যশোরে গুলিতে যুবক নিহত

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ শুক্রবার রাতে যশোরে কথিত গোলাগুলির ঘটনায় এক ডাকাত নিহত হয়েছে। তার নাম জাহাঙ্গীর আলম (৩২)। তিনি যশোর সদরের শানতলা উত্তরপাড়া এলাকার নওশের আলীর ছেলে। নিহতের চাচা আব্দুর রহমান শনিবার সকালে যশোর জেনারেল হাসপাতালে লাশ দেখে তাকে শনাক্ত করেন। কোতোয়ালি থানার ওসি মোঃ ইলিয়াস হোসেন তার পরিচয় নিশ্চিত করে জানান, নিহত জাহাঙ্গীর আলমের নামে কোতোয়ালি থানায় ডাকাতি, খুন, ছিনতাই, অস্ত্রসহ ১৯টি মামলা রয়েছে। পুলিশ জানায়, তাদের কাছে খবর আসে যশোর-ঝিনাইদহ সড়কে দুই দল ডাকাতের মধ্যে গুলিবিনিময় হচ্ছে। এ খরব পেয়ে রাত পৌনে দুইটার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাতরা পালিয়ে যায়। সেখানে তল্লাশি করে পুলিশ অজ্ঞাত এক যুবকের লাশ উদ্ধার করে হাসপাতালে আনে। হাসপাতালের জরুরী বিভাগের ডাক্তার কল্লোল কুমার সাহা বলেন, রাত ৩টা ৮ মিনিটে কোতোয়ালি থানার এসআই এইচএম শহিদুল ইসলাম অজ্ঞাত ওই যুবকের লাশ হাসপাতালে আনেন। তার মাথার পেছন দিকে এক রাউন্ড গুলিবিদ্ধ হয়েছে। হাসপাতালে আনার কমপক্ষে আধাঘণ্টা আগে ওই যুবকের মৃত্যু হয়। পুলিশের দাবি, গোলাগুলির ঘটনাটি ঘটে যশোর-ঝিনাইদহ সড়কের দৌলতদিহি এলাকায় গ্রামীণফোন টাওয়ারের আনুমানিক ২০০ গজ উত্তর পাশে। সেখান থেকে একটি ওয়ান শুটারগান, এক রাউন্ড গুলি ও একটি গুলির খোসা উদ্ধার হয়েছে। এদিকে, হাসপাতালে অজ্ঞাত যুবকের লাশ রয়েছে- এমন খবর পেয়ে শনিবার সকালে সেখানে আসেন নিহতের চাচা আব্দুর রহমান। তিনি লাশঘরে রাখা নিহতের পরিচয় শনাক্ত করেন। আব্দুর রহমান জানান, শুক্রবার রাতে পুলিশ পরিচয়ে একদল সাদা পোশাকধারী জাহাঙ্গীরকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। নিহত জাহাঙ্গীর স্থানীয় একটি প্রতিষ্ঠানে বস্তা সরবরাহের ব্যবসা করতেন বলে জানান তার চাচা। করটিয়া জমিদার বাড়ি রক্ষার দাবি নিজস্ব সংবাদদাতা, টাঙ্গাইল, ১৯ নবেম্বর ॥ করটিয়া জমিদার বাড়ির ইতিহাস ঐতিহ্য ও স্থাপনা রক্ষা এবং ভেতরে অবস্থিত জামায়াত নেতা পরিচালিত স্কুল সরিয়ে নেয়ার দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকালে সদর উপজেলার করটিয়া বাজারে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেছে করটিয়া ইতিহাস ও ঐতিহ্য কমিটি। মানববন্ধনে করটিয়ার বিভিন্ন স্তরের লোকজন অংশ নেন। বক্তব্য রাখেন- জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক শাহজাহান আনসারী, শামছুল আলম চৌধুরী প্রমুখ।