ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

চট্টগ্রামেও ঢাকার দাপট

প্রকাশিত: ০৫:৩০, ১৮ নভেম্বর ২০১৬

চট্টগ্রামেও ঢাকার দাপট

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ঢাকায় তো ঢাকা ডায়নামাইটস দাপট দেখিয়েছেই। চট্টগ্রামেও তাদের দাপট অব্যাহতই রয়েছে। এবার তো স্বাগতিক চিটাগাং ভাইকিংসকেও পাত্তা দেয়নি ঢাকা। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগে (বিপিএল টি২০) নিজেদের পঞ্চম ম্যাচে বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামে চিটাগাংকে ১৯ রানে হারিয়ে দিয়েছে ঢাকা। ব্যাটিংয়ে খুব বেশি সুবিধা না করতে পারলেও বোলিংয়ে জয় তুলে নিয়েছে ঢাকা। মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের ৩৫ ও ওপেনার মেহেদী মারুফের ৩৩ রানে ৯ উইকেট হারিয়ে ২০ ওভারে ১৪৮ রান করে ঢাকা। জবাবে ৮ উইকেট হারিয়ে ২০ ওভারে ১২৯ রানের বেশি করতে পারেনি চিটাগাং। এই ম্যাচ জয়ে ঢাকার যেখানে ৪ জয় হয়েছে সেখানে চিটাগাংয়ের টানা ৪ ম্যাচে হার হলো। চট্টগ্রামেও তামিম ইকবালের চিটাগাংয়ের ভাগ্য ফিরেনি। সেখানে সাকিব আল হাসানের ঢাকাতো উড়ছে। বিপিএল এবার জমছে না। একমাত্র কারণ বোধহয় স্কোরবোর্ডে রান না হওয়া। দর্শক টি২০ খেলা দেখতে আসে রানের ফোয়ারা ছুটবে এজন্য। কিন্তু সেই রানের দেখাই মিলছে না প্রতিনিয়ত। প্রথম ৮ ম্যাচেতো রানই হয়নি। এরপরও যাও রান হয়েছে, তাও প্রতিম্যাচে তার দেখা মিলেনি। দর্শকখরা তাই বিপিএলে লেগেই আছে। ঢাকায় যেমন সাপ্তাহিক ছুটিরদিন ছাড়া স্টেডিয়াম খাঁ খাঁ করেছে। চট্টগ্রামেও তাই দেখা গেল। ‘হোম’ টিম চিটাগাং প্রথম ম্যাচেই খেলেছে। এরপরও দর্শক টানতে পারেনি বিপিএল। কিভাবে টানবে? রানই যে হচ্ছে না। ঢাকা-চিটাগাং ম্যাচেওতো সেই রান উধাও। অথচ ঢাকায় মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে যখন স্কোরবোর্ডে রান জমা হলো না, মনে করা হলো চট্টগ্রামে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে তা দেখা যাবে। কিন্তু প্রথম ম্যাচে ১৫০ রানই কোন দল করতে পারল না। এমন রানখরা থাকলে বিপিএল কি আর শেষ পর্যন্ত দর্শক টানতে পারবে? দর্শক হয়তো হবে। সেটি শেষ দিকে। ৬ ডিসেম্বর যখন নকআউট পর্বের শুরু হবে। তখন বিপিএল শেষ হতে বাকি থাকবে মাত্র তিনদিন। বৃহস্পতিবার ম্যাচটির আগে অবশ্য ঢাকাই স্কোরবোর্ডে বেশি রান তুলেছিল। বিপিএলের এবারের আসরে সর্বোচ্চ রানটি কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে মিরপুরে ঢাকাই (১৯৪/৫) করে। এর বাইরে আরেকটি ম্যাচে ১৭০ রান করেছে ঢাকা। সেই তুলনায় চিটাগাং ১২৩ রানের বেশি করতেই পারেনি। অথচ দলটিতে তামিম, শোয়েব মালিক, মোহাম্মদ নবী, জহুরুল ইসলাম অমি, এনামুল হক বিজয়, ডোয়াইন স্মিথ, গ্রেন্ট ইলিয়টের মতো ব্যাটসম্যানরা আছেন। কিন্তু তামিম ছাড়া কেউইতো নিজেদের মেলে ধরতে পারছেন না। কঠিন পরিস্থিতিতে পড়ে গেছে চিটাগাং। ৫টি ম্যাচ খেলেছে। এখনও হাতে আছে ৭ ম্যাচ। এরমধ্যে চট্টগ্রামেই আছে আরও ৩টি ম্যাচ। এখনই জয়ের ধারায় না ফিরতে টুর্নামেন্ট থেকে হয়তো চট্টগ্রাম পর্বের পরেই বিদায় ঘণ্টা আসন্ন হতে পারে। চিটাগাং যেখানে এমন বিপদে আছে সেখানে ঢাকাতো একের পর এক ম্যাচ জয় তুলে নিচ্ছে। পয়েন্ট তালিকায় শীর্ষস্থান এখনও ধরে রেখেছে। ৫ খেলায় ৪ জয়ে ৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে ঢাকা। চট্টগ্রাম পর্বে আরও ২টি ম্যাচ রয়েছে ঢাকার। যদি জিতে যায়, তাহলে মোটামুটি লীগপর্ব অতিক্রম করে পরের ধাপে খেলার সম্ভাবনা জাগিয়ে তুলবে।
×