ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

পা দিয়ে জেএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে মিরাজুল

প্রকাশিত: ০৬:২৫, ৮ নভেম্বর ২০১৬

পা দিয়ে জেএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে মিরাজুল

নিজস্ব সংবাদদাতা, পাবনা, ৭ নবেম্বর ॥ আটঘরিয়া উপজেলার দেবোত্তর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় জেএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রে পা দিয়ে পরীক্ষা দিচ্ছে মিরাজুল ইসলাম। জন্ম থেকেই তার দু’হাত নেই। সে একই উপজেলার লক্ষ্মিপুর ইউনিয়নের যাত্রাপুর গ্রামের তোরাব আলীর ছেলে। মিরাজুল ইসলাম চান্দাই উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র। তারা দুই ভাই এক বোন। বড় ভাই সূর্য দশম শ্রেণী পর্যন্ত লেখাপড়া করে এখন বাবার সঙ্গে যাত্রাপুর বাজারে একটি ছোট ব্যবসা করেন। ছোট বোন মুক্তা ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী। মা সূর্যা খাতুন বলেন, ২০০৩ সালের ২৪ জুলাই মিরাজুল ইসলাম দু’হাতবিহীন অবস্থায় জন্ম নেয়। ছোট বেলা থেকেই মিরাজুল ইসলামের পড়ালেখার খুব আগ্রহ দেখতে পাই। তারা স্বামী-স্ত্রী লেখাপড়া না জানলেও অভাব অনটনের মধ্যেও মিরাজুল ইসলামের লেখাপড়া শেখানোর সিন্ধান্ত নেন। আর মিরাজুলের দু’হাত না থাকলেও সব কাজ নিজেই করতে পারে। যাত্রাপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আসলাম হোসেন জানান, ২০০৮ সালে মিরাজুল এই বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়। তখন থেকেই ওর পড়ার প্রতি আগ্রহ দেখে তারা অবাক হয়ে যান। সন্তানের পিতৃ পরিচয় পেতে ঘুরছে রোকেয়া নিজস্ব সংবাদদাতা, বাউফল, ৭ নবেম্বর ॥ সন্তানের পিতৃ পরিচয়ের দাবিতে পথে পথে ঘুরছে রোকেয়া বেগম। রোকেয়ার বাবার নাম মৃত আয়নে আলী প্যাদা। মদনপুর গ্রামে তার বাড়ি। রোকেয়া জানান, একই গ্রামের নাসির শরীফের ছেলে বশার শরীফ বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে। দীর্ঘদিন ধরে চলা এই শারীরিক সম্পর্কের কারণে তিনি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। বিষয়টি বশারকে জানালে সে এই সন্তানের পিতৃ পরিচয় দিতে অস্বীকৃতি জানায়। জানা যায়, পাঁচ বছর আগে ধানদী গ্রামের বাসিন্দা জয়নাল মিয়ার বাক প্রতিবন্ধী ছেলে সুমনের সঙ্গে বিয়ে হয় রোকেয়ার। এরপর বছর না যেতেই স্বামী সুমন প্যারালাইসড রোগে আক্রান্ত হয়। এ অবস্থায় রোকেয়ার ভরণ পোষণ বহন করতে অপরাগতা জানায় সুমনের বাবা-মা। নিরুপায় হয়ে রোকেয়া একাকি জীবনযাপন শুরু করেন।
×