ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

কলাপাড়ায় মহিলা মার্কেট পুরুষদের দখলে

প্রকাশিত: ০৫:৫১, ১৩ নভেম্বর ২০১৬

কলাপাড়ায় মহিলা  মার্কেট পুরুষদের  দখলে

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া, ১২ নবেম্বর ॥ কলাপাড়ায় দরিদ্র নারী উন্নয়নের জন্য মহিলাদের অর্থনৈতিক কর্মকা-ের সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে তিনটি হাট-বাজারে নির্মিত মহিলা মার্কেটগুলো এখন পুরুষদের দখলে। শুরু থেকেই নিয়মনীতি উপেক্ষা করে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এলজিইডি বিভাগের তদারকি না থাকায় তিনটি মার্কেটের ২২ দোকানের ১৮টি বেদখল হয়ে গেছে। কলাপাড়া পৌর শহরের মহিলা মার্কেটের দু’টি দোকান শুধু মহিলারা পরিচালনা করে আসছে। দোকানগুলো অপেশাদারী একশ্রেণীর প্রভাবশালী তাদের নামে বরাদ্দ নিয়ে সাবলেট দিয়েছে। ওইসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সাইনবোর্ডে মহিলা মার্কেট কথাটি পর্যন্ত লেখা নেই। কলাপাড়া পৌর শহরের নতুন বাজারে ১০ কক্ষের, লালুয়ার বানাতি বাজারে ৬ কক্ষের ও মিঠাগঞ্জ ইউনিয়নের তেগাছিয়া বাজারে ৬ কক্ষের মোট তিনটি মহিলা মার্কেট নির্মাণ করা হয়। ১৯৯৮ সাল থেকে ২০০২ অর্থবছর পর্যন্ত স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর মার্কেট তিনটি নির্মাণ করে। ২০০৩ সালের মাঝামাঝি সময় মার্কেটগুলো চালু করা হয়। মহিলাদের মধ্যে দোকান বরাদ্দ দেয়ার কথা থাকলেও তা শুরুতেই মানা হয়নি। প্রতিটি দোকানঘর বরাদ্দপ্রাপ্ত মহিলা ছাড়া কোন পুরুষ পরিচালনা করতে পারবে না। নারীদের স্বাবলম্বী করার সরকারের এ উদ্যোগ এলজিইডি কর্তৃপক্ষ এবং সংশ্লিষ্ট পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের প্রতিনিধিদের চরম উদাসীনতায় মার্কেট তিনটির দোকানগুলো নারীদের কাছ থেকে কার্যত বেহাত হয়ে গেছে। কলাপাড়া পৌর শহরের নতুন বাজারে দুই দিকে মুখ করা ১০ কক্ষের মার্কেটটিতে ১০ জন মহিলার নামে কাগজ কলমে বরাদ্দ দেয়া রয়েছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, শুধুমাত্র দুইটি দোকান বরাদ্দকৃতরা পরিচালনা করছে। বাকিসব পুরুষ লোকজন চালাচ্ছে। তেগাছিয়া বাজারের একটি দোকানও মহিলা দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে না। ফলে নামমাত্র ভাড়ায় নারীর অর্থনৈতিক উন্নয়নের লক্ষ্যে করা সরকারের নেয়া উদ্যোগ এখন ভেস্তে গেছে। এলজিইডির কলাপাড়া উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল মান্নান জানান, তিনি বিষয়টি খোঁজ-খবর নিয়ে ব্যবস্থা নেবেন। লালুয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মীর তারিকুজ্জামান জানান, বিষয়টি যাচাই-বাছাই করতে হবে। অনেক মহিলা জানান, তারা সেলাইসহ ক্ষুদে দোকান পরিচালনা করছেন। কিন্তু তাদের দোকানপাট নেই। ওইসব নারীর মধ্যে বরাদ্দ দেয়া হলে সরকারের মূল উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন হতো।
×