যথাক্রমে হারায় স্বাগতিক হংকং এবং চাইনিজ তাইপেকে। দুই খেলাতেই বাংলাদেশ জেতে ৪-২ গোলে। গ্রুপে ৩ ম্যাচ খেলে বাংলাদেশের পয়েন্ট ৯। এই জয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হলো তারা। সমান ম্যাচে ম্যাকাওয়ের পয়েন্টের ভা-ার শূন্য। কোন খেলাতেই জয়ের দেখা পায়নি তারা। শেষ চারে বাংলাদেশ খেলবে স্থান নির্ধারণী (প্রথম-চতুর্থ) ম্যাচে ‘বি’ গ্রুপের শ্রীলঙ্কা এবং সিঙ্গাপুরের মধ্যে যে কোন একটি দলের সঙ্গে, আগামী ২৬ নবেম্বর। ‘এ’ গ্রুপে চার দলের মধ্যে সবচেয়ে সুবিধাজনক অবস্থানে ছিল বাংলাদেশই। কেননা টানা দুই ম্যাচ জিতে তারা আগেই নিশ্চিত করে শেষ চারে খেলা। তাদের লক্ষ্য ছিল গ্রুপসেরা হওয়া। সেক্ষেত্রে ম্যাকাওকে না হারালেও চলতো তাদের। অর্থাৎ ন্যূনতম ড্র করলেই হতো। কিন্তু ড্র নয়, বিশাল ব্যবধানে জিতেই যায় বাংলাদেশ। অথচ ম্যাকাওয়ের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ কোচ অলিভার কার্টজ টার্ফেই নামাননি দলের অধিনায়ক-ফরোয়ার্ড রাসেল মাহমুদ জিমিকে। অথচ তাকে ছাড়াই হেসে-খেলে বড় ব্যবধানে জয় কুড়িয়ে নেয় বাংলাদেশ দল। যদিও হংকং-চাইনিজ তাইপের তুলনায় তুলনামূলক দুর্বল দল ছিল ম্যাকাও। ফলে এই ম্যাচে বাংলাদেশ দল খেলতে নামে অনেকটা চাপমুক্ত ও নির্ভার হয়ে।
×