নিজস্ব সংবাদদাতা, লক্ষ্মীপুর, ১৬ নবেম্বর ॥ লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পেল জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষার্থী ফাতেমা বেগম। এ ঘটনায় কনের বাবাকে জরিমানা করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। বুধবার দুপুরে কমলনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান মোল্লার হস্তক্ষেপে বিয়ের আয়োজন বন্ধ করা হয়। ফাতেমা বেগম হাজিরহাট হামেদিয়া ফাযিল ডিগ্রী মাদ্রাসার জেডিসি পরীক্ষার্থী ও পাটারীর হাট ইউনিয়নের বাসিন্দা দীন ইসলামের মেয়ে। কমলনগর উপজেলা প্রশাসন জানায়, পাটারীরহাট ইউনিয়নের জেডিসি পরীক্ষার্থী ফাতেমা বেগমের সঙ্গে পার্শ¦বর্তী কালকিনি ইউনিয়নের মিরাজের বিয়ের আয়োজন চলছিল। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পুলিশ পাঠিয়ে বিয়ের আয়োজন বন্ধ ও কনের বাবাকে আটক করে। কিন্তু বর ও তার স্বজনরা পালিয়ে যায়। পরে কনের বাবা দীন ইসলামকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে হাজির করা হলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাকে এক হাজার টাকা জরিমানা করে। একই সঙ্গে বাল্যবিয়ে না দেয়ার শর্তে মুচলেকা নেয়।
রামগতিতে ৩ জনের জেল ॥ লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে পান্না (১০) নামে ৫ম শ্রেণীর এক স্কুল ছাত্রীর বিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে বন্ধ হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যায় বড়খেরী ইউনিয়নের বড়খেরী গ্রামে স্কুলছাত্রীর বিয়ে হচ্ছেÑ এমন খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ বিয়ে বন্ধ করেন।
বাল্য বিয়ের আয়োজন করার দায়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ৩ জনকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদ-ের আদেশ দেন। কারাদ-প্রাপ্তরা হলেন মেয়ের বাবা মোছলেহ উদ্দিন, চর পোড়াগাছা ইউনিয়নের চর কলাকোপা গ্রামের বাসিন্দা বরের বাবা মোঃ আলমগীর এবং কাজীর সহকারী হাফেজ মনির উদ্দিন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এসএম শফি কামাল ওই রায় দেন। পান্না বেগম বড়খেরী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণীর ছাত্রী।